Chargeable Lantern: কেরোসিন নয়, সমুদ্রের জলেই লন্ঠনে জ্বলে আগুন
Lantern: এর এতটাই শক্তি যে একবার চার্জ দিলে প্রায় ৪৫ দিনের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
নয়া দিল্লি: গুয়াজিরা উপদ্বীপ। এমন নাম না শোনাটাই স্বাভাবিক। দক্ষিণ আমেরিকার উত্তরতম প্রান্তে একটি উপকূলীয় মরুভূমি, মহাদেশের দরিদ্রতম স্থানগুলির মধ্যে একটি। সেখানে বিদ্যুতের ব্যবহার অত্যন্ত কম। একাধিক এলাকায় বিদ্যুৎও নেই। তবে বাসিন্দারা সম্প্রতি ছোট লণ্ঠন নিয়ে পরীক্ষা করা শুরু করেছে, যা প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়।
এমন একটি হ্যান্ডহেল্ড ডিভাইস, যাকে বলা হয় ওয়াটারলাইট। এটিতে প্রায় দুই কাপ সমুদ্রের জল দিয়ে পূর্ণ করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। জলের ইলেক্ট্রোলাইটগুলি আলোতে ম্যাগনেসিয়ামের সঙ্গে বিক্রিয়া করে বিদ্যুৎ তৈরি করে। এর এতটাই শক্তি যে একবার চার্জ দিলে প্রায় ৪৫ দিনের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। যখন আলোর অন্য চার্জের প্রয়োজন হয়, তখন এটি জল দিয়ে পূর্ণ হয়। দুই থেকে তিন বছর ব্যবহারের জন্য এই চার্জ অনেকটাই। এরপর ফের জল ভরে পুনর্ব্যবহার করা যেতে পারে।
এটি দেখতে একটি সৌর লন্ঠনের মতো। জানা গিয়েছে মাছ ধরতে যাওয়া নৌকায় এটি ব্যবহার করা হয়। লণ্ঠনটি ধীরে ধীরে একটি মোবাইল ফোন বা একটি ছোট রেডিও চার্জ করতে পারে। যেখানে যেখানে বিদ্যুৎ নেই, সেখানে এই ধরনের লাইট ব্যবহার করার কথা চিন্তা করা হচ্ছে।
তবে এই লন্ঠনটি কিন্তু বেশ ব্যয়বহুল। অন্তত প্রাথমিক পর্যায়ে, প্রতি লন্ঠনের দাম শুরু ৬০ ডলার থেকে ১০০ ডলার পর্যন্ত। এর চেয়ে বরং সোলার লাইট যার দাম একাধিক গুণ কম। সোলার প্যানেল বা সৌরশক্তির প্যানেল ৷ মাসে ৩০ দিনই সূর্যের আলো পাওয়া যায় তাই বাড়ির ছাদেই এই সৌরশক্তির প্যানেল বসালেই পাওয়া যায় সুবিধা।