Supreme Court: 'বিবাহ টাকা রোজগারের মাধ্যম নয়', খোরপোশ মামলায় কড়া বার্তা শীর্ষ আদালতের
Supreme Court on Alimony Case: শীর্ষ আদালতের বিচারপতি বিভি নাগারত্ন এবং পঙ্কজ মিত্তল জানিয়েছেন, 'বিবাহ হল হিন্দুমতে একটি পবিত্র বন্ধন, এটি কোনও টাকা রোজগারের মাধ্যম নয়'।
Supreme Court on Alimony Case: দেশে ক্রমবর্ধমান বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা এবং সাম্প্রতিক বেঙ্গালুরুর আইটি কর্মী অতুল সুভাষের আত্মহত্যার ঘটনায় সুপ্রিম কোর্ট বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য পেশ করেছে বিবাহ বিচ্ছেদকে ঘিরে এবং বিচ্ছেদ-পরবর্তী স্ত্রীয়ের খোরপোশ দাবিকে কেন্দ্র করে। এর আগেও অতুল সুভাষের মৃত্যুর ঠিক পরেই একটি মামলাকে কেন্দ্র করে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) জানিয়েছিল যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মহিলারা আইনের অপব্যবহার (Alimony Case) করে সুযোগ নিয়ে স্বামীকে হেনস্থা করছেন। আর এবার এমনই একটি বিচ্ছেদের মামলা চলাকালীন শীর্ষ আদালত মন্তব্য করে যে নারী কল্যাণের জন্য নির্মিত আইনের সুযোগ নিয়ে স্বামীর কাছ থেকে তোলাবাজি করা যাবে না। আইন কখনই টাকা লুট, তোলাবাজি কিংবা হেনস্থা করার জন্য তৈরি করা হয়নি।
মূলত একটি বিশেষ মামলার সাপেক্ষে এই পর্যবেক্ষণ জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। সেই মামলায় এক মহিলা বিবাহ বিচ্ছেদের পরে তাঁর প্রাক্তন স্বামীর কাছ থেকে ৫০০ কোটি টাকার খোরপোশ দাবি করেন। মহিলা জানিয়েছেন যে তাঁর স্বামীর মার্কিন মুলুকে এবং ভারতে ব্যবসায়িক মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা। আর তিনি নাকি তাঁর আগের স্ত্রীকেও খোরপোশ হিসেবে ৫০০ কোটি টাকা দিয়েছিলেন। তাই এবারেও তাঁকে খোরপোশ হিসেবে সমপরিমাণ অর্থ দিতে হবে। কিন্তু শীর্ষ আদালত এই মামলা বিচার বিবেচনা করে জানিয়েছেন যে সেই ব্যক্তিকে মোট ১২ কোটি টাকা খোরপোশ হিসেবে দিতে হবে স্ত্রীকে।
এই প্রসঙ্গেই শীর্ষ আদালতের বিচারপতি বিভি নাগারত্ন এবং পঙ্কজ মিত্তল জানিয়েছেন, 'বিবাহ হল হিন্দুমতে একটি পবিত্র বন্ধন, এটি কোনও টাকা রোজগারের মাধ্যম নয়'। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে যে খোরপোশের দাবি জানানো এবং তা বিচারের সময় স্বামীর সঙ্গে সঙ্গে স্ত্রীর আয়, তাঁর প্রয়োজনীয়তা, বসবাসের অধিকারের মত বিষয়গুলিও একইভাবে দেখতে হবে। অনেকে স্বামীর আয়, সম্পত্তি উল্লেখ করে তাঁর সম্পদের সমতুল সম্পদ লাভের জন্য খোরপোশের অঙ্ক স্থির করেন। তা নিয়ে আমাদের গুরুতর আপত্তি আছে। বাড়তি টাকার দাবি মেটাতে স্বামী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করাও গ্রহণযোগ্য হবে না'।
কিছুদিন আগেই বেঙ্গালুরুতে নিজের বাড়িতেই আত্মহত্যা করেছেন আইটি কর্মী অতুল সুভাষ। মৃত্যুর আগে ভিডিয়ো বার্তায় এবং সুইসাইড নোটে লিখে গিয়েছিলেন স্ত্রী নিকিতা সিঙ্ঘানিয়া এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের অত্যাচারের কথা, হেনস্থার কথা। ৩ কোটি টাকা বাড়তি চেয়েছিল নিকিতার পরিবার, এছাড়া বিচ্ছেদের পর থেকে মাসে ৪০ হাজার টাকা করে খোরপোশ দিয়ে আসছিলেন অতুল। কিন্তু তারপরেও চলতে থাকে হেনস্থা। ৪ বছরের ছেলেকে দেখতে পর্যন্ত দেওয়া হয় না তাঁকে। সম্প্রতি অতুল সুভাষের মা ছেলের হেফাজত চেয়ে শীর্ষ আদালতে আবেদন করেছেন।
আরও পড়ুন: Divorce Case: বিয়ের ৪৪ বছর পর সম্পর্কে ইতি, জমি বেচে ৩ কোটি খোরপোশ জোগালেন বৃদ্ধ কৃষক