Viral News: সরকারি চাকরি পেয়েই ঘুষে মন! ১০ হাজারের লোভে হাতেনাতে পাকড়াও
Corruption: ঘটনাস্থল ঝাড়খন্ডের কোডার্মা। ঘুষ নিতে গিয়ে দুর্নীতি দমন ব্যুরোর অফিসারদের হাতে পাকড়াও হয়েছেন ওই অভিযুক্ত অফিসার।
হাজারিবাগ: চাকরি পাওয়ার পরে প্রথম পোস্টিং। একবছরও হয়নি সরকারি চাকরি করছিলেন। কিন্তু তার মধ্যেই ছন্দপতন। চাকরি পাওয়ার আট মাসের মধ্যেই ঘুষ নিতে গিয়ে হাতেনাতে পাকড়াও এক সরকারি আধিকারিক। ঘটনাস্থল ঝাড়খন্ডের কোডার্মা। ঘুষ নিতে গিয়ে দুর্নীতি দমন ব্যুরোর অফিসারদের হাতে পাকড়াও হয়েছেন ওই অভিযুক্ত অফিসার।
অভিযুক্ত অফিসারের নাম মিতালি শর্মা। ঝাড়খন্ডের সমবায় বিভাগের এক কর্তা ছিলেন তিনি। সরকারি চাকরির পরীক্ষায় পাশ করে তালিকায় নাম উঠেছিল। তারপরেই প্রথম পোস্টিং হয়েছিল সমবায় বিভাগে। কোডার্মাতে সরকারি রেজিস্ট্রার হিসেবে প্রথম পোস্টিং পেয়েছিলেন তিনি। সেখানেই গত আট মাস ধরে কর্মরত ছিলেন। শেষমেষ ধরা পড়লেন ঘুষ নিতে গিয়ে। স্থানীয় একটি সংস্থার কাছ থেকে ঘুষ নিতে গিয়ে হাজারিবাগ অ্যান্টি করাপশন ব্যুরো (ACB)-এর আধিকারিকদের হাতে ধরা পড়েন তিনি। সূত্রের খবর, ব্যাপারটি মোটেই আচমকা হয়নি। আঁটঘাঁট বেঁধে খবর নিয়েই এই সরকারি অফিসারকে হাতেনাতে ধরার ফাঁদ পেতেছিলেন দুর্নীতি দমন শাখার অফিসারেরা।
অভিযুক্ত অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, স্থানীয় একটি সংস্থার কাছ থেকে চাপ দিয়ে টাকা আদায় করছিলেন তিনি। ওই এলাকায় আচমকা পরিদর্শনের সময় কোনও একটি অনিয়ম ধরা পড়েছিল তাঁর চোখে। তা নিয়েই চাপ দেওয়ার সূত্রপাত। ওই এলাকায় একটি ব্যবসায়ী সমিতির কাছ থেকে টাকা দাবি করছিলেন বলে অভিযোগ। নানা কথাবার্তার পরে স্থানীয় ওই ব্যবসায়ী সমিতি অভিযুক্ত অফিসার মিতালি শর্মাকে ঘুষ দিতে রাজি হয় বলে সূত্রের খবর। অবশ্য, এই ঘুষের চাহিদা মানতে পারেননি ওই ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য রামেশ্বর প্রসাদ। তিনি দুর্নীতি দমন শাখার ডিজির কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। দুর্নীতি দমন শাখার উচ্চপদস্থ আধিকারিক সাদিক আনোয়ার রিজভি জানিয়েছেন, রামেশ্বর প্রসাদ জানিয়েছিলেন মিতালি শর্মা তাঁদের কাছ থেকে ২০০০০ টাকা ঘুষ চেয়েছেন। অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে দুর্নীতি দমন শাখার তরফ থেকে ফাঁদ পাতা হয়। প্রথম কিস্তিতে ১০০০০ টাকা দিতে বলা হয় অভিযোগকারীকে। ৭ জুলাই সেই টাকা নেওয়ার সময় অভিযুক্ত সরকারি অফিসারকে হাতেনাতে ধরেন দুর্নীতি দমন শাখার আধিকারিকরা।
ভারতে নানা স্তরে, বিশেষ করে সরকারি কাজের ক্ষেত্রে দুর্নীতি নিয়ে বারবার নানা প্রশ্ন উঠেছে। সরকারি কর্মী ও আধিকারিকদের একটি অংশ এই বেআইনি কাজে জড়িত। আবার সরকারের কর্মী-আধিকারিকদের একটি অংশই এই সমস্যা উপড়ে ফেলার জন্য দিনরাত পরিশ্রম করছেন।