Cheetah Deaths: বিশেষজ্ঞদের মতামত বাধ্যতামূলক করায় আপত্তি কেন্দ্রের, উঠল চিতামৃত্যুর প্রসঙ্গ, সুপ্রিম কোর্টে জুটল তিরস্কার
Supreme Court: বন্যপ্রাণ সংরক্ষণে ২০২০ সালে সুপ্রিম কোর্টের তরফে বিশেষজ্ঞ কমিটি নিযুক্ত করা হয়। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে আবেদন জানায় কেন্দ্র।
নয়াদিল্লি: প্রচারে খামতি ছিল না কোনও। কিন্তু ব্যবস্থাপনায় ডাহা ফেল, মধ্যপ্রদেশের কুনো ন্যাশনাল পার্কে একের পর এক চিতার মৃত্যুতে এমনই অভিযোগ উঠছে। সেই নিয়ে এবার সুপ্রিম কোর্টেও (Supreme Court) তিরস্কৃত কেন্দ্রীয় সরকার। স্থানান্তরণের ক্ষেত্রে এমন মৃত্যু সাধারণ বলে শীর্ষ আদালতে যুক্তি দিয়েছিল কেন্দ্র। কিন্তু তাতেও কটাক্ষ শুনতে হল তাদের (Cheetah Deaths)।
বন্যপ্রাণ সংরক্ষণে ২০২০ সালে সুপ্রিম কোর্টের তরফে বিশেষজ্ঞ কমিটি নিযুক্ত করা হয়। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে আবেদন জানায় কেন্দ্র। তাদের দাবি ছিল, সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত ওই বিশেষজ্ঞ কমিটির থেকে উপদেশ নেওয়া বাধ্য়তামূলক নয় ন্য়াশনাল টাইগার কনজার্ভেশন অথরিটি (NRCA) অর্থাৎ জাতীয় ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষের। বৃহস্পতিবার বিচারপতি বিআর গাভাই, বিচারপতি জেবি পর্দিওয়ালা এবং বিচারপতি প্রশান্তকুমার মিশ্রের বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি চলাকালীনই সাম্প্রতিক চিতামৃত্যুর প্রসঙ্গ ওঠে। তাতেই কেন্দ্রের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করে সুপ্রিম কোর্ট।
বিগত চার মাসে কুন ন্যাশনাল পার্কে তিন শাবক-সহ মোট আটটি চিতার মৃত্যু হয়েছে। গত এক বছরে ২০টি চিতার মধ্যে আটটি মারা গিয়েছে, অর্থাৎ মৃত্যুর হার ৪০ শতাংশ। এদিন সেই প্রসঙ্গে আলোচনা উঠলে কেন্দ্রের তরফে যুক্তি দেওয়া হয় যে, বন্যপ্রাণ স্থানান্তরণের ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ মৃত্যুর হার স্বাভাবিক। কেন্দ্রের হয়ে আদালতে সওয়াল করছিলেন অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনাারেল ঐশ্বর্য ভাটি। তিনি বলেন, " (চিতার পুনর্প্রবর্তন) এই প্রকল্পের সঙ্গে মর্যাদা জড়িয়ে রয়েছে। সরকার সর্বতো ভাবে চেষ্টা করছে।"
আরও পড়ুন: Supreme Court: সরকার কিছু না করলে স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ, মণিপুর-কাণ্ডে হুঁশিয়ারি শীর্ষ আদালতের
এর জবাবে আদালত বলে, "গত সপ্তাহেই দু'টি চিতা মারা গিয়েছে। এতে মর্যাদার প্রশ্ন কেন আসছে? দয়া করে কিছু সদর্থক পদক্ষেপ করুন। তা ছাড়া, সবক'টি চিতাকে আলাদা ভাবে না রেখে, এক জায়গায় রাখাই বা হল কেন?" রাজস্থানে চিতাদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য় কোনও ব্যবস্থা করা হয়েছিল কিনা, তাও জানতে চায় আদালত।
ঠিক কী কারণে একের পর এক চিতার মৃত্যু হয়েছে, সেই নিয়ে এযাবৎ একাধিক তত্ত্ব সামনে এসেছে। কখনও হৃদরোগ, কখনও কিডনি বিকল হয়ে, কখনও আবার সংক্রমণকে কারণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। এদিন সেই নিয়ে আদালত বলে, "সমস্যাটা ঠিক কোথায়? আমাদের এখানকার আবহাওয়া কি সহ্য হচ্ছে না? কিডনি, শ্বাসকষ্টের সমস্যা?" এর জবাবে অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল জানান, মূলত সংক্রমণ থেকেই মৃত্যু ঘটেছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ধারণের প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি।
একের পর এক চিতার মৃত্যুতে সরকার কী করছে, এদিন তা জানতে চায় শীর্ষ আদালত। আগামী ১ অগাস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে, তার মধ্য়ে রাজস্থান বা অন্যত্র চিতাগুলিকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে কিনা জানাতে বলা হয়েছে। গতবছর সেপ্টেম্বরে নমিবিয়া থেকে পাঁচটি স্ত্রী এবং তিনটি পুরুষ চিতা ভারতে আনা হয়। তার আগে ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ১২টি চিতা আনা হয়েছিল। চারটি শাবক জন্মালে সবমিলিয়ে চিতার সংখ্যা হয় ২৪। কিন্তু গত চার মাসে আটটি চিতার মৃত্যুতে সেই সংখ্যা কমে ১৬ হয়েছে। তাতেই ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্নের মুখে কেন্দ্র।