Weather Alert : প্রবল বৃষ্টিতে রাজপথে বইছে স্রোত, ৭ কিলোমিটার যানজট গুরুগ্রামে ! ৬ ঘণ্টা নড়ল না গাড়ি
কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটে আটকে থাকতে হয় যাত্রীদের। ঘণ্টাখানের পথ ঘণ্টা ছয়েক লেগে যায় বলে অভিযোগ।

অস্বাভাবিক বেশি বৃষ্টিপাত চলছে সারা দেশের বিভিন্ন রাজ্যে। সোমবার সারারাত বৃষ্টি দেখেছে কলকাতা। এদিনই অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হয়েছে রাজধানী দিল্লি, গুরুগ্রামে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা, টানা বৃষ্টিতে কার্যত ভেসে যায় রাজপথ। বেহাল হয়ে পড়ে দ্রুত নিকাশি ব্যবস্থা। তার জেরে শহর জুড়ে নজিরবিহীন তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। যানবাহন শ্লথ হয়ে পড়ে দিল্লি-এনসিআর-এ। গুরুগ্রামের দিল্লি-জয়পুর ন্যাশনাল হাইওয়েতে কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। গভীর রাত পর্যন্ত চাকা ঘোরেনি । কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটে আটকে থাকতে হয় যাত্রীদের। ঘণ্টাখানের পথ ঘণ্টা ছয়েক লেগে যায় বলে অভিযোগ। প্রবল বৃষ্টির জেরে পরিস্থিতি এমনই, গুরুগ্রামের বেশ কিছু কোম্পানি মঙ্গলবার ওয়ার্ক ফ্রম হোমের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মঙ্গলবারও দিল্লি-এনসিআর-এ ভারী বৃষ্টিপাতের কমলা সতর্কতা জারি রয়েছে। হাতিনি কুন্ড ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার পর যমুনা বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। যমুনার জল প্লাবিত করতে পারে আশপাশের এলাকা।
গুরুগ্রামে ট্রাফিকের ভয়ানক পরিস্থিতির ছবিতে ছেয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। কিলোমিটারের পর কিলোমিটার দাঁড়িয়ে গাড়ি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা সরণ শূন্য। যানজটে ছয় ঘণ্টারও বেশি সময় কাটাতে হয়েছে কাউকে কাউকে। অ্যাপক্যাব বা টু-হুইলার বুকিং করতে গিয়েও কার্যত নাকাল হন যাত্রীরা। যনজটের চক্রব্যূহে পড়তে চাইছিলেন না বেশির ভাগই । এরই মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় এক অ্যাপ ক্যাব বাইকচালককে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন এক যাত্রী। অফিসযাত্রী দীপিকা নারায়ণ ভরদ্বাজের বুকিং অ্যাকসেপ্ট করেন তিনি। তারপর যানজটে আটকে থাকেন প্রায় ৬ ঘণ্টা। চালক সুরজ মৌর্য নাকি এতক্ষণ যানজটে আটকে থেকেও একফোঁটা উষ্মাপ্রকাশ করেননি। এক্স পোস্টে জানান দীপিকা।
উত্তর ভারতে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে চলছে অবিরাম বর্ষণ। নয়ডা, গুরুগ্রাম এবং গাজিয়াবাদ সহ দিল্লি-এনসিআর-এ ভারী বৃষ্টিপাতের কমলা সতর্কতা জারি করেছে আইএমডি। তীব্র বৃষ্টিপাতের সতর্কবার্তা রয়েছে রাজধানী দিল্লির জন্য। ভারী বৃষ্টিতে গুরুগ্রামে কার্যত জলবন্দি। রাজপথ যেন নদীপথ। সেই সঙ্গে ব্যাপক যানজটের বিড়ম্বনা। স্থানীয় সূত্রে দাবি, সোমবার ৭ কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে যানজট ছিল। মঙ্গলবারও সেখানে ভারী বৃষ্টির কমলা সতর্কতা জারি হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন সমস্ত স্কুল, কলেজ এবং অফিস বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছে। প্রয়োজনে ওয়ার্ক ফ্রম হোমের বিকল্প নেওয়া হচ্ছে।
হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডেও প্রকৃতির রুদ্ররূপ অব্যাহত থাকবে। হড়পা বাণ এবং খুব ভারী বৃষ্টিপাতের লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পাঞ্জাব, জম্মু ও কাশ্মীর বর্তমানে কমলা সতর্কতার আওতায় রয়েছে।























