Pakistan Election 2024:ভোটগণনায় দেরি, পরাজিতদের কেউ কেউ 'রিগিং'-র অভিযোগে আদালতে দ্বারস্থ পাকিস্তানে
Imran Khan:একে ভোটগণনায় দেরি, তার উপর বেশ কয়েকজন পরাজিত প্রার্থী 'রিগিং'-র অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন বলে খবর।
কলকাতা: একে ভোটগণনায় (Pakistan General Election 2024) দেরি, তার উপর বেশ কয়েকজন পরাজিত প্রার্থী 'রিগিং'-র (Rigging) অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন বলে খবর। সব মিলিয়ে রবিবার সকালেও পাকিস্তানের নির্বাচনী ফলাফল ঘিরে ধোঁয়াশা পুরোপুরি কাটল না। এর মধ্যে আবার সে দেশের নির্বাচন কমিশন নির্দিষ্ট কয়েকটি পোলিং স্টেশনে পুনরায় ভোটের নির্দেশ দিয়েছে। অন্য একটি পোলিং স্টেশনে ভাঙচুরের রিপোর্ট-ও তলব করে তারা।
সরকার গঠন কোন পর্যায়ে?
নওয়াজ শরিফের দল পিএমএল(এন)-র তথ্য সচিব মরিয়ম ঔরঙ্গজেব জানান, এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। আসিফ আলি জারদারি তাঁর দলের সঙ্গে কথা বলবেন। একই সঙ্গে মরিয়ম মনে করান, নির্দল যাঁরা এই নির্বাচনে জিতেছেন, তাঁরাও গুরুত্বপূর্ণ। বার্তা স্পষ্ট। সরকার গঠনের জন্য সব তরফের সঙ্গে আলোচনার রাস্তাই খোলা রাখতে চায় পিএমএল(এন)। পিপিপি চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি গত কাল অবশ্য জানিয়েছিলেন, পিটিআই, পিএমএল(এন) বা অন্য কোনও দলের সঙ্গে তাঁদের দলের কোনও আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়নি। তা হলে কবে হবে সরকার গঠন? দোলাচল বাড়ছে। তার মধ্যে খবর, আগামী কয়েকদিনে আরও বেশ কিছুজন রিগিংয়ের অভিযোগ জানিয়ে হাইকোর্টে যেতে পারেন। এর মধ্য়ে, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ সমর্থিত ২ নির্দল প্রার্থী লাহৌর হাইকোর্টে আপিল জানিয়েছেন। PP-164 and NA-118, এই নির্বাচনী কেন্দ্রে ভোটের ফলাফল চ্যালেঞ্জ জানিয়ে লাহৌর হাইকোর্টে যান তাঁরা। এই দুটি নির্বাচনী কেন্দ্র শেহবাজ শরিফ এবং তাঁর ছেলে হামজা শেহবাজ জিতেছেন বলে খবর।
পরিস্থিতি যা...
রবিবার ভোর পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে, তাতে পিটিআই সমর্থিত নির্দল প্রার্থীরা ৯৩টি আসনে জয়ী। পিএমএল(এন) জিতেছে ৭৩ আসনে, পিপিপি-র ঝুলিতে গিয়েছে ৫৪টি আসনে। ফলাফল ঘোষণায় দেরি থাকলেও গত কাল মোটামুটি যে ধারা স্পষ্ট হয়েছিল তাতে বোঝা যায়, দল হিসেবে পিএমএল(এন) এগিয়ে। কিন্তু আসনসংখ্যার নিরিখে এগিয়ে পিটিআই-সমর্থিত নির্দলরা। সেক্ষেত্রে সরকার গঠনে কে কার হাত ধরবে, এই নিয়ে জল্পনা চলছিল। এমনিতে ৮ ফেব্রুয়ারি ভোটের পর থেকেই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছিলেন, এবার সম্ভবত কোনও স্পষ্ট জনাদেশ আসবে না। তাতে পাকিস্তানের পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে বলেই আশঙ্কা। ২০২২ সালে ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর পিএমএল(এন) এবং পিপিপি মিলে সরকার গঠন করেছিল। তার পর থেকে টানা ওঠাপড়ার মধ্যে দিয়ে গিয়েছে পাকিস্তান। এমনকী নির্বাচন নিয়েও কম জলঘোলা হয়নি। আপাতত, জেলবন্দি পিটিআই প্রধান ইমরান খান। তবে নির্বাচনের ফলাফল কিছুটা স্পষ্ট হতে, গত কালই জনসাধারণের উদ্দেশে বার্তা (আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স জেনারেটেড) দিতে শোনা যায় তাঁকে।