জেলায় দাপট শীতের, কাঁপছে উত্তর থেকে দক্ষিণ, দার্জিলিঙের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস
কলকাতা: টানা এক সপ্তাহ ধরে ব্যাট করছে শীত। কলকাতার পাশাপাশি, রাজ্যজুড়ে ঠান্ডার দাপট অব্যাহত। বৃহস্পতিবারও দার্জিলিঙের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জলপাইগুড়ি ৮ ডিগ্রি। বুধবারের মতো এদিনও ভোর থেকে বেলা পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢেকে ছিল জলপাইগুড়ি শহর। জনজীবন বিপর্যস্ত। কোচবিহারের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ ডিগ্রি, আলিপুরদুয়ার, বালুরঘাট ৯ ডিগ্রি। রায়গঞ্জের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল থেকে রায়গঞ্জও ঢেকে ছিল কুয়াশার চাদরে। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে উত্তুরে হাওয়া। মালদা, সিউড়ি এবং বহরমপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮ ডিগ্রি। মুর্শিদাবাদ জুড়েও দিনভর ছিল উত্তুরে হাওয়ার দাপট। সঙ্গে কুয়াশা। কৃষ্ণনগরের তাপমাত্রা নেমে যায় ১০ ডিগ্রিতে। অন্য দিনের তুলনায় এদিন কুয়াশার দাপট বেশি ছিল নদিয়ায়। কল্যাণী-ব্যারাকপুর এক্সপ্রেসওয়ে এবং ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে বিঘ্নিত হয় যান চলাচল। পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতেও কনকনে ঠান্ডা। পুরুলিয়ায় পারদ নেমেছে ৬ ডিগ্রিতে। বাঁকুড়া ও মেদিনীপুরেও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি। মেদিনীপুরের পাশাপাশি, কনকনে ঠান্ডায় কাবু ঝাড়গ্রামের মানুষও। দুই বর্ধমানও কাঁপছে ঠান্ডায়। দুর্গাপুর, বর্ধমান শহরেও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বর্ধমানে কুয়াশার দাপট কম থাকলেও শীতের দাপট অব্যাহত। দুর্গাপুরের ২ নম্বর জাতীয় সড়কে বিঘ্নিত হয় যান চলাচল। বিপর্যস্ত জনজীবন। সকালে আসানসোল শিল্পাঞ্চল ঢাকা ছিল কুয়াশায় চাদরে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশা কমলেও ঠান্ডা কমেনি। এদিন কিছুটা বেশি তাপমাত্রা ছিল কলকাতার পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে। হাওড়া ও হুগলির চুঁচুড়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ ডিগ্রি। অন্যদিকে, ডায়মন্ড হারবারে পারদ নেমেছিল ১১.০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। সব মিলিয়ে কনকনে ঠান্ডায় কাবু রাজ্যবাসী।