প্রয়াত কবি শঙ্খ ঘোষের স্ত্রী প্রতিমা ঘোষ
প্রয়াত বিশিষ্ট কবি শঙ্খ ঘোষের স্ত্রী।
কলকাতা: প্রয়াত কবি শঙ্খ ঘোষের স্ত্রী প্রতিমা ঘোষ। কবির প্রয়াণের ৮ দিনের মধ্যে কবিজায়ার জীবনাবসান। করোনা আক্রান্ত হয়ে হোম আইসোলেশনে ছিলেন প্রতিমা ঘোষ। বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর।
জলপাইগুড়িতে জন্ম প্রতিমা ঘোষের। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে শঙ্খ ঘোষের সহপাঠিনী ছিলেন। অধ্যাপনা করেছেন বিদ্যাসাগর মর্নিং কলেজে। লিখেছেন একাধিক বই। আজ সকালে বাড়িতেই মৃত্যু হয় শঙ্খ ঘোষের স্ত্রীর। তাঁর পরিবারের বেশ কয়েকজন করোনা আক্রান্ত। কেউ কেউ ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে।
কোভিড আক্রান্ত হয়ে তিনি হোম আইসোলেশনে ছিলেন। আজ অকাল ৫টা নাগাদ তাঁর জীবনাবসান হয়।৮৯ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন প্রতিমা ঘোষ।
আট দিন আগেই বাংলা সাহিত্য জগতে ইন্দ্রপতন হয়। জীবনাবসান ঘটে কবি শঙ্খ ঘোষের । বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। ১২ এপ্রিল থেকে সর্দি-কাশিতে ভুগছিলেন। পরে তাঁর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। বর্ষীয়ান কবি হাসপাতালে যেতে অনিচ্ছুক ছিলেন। তাই হোম আইসোলেশনেই চলছিল চিকিৎসা। এরপর বাড়িতেই জীবনাবসান হয় শঙ্খ ঘোষের।
১৯৩২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের চাঁদপুরে জন্ম হয় শঙ্খ ঘোষের। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতকোত্তর। কর্মজীবনে বঙ্গবাসী কলেজ, সিটি কলেজ, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন। পড়িয়েছেন বিশ্বভারতী ও দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়েও। পেয়েছেন জ্ঞানপীঠ, সাহিত্য অ্যাকাডেমি-সহ একাধিক পুরস্কার। তাঁর উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থগুলি হল ‘বাবরের প্রার্থনা’, ‘মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে’, ‘পাঁজরে দাঁড়ের শব্দ’, ‘মূর্খ বড় সামাজিক নয়’।
১৯৭৭ সালে বাবরের প্রার্থনা কাব্যগ্রন্থের জন্য সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কার পান শঙ্খ ঘোষ। ‘ধূম লেগেছে হৃৎকমলে’ কাব্যগ্রন্থের জন্য ১৯৮৯ সালে রবীন্দ্র পুরস্কার পান তিনি। ১৯৯৯ সালে কন্নঢ় ভাষায় লেখা নাটক অনুবাদের জন্য দ্বিতীয়বার সাহিত্য অ্যাকাডেমি সম্মান পান তিনি। ১৯৯৯ সালে দেশিকোত্তম সম্মানে ভূষিত করা হয় তাঁকে। ২০১১ সালে পান পদ্মভূষণ সম্মান। ২০১৬ সালে পান জ্ঞানপীঠ পুরস্কার। শঙ্খ ঘোষের প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে আসে সাহিত্য-সংস্কৃতি জগতে। তাঁর প্রয়ানের আটদিনের মধ্যে প্রয়াত হলেন তাঁর স্ত্রীও।