টিকটক করতে ‘অচেনা’ ব্যক্তির সঙ্গে দিল্লি গিয়ে এখনও ফেরেনি স্ত্রী, থানায় অভিযোগ স্বামীর
টিকটিক ভিডিও করতে দিল্লি যাওয়া। তারপর থেকেই ‘নিখোঁজ’ তরুণী। চুঁচুড়া থানায় দায়ের হয়েছেঅভিযোগ।
হুগলি: টিকটিক ভিডিও করতে দিল্লি যাওয়া। তারপর থেকেই ‘নিখোঁজ’ তরুণী। চুঁচুড়া থানায় দায়ের হয়েছেঅভিযোগ।
হুগলির লটারি বিক্রেতা প্রসেনজিৎ মণ্ডল ওরফে বাবুর অভিযোগ, স্ত্রীর এভাবে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা সবটাই জানেন তাঁর শ্বাশুড়ি। এদিন চুঁচুড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর বাবু জানান, তাঁর স্ত্রী প্রতিমা ৩১ তারিখ হাওড়া থেকে ট্রেনে চেপে দিল্লি গিয়েছেন। রাজধানীতে পৌঁছনর পর থেকে আর সেভাবে যোগাযোগ করতে পারেননি বাবু। ২-৩ দিন পর মোবাইল ফোন অন করে বাবুকে ফোন করে তাঁর স্ত্রী প্রতিমা জানান, নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণে যোগাযোগ করে উঠতে পারেননি।
বাবু বলেন, তিনিই স্ত্রীকে মোবাইল কিনে দেন টিকটক করার জন্য। স্ত্রী প্রতিমা ‘জ্যাসমিন’ নামের অ্যাকাউন্ট খুলে টিকটক করতে শুরু করেন। আসতে আসতে বাড়তে থাকে জনপ্রিয়তা। এতে উৎসাহ যোগান স্বামীও। বাড়িতে সাড়ে পাঁচ বছর মেয়ে রয়েছে। তাকে পরিবারের কাছে রেখে প্রায়ই বাইরে বাইরে টিকটক ভিডিও শ্যুট করতে যেতেন প্রতিমা। প্রতিবার স্বামীকে জানিয়েই যেতেন। স্বামী কখনও বাধাও দেননি। টিকটক থেকে রোজগার হচ্ছে দেখে আরও একটি মোবাইল কিনে দেন বাবু। এমনকি বাবু নিজেও কখনও সখনও প্রতিমার টিকটক ভিডিও-তে অংশগ্রহণ করতেন। এবারও সেই বিশ্বাসেই ভিকি নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে টিকটক করার জন্য স্ত্রীকে ছেড়ে দেন বাবু। নিজে না গেলেও তাঁর মা প্রতিমাকে হাওড়া স্টেশনে ছেড়ে দিয়ে আসে।
কথা ছিল ৩-৪ তারিখ নাগাদ প্রতিমা ফিরে আসবেন। সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও প্রতিমা ফেরেননি। কখনও ফোন অন আবার কখনও অফ। এমনকি ছেলেটিও তাঁর টিকটক অ্যাকউন্ট ডিলিট করে দিয়েছেন। ফোনও স্যুইচড অফ। বাবুর অভিযোগ, স্ত্রীকে মডেলিং করার টোপ দেখিয়ে দিল্লি নিয়ে গিয়েছেন ভিকি। সাড়ে পাঁচ বছরের মেয়েকে ছেড়ে স্ত্রী কীভাবে এমন কাজ করল, তা ভেবেই হতবাক বাবু।
পুলিশে অভিযোগ জানালে, থানা থেকে বাবুকে বলা হয়, স্ত্রীকে খুঁজে এনে দেওয়া তাঁদের কাজ নয়। খুঁজতে হবে তাঁকেই। যেখানে যেখানে তথ্য পাঠানোর পুলিশ সেখানে সেখানে তথ্য পাঠিয়ে দিয়েছে বলে বাবুকে জানানো হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, বাবু এবং বাবুর বন্ধুরা চাইছেন, প্রতিমাকে পুলিশ খুঁজে এনে দিক। সাঁড়ে পাচ বছরের মেয়ের মুখ দেখে প্রতিমা ফিরে আসুক, এমনই বলছেন বাবুর বন্ধুরা।