এক্সপ্লোর
Advertisement
‘অযথা ভয় পাবেন না’, সুস্থ হয়ে নিজের অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করলেন করোনাভাইরাস আক্রান্ত মার্কিন মহিলা
ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন আমেরিকার এক মহিলা। সুস্থ হয়ে কোভিড-১৯ নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতার কথা ফেসবুকে শেয়ার করেছেন তিনি। করোনাভাইরাস নিয়ে যাতে লোকজন অযথা আতঙ্কিত হয়ে না পড়েন, সেজন্যই সোশ্যাল মিডিয়ায় মাধ্যমে নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন তিনি।
নয়াদিল্লি: ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন আমেরিকার এক মহিলা। সুস্থ হয়ে কোভিড-১৯ নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতার কথা ফেসবুকে শেয়ার করেছেন তিনি। করোনাভাইরাস নিয়ে যাতে লোকজন অযথা আতঙ্কিত হয়ে না পড়েন, সেজন্যই সোশ্যাল মিডিয়ায় মাধ্যমে নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন তিনি।
ওই মহিলা সিয়াটেলের বাসিন্দা এলিজাবেথ স্কেইন্ডার। কীভাবে সংক্রমণ ঘটেছিল, উপসর্গ, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা, আগাম সতর্কতা ও ভাইরাস সম্পর্কে ভুল ধারনাগুলি সম্পর্কে আলোকপাত করেছেন তিনি। সবচেয়ে বড় কথা, তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
তাঁর ওই পোস্ট ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। ২৭ হাজারের বেশি সোশ্যাল মিডিয়া ওয়ালে ঘোরাফেরা করছে তাঁর সেই পোস্ট। লাইকও পড়েছে সাড়ে তিন হাজারের বেশি। ফেসবুক পোস্টে এলিজাবেথ জানিয়েছেন, বন্ধুদের অনুরোধেই নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করছেন তিনি। তাঁর এই অভিজ্ঞতা থেকে লোকজন ভালো তথ্য ও মনের শান্তি খুঁজে পাবেন বলেও আশাপ্রকাশ করেছেন তিনি।
এলিজাবেথ বলেছেন, ছোট্ট একটা ঘরোয়া পার্টিতে গিয়েই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তবে ওই পার্টিতে হাজির কারুর মধ্যেই হাঁচি-কাশির মতো অসুস্থতার লক্ষ্মণ ছিল না। এই পার্টিতে যাঁরা যোগ দিয়েছিলেন, তাঁদের প্রায় ৪০ শতাংশ অসুস্থ হয়ে পড়েন।
এলিজাবেথ বলেছেন, সংক্রমণ এড়াতে ভিড় এড়িয়ে চলাই উচিত। পার্টিতে যোগদানের তিনদিনের মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশ যোগদানকারী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁদের সবার মধ্যেই জ্বর সহ একই ধরনের উপসর্গ দেখা দিয়েছিল।
এলিজাবেথ মনে করেন, বয়স ও শারীরিক গঠনের কারণে উপসর্গ ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। তাঁর বন্ধুদের মধ্যে যাঁরা আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাঁদের বয়স ৫০-এর কাছাকাছি বা ৫০-এর বেশি। এলিজাবেথের বয়স ৩৭। তাঁদের সকলের জ্বর ও মাথাব্যথার মতো সমস্যা দেখা দিয়েছিল (তিনদিন টানা এবং পরের তিনদিন মাধেমধ্যেই জ্বর আসছিল ও ছেড়েও যাচ্ছিল)। সেইসঙ্গে শরীরে প্রচণ্ড ব্যাথা ও হাড়ের সংযোগস্থলের ব্যাথা এবং দুর্বলতা। প্রথম রাতে তাঁর জ্বর ১০৩ ডিগ্রি উঠেছিল। পরের দিন তা ১০০ এবং ৯৯.৫-এ নেমে আসে। একদিন গা বমিভাবও হয়েছিল। জ্বর কেটে যাওয়ার পর নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া ও গলা খুশখুশ করার মতো সমস্যা দেখা দেয়। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের সামান্য কাশি হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে খুবই কম ব্যক্তিরই বুকে আড়ষ্টতা ও শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা দেখা দিয়েছিল।
এলিজাবেথ জানিয়েছেন, অসুস্থতা ছিল ১০ থেকে ১৬ দিনের। কাশি ও শ্বাসকষ্ট না হওয়ায় তাঁদের অনেকেই পরীক্ষা করতে রাজি হননি। সিয়াটেল ফ্লু স্টাডি-তে এলিজাবেথ নিজের পরীক্ষা করান। তিনি বলেছেন, কিং কাউন্টি পাবলিক হেল্থ ডিপার্টমেন্ট উপসর্গ শুরু হওয়ার পর সাতদিন বা জ্বর সারার পর ৭২ ঘন্টা সকলের থেকে বিচ্ছিন্ন থাকার পরামর্শ দেয়।
এলিজাবেথের সেই সময়সীমা শেষ হয়ে গিয়েছে। তিনি এখন কঠিন পরিশ্রম ও ভিড় এড়িয়ে চলছেন। তিনি জানিয়েছেন, তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম না। কোভিড-১৯ আক্রান্ত মানেই সবাইকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় না। বাড়িতে থেকেই সুস্থ হয়ে ওঠেন তিনি।
এলিজাবেথ মনে করেন, অনেকেই মনে করেন যে, ঠাণ্ডা লেগেছে বা অন্য কিছু হয়েছে। সেজন্য পরীক্ষা না করেই প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করায় ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে। এজন্য অসুস্থ বোধ করলে পরীক্ষা করা সর্বাগ্রে প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তিনি।
তাঁর এই বার্তা অনেকের কাছে কার্যকরী হবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন এলিজাবেথ।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
ক্রিকেট
জেলার
জেলার
জেলার
Advertisement