এক্সপ্লোর
Advertisement
সঠিক পথেই চিনের করোনা ভ্যাকসিন তৈরির প্রয়াস, চলতি বছরেই শুরু উৎপাদনের কাজ?
মারাত্মক নোভেল করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক খুঁজে বের করতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই দিনরাত এক করে কাজ চালাচ্ছেন বৈজ্ঞানিক-গবেষকরা। এরইমধ্যে এ ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকায় চিন অবতীর্ণ হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। চলতি বছরেই কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন তৈরির ব্যাপারে আশাবাদী চিন।
বেজিং: মারাত্মক নোভেল করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক খুঁজে বের করতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই দিনরাত এক করে কাজ চালাচ্ছেন বৈজ্ঞানিক-গবেষকরা। এরইমধ্যে এ ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকায় চিন অবতীর্ণ হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। চলতি বছরেই কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন তৈরির ব্যাপারে আশাবাদী চিন।
চিনের রাষ্ট্রায়ত্ত অ্যাসেট সুপারভিশন অ্যান্ড অ্যাডডমিনিস্ট্রশেন কমিশনের সরকারি উইচ্যাট অ্যাকাউন্টে প্রকাশিত রিপোর্ট উল্লেখ করে সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে যে, চলতি বছরেই ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে বলে প্রত্যাশার পারদ চড়ছে।
এই ভ্যাকসিন নিয়ে বেজিং ইনস্টিটিউট অফ বায়োলজিক্যাল প্রোডাক্ট ও চিন ন্যাশনাল বায়োটেক গ্রুপ যৌথভাবে কাজ করছে। এ ব্যাপারে দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শেষ হয়েছে এবং চলতি বছরের শেষের দিকে বা আগামী বছরের শুরুতে তা বাজারে আসার জন্য প্রস্তুত হয়ে যেতে পারে। রিপোর্টে এমনটাই দাবি করা হয়েছে।
ওই ভ্যাকসিনের উত্পাদন কেন্দ্র সম্পূর্ণভাবে জীবাণুমুক্ত করা হবে এবং এরজন্য প্রস্তুতি খুব তাড়াতাড়িইই শুরু হয়ে যাবে এবং প্রতি বছর ১০০ থেকে ১২০ মিলিয়ন ভ্যাকসিন তৈরির ক্ষমতা থাকবে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণে ইতিমধ্যেই সারা বিশ্বে ৩,৬৫,০০-এর মতো মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি এই সংক্রমক রোগের প্রতিষেধর তৈরির আপ্রাণ চেষ্টা করছে। সারা বিশ্বে প্রায় ১০০ টি ভ্যাকসিন তৈরির কাজ চলছে। এরমধ্যে মাত্র কয়েকটি ক্ষেত্রেই ইতিবাচক ফল মিলেছে এবং যেগুলি মানব দেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের পর্যায়ে পৌঁছেছে। এক্ষেত্রে চিনের বিজ্ঞানীরা রয়েছেন প্রথমসারিতে।
ইতিমধ্যে চিনের কোম্পানিগুলির তৈরি পাঁচটি ভ্যাকসিন মানব শরীরে পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে। কোভিড-১৯ এর প্রতিষেধক তৈরির ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনের জন্য বেজিং স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ, ওষুধ নিয়ন্ত্রক ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলিকে একযোগে কাজে লাগিয়েছে।
গত সপ্তাহে চিনে প্রথম সম্ভাব্য ভ্যাকসিন মানব শরীরের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের প্রথম পর্যায় সম্পূর্ণ করেছে। এর ফলাফল আশাব্যঞ্জক। রিপোর্টে দাবি, এই ভ্যাকসিন মানব শরীরের পক্ষে নিরাপদ ও মারাত্মক করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সক্ষম হবে বলে আশা করা করা হচ্ছে।
কোনও সফল ভ্যাকসিন তৈরি হলে তা সারা বিশ্বের কাছে জানানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন চিনের প্রেসিডেনন্ট জি জিনপিং। কিন্তু এরপরও চিনের কোম্পাানিগুলি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। কারণ, তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা এমন জায়গায় করা প্রয়োজন, যেখানো করোনাভাইরাস দ্রুত ছড়াচ্ছে। চিনে সংক্রমণ দিনের পর দিন কমছে। সেইসঙ্গে সারা বিশ্বের চাহিদা মেটাতে কোনও কার্যকরী ভ্যাকসিনের ব্যাপক উত্পাদন ক্ষমতা থাকা দরকার।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
বিজ্ঞান
খবর
Advertisement