ফ্রান্সে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হল প্রথম রাফাল যুদ্ধবিমান, নামাঙ্কিত হল পরবর্তী প্রধানের নামে
ভারতীয় বায়ুসেনার ভাবী প্রধান এয়ার মার্শাল আরকেএস ভাদুরিয়ার নামেই প্রথম বিমানের টেল নম্বর ‘আরবি-০১’ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বর্দো (ফ্রান্স): প্রথম রাফাল যুদ্ধবিমান হাতে পেল ভারতীয় বায়ুসেনা। শুক্রবার ফ্রান্সে বর্দোয় রাফালের নির্মাতা ড্যাসল্ট এভিয়েশনের কারখানা থেকে প্রথম যুদ্ধবিমান গ্রহণ করে ভারতীয় বায়ুসেনার টিম। বায়ুসেনা সূত্রে খবর, ‘আরবি-০১’ টেল নম্বর দেওয়া প্রথম যুদ্ধবিমানটি গ্রহণ করেন এয়ার মার্শাল ভি আর চৌধুরির নেতৃত্বে ফ্রান্সে যাওয়া ভারতীয় বায়ুসেনা অফিসারদের একটি প্রতিনিধি দল। জানা গিয়েছে, এদিনই প্রায় এক-ঘণ্টা বিমানটি চালান এয়ার মার্শাল। প্রসঙ্গত, ভারতীয় বায়ুসেনার ভাবী প্রধান এয়ার মার্শাল আরকেএস ভাদুরিয়ার নামেই প্রথম বিমানের টেল নম্বর ‘আরবি-০১’ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ, এখনও পর্যন্ত দেশের বৃহত্তম প্রতিরক্ষা চুক্তি হিসেবে চিহ্নিত-- রাফাল চুক্তিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন ভাদুরিয়া। ভারত ও ফ্রান্সের মধ্যে হওয়া প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা চুক্তি অনুযায়ী, প্রথম বিমানটি ‘অ্যাকসেপটেন্স মোড’-এ ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হবে। এখন আগামী সাত মাস ধরে ফ্রান্সে বিমানটির বিভিন্ন পরীক্ষামূলক উড়ান হবে। জানা গিয়েছে, আগামী ৮ অক্টোবর, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহের ফ্রান্স সফরের সময়ে রাফালকে সরকারিভাবে ভারতীয় রায়ুসেনায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তবে, বিমানগুলি ভারতে আসবে পরের বছর মে মাস নাগাদ। এই সময়ে বিমানের বিভিন্ন পরীক্ষা এবং চালক ও রক্ষণাবেক্ষণ কর্মীদের প্রশিক্ষণ চলবে। জানা গিয়েছে, প্রত্যেকটি রাফাল যুদ্ধবিমানগুলিকে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে। পাশাপাশি, ভারতীয় বায়ুসেনার প্রয়োজন অনুযায়ী, তাতে বদল ঘটিয়ে আরও উন্নত করা হয়েছে। এর জন্য মোট খরচ প্রায় একশ কোটি ইউরো ছাড়িয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই, ভারতীয় বায়ুসেনার একটি ব্যাচের পাইলটকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তবে, আরও ২৪ জন পাইলটকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সেই কাজ আগামী বছরের মে মাসের মধ্যে সম্পন্ন হবে। উল্লেখ্য, রাফাল বিমানের দুটি স্কোয়াড্রন তৈরি করা হচ্ছে। একটি হরিয়ানার অম্বালায়, অন্যটি পশ্চিমবঙ্গের হাসিমারায়। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে ফরাসি সরকার ও ড্যাসল্টের সঙ্গে ৩৬টি বিমান কেনার জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল ভারত।