Barabanki News: শেষ পোস্টে লিখলেন, 'হমারি অধুরি কহানি', সিঁদুরদানের ছবিও, প্রেমিকা মুখ ফেরোনায় চরম পদক্ষেপ যুবকের
Uttar Pradesh News: উত্তরপ্রদেশের বরাবঁকির ঘটনা।
নয়াদিল্লি: পারিপার্শ্বিক চাপ সত্ত্বেও নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন তাঁরা। সম্পর্ক ভেঙে বেরিয়ে আসা তো দূর, আদালতে গিয়ে বিয়ে সেরেছিলেন। গলায় মালা পরে, সিঁদুরদান হয়েছিল। সম্পর্কের উপর আইনি সিলমোহরও পড়েছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেইসব ছবি জ্বলজ্বল করছে এখনও। কিন্তু সঠিক অর্থে পূর্ণতা পেল না সেই ভালবাসা। প্রেমিকার পরিবারের চাপে শেষ পর্যন্ত নিজেকে শেষ করে দিলেন যুবক। প্রেমিকার উদ্দেশে লিখে গেলেন, 'হমারি অধুরি কহানি' (আমাদের অসম্পূর্ণ কাহিনি)। ( Barabanki News)
উত্তরপ্রদেশের বরাবঁকির ঘটনা। সুধীর কুমার নামের ২৫ বছরের এক যুবক সেখানে আত্মঘাতী হয়েছেন। প্রেমিকার পরিবার যেভাবে হেনস্থা করছিল, তাতেই তিনি চরম পদক্ষেপ করতে বাধ্য হন বলে সুইসাইড নোটে অভিযোগ করেছেন সুধীর। নিজেকে শেষ করে দেওয়ার আগেও ফেসবুকে প্রেমিকার সঙ্গে নিজের ছবি পোস্ট করে গিয়েছেন তিনি। ছবিতে তাঁদের সিঁদুরদানের মুহূর্ত, বিয়ের আইনি শংসাপত্র জ্বলজ্বল করছে। (Uttar Pradesh News)
সুধীর এবং তাঁর প্রেমিকা কোমলের মধ্যে চার বছরের সম্পর্ক ছিল বলে জানা গিয়েছে। মাস ছয়েক আগে তাঁরা আইনি বিয়ে সারেন বলে দাবি সুধীরের। তাঁর দাবি, গোড়া থেকেই তাঁদের সম্পর্কে আপত্তি ছিল কোমলের পরিবারের। লাগাতার সেই নিয়ে হেনস্থা করা হচ্ছিল। কিন্তু পরস্পরের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলেন তাঁরা। কোমল তাঁর সঙ্গেই থাকতে চেয়েছিলেন। এমনকি কোমলের কথাতেই আইনি বিয়ে সারেন তাঁরা। কিন্তু তার পরই না কি সব ঘেঁটে যায়।
সুধীরের দাবি অনুযায়ী, কোমলের দাদা আয়ুষের সঙ্গে একই ঘরে থাকতেন তিনি। গোড়ায় বোনের সঙ্গে সুধীরের সম্পর্কে সায় ছিল আয়ুষের। কিন্তু কোমলের মা-বাবার আপত্তি ছিল। হেনস্থা করা হচ্ছিল লাগাতার। বাড়িতে শেষ পর্যন্ত আইনি বিয়ের কথা জানান কোমল। সুধীরের সঙ্গেই থাকতে চান বলে জানান। কিন্তু তার পর হঠাৎ কী ঘটল, তা বোধগম্য হয়নি সুধীরের। কোমল তাঁর সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দেন বলে জানিয়েছেন তিনি। এর পর তাঁকে না কি আরও হেনস্থা করা হয়!
সুধীরের অভিযোগ, বিবাহবিচ্ছেদের জন্য কোমলের পরিবারের তরফে চাপ দেওয়া হচ্ছিল তাঁকে। সেই নিয়ে ফোন আসত অহরহ। সুধীর জানিয়েছিলেন, কোমল যদি নিজে থেকে বিবাহবিচ্ছেদ চান, তাঁকে সরাসরি জানান, তাহলে রাজি হয়ে যাবেন। কিন্তু তার পরও হেনস্থা বন্ধ হয়নি বলে অভিযোগ সুধীরের। কোমল, আয়ুষ এবং তাঁদের পরিবার সুধীরকে না কি মরে যেতেও বলেন!
গতকাল রাতে ফেসবুকে কোমলের সঙ্গে নিজের ছবি আপলোড করেন সুধীর। এর পরই বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির সামনে একটি গাছে সুধীরের নিথর দেহ ঝুলতে দেখা যায়। সুধীরের পরিবারের দাবি, বিবাহবিচ্ছেদের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল কোমলের পরিবার থেকে। প্রতি মুহূর্তে ফোন করে হেনস্থা করা হতো সুধীরকে। সুধীরের দেহ ময়নাতনন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশ আধিকারিক সন্তোষ কুমার জানিয়েছেন, সুধীরের পরিবার অভিযোগ দায়ের করেছে। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বিষয়টিকে।