Bangladesh Violence: বাংলাদেশে অশান্তি ঘিরে বিচারবিভাগীয় তদন্ত, ৬ জেলার ম্যাজিস্ট্রেটকে ২ মাসের মধ্যে রিপোর্ট জমার নির্দেশ
১৩ থেকে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত কুমিল্লা, ফেনি, নোয়াখালি, চট্টগ্রাম, চাঁদপুর ও রংপুরের একাধিক অশান্তির ঘটনা সামনে উঠে এসেছিল।
ঢাকা : উৎসবের সময়ে অশান্ত হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশ। দুর্গাপুজোর সময় বিভিন্ন পুজোমণ্ডপ ও বিভিন্ন মন্দিরে হামলার ঘটনা ঘটেছিল বাংলাদেশে। যা নিয়ে এবার বিচারবিভাগীয় তদন্ত শুরু হল। হাইকোর্টের তরফে ৬ জেলার ম্যাজিস্ট্রেটকে আগামী ৬০ দিনের মধ্যে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ১৩ থেকে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত কুমিল্লা, ফেনি, নোয়াখালি, চট্টগ্রাম, চাঁদপুর ও রংপুরের একাধিক অশান্তির ঘটনা সামনে উঠে এসেছিল। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালতে যা নিয়ে দায়ের হয়েছিল রিট পিটিশন। যে পিটিশন নিয়ে শুনানির মাঝে বিচারপতি মুজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহম্মদ কামরুল মোল্লা কুমিল্লা, ফেনি, নোয়াখালি, চট্টগ্রাম, চাঁদপুর ও রংপুরের মুখ্য মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেটদের ও ৬ জেলার মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেদের কাছে চেয়ে পাঠিয়েছেন যে রিপোর্ট।
কিছুদিন আগেই বাংলাদেশের হিংসার ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত ইকবাল হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তাকে চিহ্নিত করা হয়েছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, কক্সবাজার থেকে ইকবাল হোসেনকে গ্রেফতার করে। এই ইকবালই মসজিদ থেকে কোরান নিয়ে এসে কুমিল্লার পুজো মণ্ডপে রেখেছিল। তার ওই কাজের জন্যই ধর্মগ্রন্থ অবমাননার গুজবের জেরের বাংলাদেশে অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে। যে ঘটনার পর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিবৃতি দিয়ে জানান, 'হিংসার ঘটনায় যথাযথ পদক্ষেপ করছে বাংলাদেশ সরকার। কাউকে রেয়াত করা হবে না'। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, "তদন্ত হচ্ছে। অনেক তথ্য আমরা পাচ্ছি। যারা এমন ঘটনা ঘটাবে, ধর্ম নির্বিশেষে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভারতেও এমন কিছু যাতে না করা হয়, যার প্রভাব আমাদের দেশে এসে পড়ে এবং আমাদের দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর পড়ে।"
বাংলাদেশে অশান্তির ঘটনায় প্রায় ৪ হাজার জনের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা রুজু করেছে পল্টন, রমনা ও চকবাজার থানার পুলিশ। বহু অজ্ঞাত পরিচয়দের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয় শতাধিককে। হামলার প্রতিবাদে রবিবার কলকাতায় বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের সামনে প্রতিবাদ কর্মসূচি নেয় ইসকনের কলকাতা শাখা। গতকাল সকালে নিউটাউনে ইসকনের গোশালায় যান রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার। সেখানে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ইসকন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেন। এতকিছুর পরও বাংলাদেশে হিংসা অব্যাহত রয়েছে বলে অভিযোগ করেন কলকাতা ইসকনের সহ সভাপতি রাধারমণ দাস। তিনি বলেন, একটা স্ট্রং মেসেজ দিতে হবে। আমরা খবর পাচ্ছি হিংসা বন্ধ হয়নি। যে সব জায়গায় কার্ফু নেই সেই সব জায়গায় দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য চলছে। যতক্ষণ না আন্তর্জাতিক মহল বিষয়টিকে উত্থাপন করবে না, ততক্ষণ এর সমাধান হবে না।
আরও পড়ুন- গ্রেফতার বাংলাদেশের হিংসার ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত ইকবাল হোসেন
আরও পড়ুন- ভারতে যেন এমন কিছু না করা হয়, যার প্রভাব আমাদের দেশে পড়ে, বার্তা শেখ হাসিনার