Shehbaz Sharif: 'প্রতিশোধ নেব না', জানালেন পাক প্রধানমন্ত্রী পদের দৌড়ে এগিয়ে থাকা শেহবাজ শরিফ
Frontrunner for Next Pak PM Shehbaz Sharif: ক প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন সদ্য প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা শাহবাজ শরিফ।
ইসলামাবাদ: পাক জাতীয় সংসদে আস্থা ভোটে হার নিশ্চিত জেনে ইমরান খান (Imran Khan) রণে ভঙ্গ দিতেই পাক প্রশাসনের নজরে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠরা। ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের দাবি, দলীয় মুখপাত্র আরসালান খালিদের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। পিটিআই (PTI) নেতার পরিবারের সকলের মোবাইল ফোনও বাজেয়াপ্ত করা হয় বলে দাবি। পাক প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন সদ্য প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা শাহবাজ শরিফ। তিনি অবশ্য বদলার রাজনীতিতে বিশ্বাসী নন বলে জানিয়েছেন।
এদিকে, অনাস্থা ভোটের আগেই রণেভঙ্গ দিলেন ইমরান খান ও তাঁর দলের সাংসদরা। গভীর রাতে পার্লামেন্টে ভোটাভুটিতে হার, মেয়াদ শেষের আগেই নাটকীয় পতন হল আরও এক পাক সরকারের। রাতেই হেলিকপ্টারে ইসলামাবাদ ছাড়লেন ইমরান। ৩৪২ আসনের পাক সংসদে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে পড়ল ১৭৪টি ভোট। এই প্রথম অনাস্থা ভোটে অপসারিত হলেন পাকিস্তানের কোনও প্রধানমন্ত্রী।পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী দৌড়ে এগিয়ে বিরোধী দলনেতা ও পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের সভাপতি শাহবাজ শরিফ।
আরও পড়ুন, কী চেয়েছিলেন, কী হল, আস্থাভোটে অপসারিত পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ইমরান
দিনভর ছিল হাই ভোল্টেজ ম্যাচের উত্তেজনা। ইমরান খানের কথা মতোই, খেলা গড়াল ম্যাচের শেষ বল পর্যন্ত। কিন্তু শেষপর্যন্ত কুর্সি বাঁচাতে ইমরান খানের কোনও ইয়র্কারই কাজে এল না। রাজনীতির রিভার্স স্যুইংয়ে শনিবার গভীর রাতে শেষ পর্যন্ত নিজেই মাঠের বাইরে ইমরান খান। ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ এবং ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে বৃহস্পতিবারই অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা করেছিল পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট।
শনিবার ছিল পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার শেষ দিন। পাক সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল, অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি সেরে ফেলতে হবে রাত সাড়ে ১০টার মধ্যে। স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৮টা থেকে ভোটাভুটি শুরুর কথা থাকলেও, সন্ধের পর আচমকা রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত সংসদ স্থগিত করে দেওয়া হয়। ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের তরফেও পাক সুপ্রিম কোর্টে তাদের অনাস্থা রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হয়। হার নিশ্চিত জেনে অনাস্থা ভোটের আগেই সংসদ ছেড়ে চলে যান ইমরান খানও তাঁর দলের সাংসদরা।