Safest Countries: মাথার উপর তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের খাঁড়া, নিরাপদ আশ্রয় হতে পারে এই দেশগুলি…
World War 3: যদি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ নেমে আসে, সেক্ষেত্রে নিরাপদ আশ্রয় হয়ে উঠতে পারে কিছু দেশ।

নয়াদিল্লি: ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আমেরিকার প্রেসিডেন্টের দাবি, ইরান এবং ইজরায়েল, দুই দেশ প্রায় একই সময়ে তাঁর কাছে শান্তির প্রস্তাব পেশ করে। যদিও ইরানের দাবি, কাতারে আমেরিকার সেনাঘাঁটিতে তারা আঘাত হানার পর, ট্রাম্পই যুদ্ধবিরতির জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন। আসলে ঠিক কী ঘটেছে, তা নিয়ে কাটাছেঁড়া চলছে এই মুহূর্তে। তবে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা হলেও, যুদ্ধের ফাঁড়া একেবারে কেটে গিয়েছে বলে মনে করছেন না কূটনীতিকরা। কারণ পশ্চিম এশিয়ায় ইজরায়েল বনাম হামাস যুদ্ধ এখনও অব্যাহত, রাশিয়া বনাম ইউক্রেন যুদ্ধও চলছে। ফলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের খাঁড়া মাথার উপর ঝুলছে বলেই মত তাঁদের। সত্যি সত্যিই যদি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ নেমে আসে, সেক্ষেত্রে নিরাপদ আশ্রয় হয়ে উঠতে পারে কিছু দেশ। (Safest Countries)
আন্টার্কটিকা: তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ নেমে এসে, পৃথিবীর সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয় হতে পারে আন্টার্কটিকা। পৃথিবীর একেবারে দক্ষিণ মেরুতে অবস্থান। অন্য সব দেশের থেকে বিচ্ছিন্ন। কৌশলগত ভাবে তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। পাশাপাশি, আয়তনে বড় হওয়ায় প্রচুর মানুষ ধরবে। (World War 3)
আইসল্যান্ড: আন্টার্কটিকা দক্ষিণে। উত্তরে রয়েছে আইসল্যান্ড। পৃথিবীর অন্যতম শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে গণ্য হয়। কোনও রকম যুদ্ধ বা আগ্রাসনে কখনও নাম জড়ায়নি আইসল্যান্ডের।
দক্ষিণ আফ্রিকা: যুদ্ধ দেখা দিলে দক্ষিণ আফ্রিকাও নিরাপদ আশ্রয় হয়ে উঠতে পারে। উর্বর জমি, বিশুদ্ধ পানীয় জলের অভাব নেই। খাদ্যশস্যের প্রাচুর্যও রয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় স্বনির্ভর হয়ে ওঠার সুযোগ মিলবে।
ফিজি: ফিজি আসলে একটি দ্বীপরাষ্ট্র। প্রতিবেশী অস্ট্রেলিয়ার থেকেও দূরত্ব ২৭০০ মাইল। বিশ্ব শান্তি সূচকে উপরের দিকে স্থান ফিজির। সেখানে প্রাকৃতিক সম্পদের অভাব নেই।
চিলে: দক্ষিণ আমেরিকার বুকে অবস্থিত দেশ চিলে। খাদ্যশস্যের প্রাচুর্য রয়েছে। প্রাকৃতিক সম্পদের উপর নির্ভর করেই জীবন চলতে পারে। পাশাপাশি, পরিকাঠামোর দিক থেকেও বেশ উন্নত চিলে।
আর্জেন্টিনা: পরমাণু যুদ্ধ হলেও, আর্জেন্টিনায় দুর্ভিক্ষের সম্ভাবনা নেই বলে মত বিশেষজ্ঞ মহলের। কৃষি সমৃদ্ধ দেশ আর্জেন্টিনা। সূর্যালোক ঢেকে গেলেও সঞ্চিত খাদ্যশস্যে পেট চলে যাবে।
নিউজিল্যান্ড: বিশ্ব শান্তি সূচকে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে নিউজিল্যান্ড। যে কোনও সংঘাতে নিরপেক্ষ অবস্থান নেয়। পাহাড়-পর্বতে ঘেরা নিউজিল্যান্ড প্রাকৃতিক ভাবেই সুরক্ষিত।
টুভালু: হাওয়াই এবং অস্ট্রেলিয়ার মাঝে অবস্থিত। জনসংখ্যা মাত্র ১১ হাজার। উন্নত পরিকাঠামো নেই, প্রাকৃতিক সম্পদেও সমৃদ্ধ নয়। ফলে টুভালু দখল করতে তেমন আগ্রহ নেই।
সুইৎজারল্যান্ড: শান্তি এবং নিরপেক্ষতা সুইৎজারল্যান্ডের সমার্থক হয়ে দাঁড়িয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকেই কোনও যুদ্ধ, সংঘাতে জড়ায় না সুইৎজারল্যান্ড। পাহাড়-পর্বতে ঘেরা দেশটি প্রাকৃতিক ভাবে সুরক্ষিত। পাশাপাশি, পরমাণু যুদ্ধ হলে প্রাণ বাঁচানোর উপযুক্ত নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থাও রয়েছে সেখানে।
গ্রিনল্যান্ড: পৃথিবীর বৃহত্তম দ্বীপ। একেবারে প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থান বলে, কারও তেমন আগ্রহ নেই। রাজনৈতিক ভাবেও নিরপেক্ষ গ্রিনল্যান্ড। জনসংখ্যা মাত্র ৫৬ হাজার।
ইন্দোনেশিয়া: আকারে ছোট হলেও ইন্দোনেশিয়া অন্যতম শান্তিপূর্ণ দেশ। সমস্ত সংঘাত থেকেও নিজেদের দূরে রেখেছে তারা। গোড়া থেকেই তাদের বিদেশনীতি মুক্ত। শান্তিকামী দেশ হিসেবে রয়েছে সুনামও।






















