এক্সপ্লোর
তিনবার প্রকাশকের সঙ্গে দেখা করেন সুশান্ত, কী লিখতে চেয়েছিলেন বইয়ে?
তাঁর সম্পর্কে সহ অভিনেত্রীদের উত্যক্ত করা, মি টু-র যে অভিযোগ উঠেছিল, তা তাঁকে গভীরভাবে আহত করেছিল। কর্ণ জোহরের কফি উইথ কর্ণ-এ তাঁকে নিয়ে ঠাট্টা ইয়ার্কিও তিনি হালকাভাবে নিতে পারেননি, জানিয়েছে তাঁর পরিবার।

মুম্বই: গতকাল সুশান্ত সিংহ রাজপুতের ভিসেরা রিপোর্ট মুম্বই পুলিশের হাতে এসেছে। তাতে বিষক্রিয়ার কোনও উল্লেখ নেই। পুলিশ বলছে, এখনও পর্যন্ত তদন্ত যতটুকু এগিয়েছে, তাতে মনে হচ্ছে না, তাঁর মৃত্যুর পিছনে কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে। তবে মুম্বই পুলিশ পরিচালক মহেশ ভট্টের বিবৃতি রেকর্ড করেছে, কঙ্গনা রানাওয়াতকেও ডেকেছে তাঁর বিবৃতি নথিবদ্ধ করতে। ৩৪ বছরের সুশান্তের মৃত্যু বলিউডের বেড়া ডিঙিয়ে বড় জায়গা করে নিয়েছে দেশের রাজনীতিতেও। বিজেপির সুব্রহ্মণ্যম স্বামী ইতিমধ্যেই এই মৃত্যু তদন্তে সিবিআই দাবি করেছেন। গতকাল মহারাষ্ট্রের উপ মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ারের ছেলে পার্থ পাওয়ার রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখের সঙ্গে দেখা করে একই অনুরোধ করেছেন। যাঁরা দাবি করছেন, সুশান্তকে আত্মহত্যায় বাধ্য করা হচ্ছে, তাঁদের বক্তব্য, কয়েকটি প্রযোজনা সংস্থা তাঁকে কাজ দিচ্ছিল না, অন্য সংস্থার অফার করা ছবিও হাত থেকে কেড়ে নিয়েছিল। যশরাজ ফিল্মসে তাঁর তিনটি ছবির চুক্তি ছিল, তাঁকে তারা কাজ দিচ্ছিল না, অথচ অন্যের ছবিতেও কাজ করতে বাধা দিচ্ছিল। কিন্তু রণবীর সিংহেরও তাদের সঙ্গে একই চুক্তি থাকলেও অন্য প্রযোজনা সংস্থার ছবিতে কাজ করতে তাঁর কোনও অসুবিধে হয়নি। পরিচালক কর্ণ জোহরের বিরুদ্ধে উঠেছে স্বজনপোষণের অভিযোগ, তিনি বলিউডের তারকা পুত্র কন্যারা ছাড়া আর কাউকে কাজ দেন না, উল্টে টিভি শোয়ে সুশান্তকে নিয়ে প্রকাশ্যে বিদ্রূপ করেছেন। আজ তাঁকে ও তাঁর প্রযোজনা সংস্থার সিওও অপূর্ব নেহতাকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করবে। কর্ণের ড্রাইভ ছবিতে সুশান্ত কাজ করেন, পুলিশের প্রশ্ন, কেন সেটির বড় পর্দায় নয়, ওটিটি রিলিজ হয়। প্রশ্ন আরও আছে। সুশান্ত শেষ ৩ মাসে তাঁর ফোন নম্বর পঞ্চাশবারের মত পাল্টেছিলেন। জানা গিয়েছে, একটি বড় প্রকাশনা সংস্থার সঙ্গে বই লেখা নিয়ে কথা বলছিলেন তিনি। ওই সংস্থার এক সিনিয়র এডিটর তিনবার মুম্বই গিয়ে সুশান্তের বাড়িতে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। তবে বইটি শেষ পর্যন্ত লেখা হয়নি। এখন প্রশ্ন, সুশান্তের কী লেখার ছিল? তাঁর কি সত্যিই মানসিক কোনও সমস্যা ছিল, যা তাঁকে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দেয়? নাকি তাঁর মৃত্যুর পিছনে আরও কোনও কারণ আছে, বলিউডের সব থেকে প্রভাবশালীদের আড়ালের কোনও চেষ্টা চলছে না তো? তাঁর মৃত্যু নিয়ে ষড়যন্ত্রের অসংখ্য তত্ত্ব উঠেছে, এর তলাতেই কি চাপা পড়ে যাবে এই মৃত্যু রহস্য? মহেশ ভট্ট নাকি পুলিশকে বলেছেন, সুশান্তের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়েছে মাত্র ২ বার, তিনি তাঁকে কোনও ছবি অফার করেননি। তাঁর প্রযোজনা সংস্থা শুধু নতুনদেরই সুযোগ দেয়, দাবি করেছেন তিনি। কিন্তু ঘটনা হল, ভট্টদের প্রযোজিত ছবি সড়ক ২-তে কাজের সুযোগ চেয়ে সুশান্ত মহেশের সঙ্গে দেখা করেছিলেন, যদিও কাজ যায় আর এক প্রভাবশালী বাড়ির ছেলে আদিত্য রায় কপূরের কাছে। যে কোনও প্রতিভাবান ব্যক্তির মত সুশান্ত অত্যন্ত সংবেদনশীল ছিলেন। নিজের যোগ্যতায় বলিউডের মত নির্মম জায়গায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন তিনি, বহিরাগত তকমার মূল্যও তাঁকে চোকাতে হয়েছে প্রতি মুহূর্তে। তাঁর সম্পর্কে সহ অভিনেত্রীদের উত্যক্ত করা, মি টু-র যে অভিযোগ উঠেছিল, তা তাঁকে গভীরভাবে আহত করেছিল। কর্ণ জোহরের কফি উইথ কর্ণ-এ তাঁকে নিয়ে ঠাট্টা ইয়ার্কিও তিনি হালকাভাবে নিতে পারেননি, জানিয়েছে তাঁর পরিবার।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও পড়ুন






















