এক্সপ্লোর
Advertisement
ইন্দোনেশিয়ায় শিশুর ওপর যৌন নিগ্রহে সাজা মৃত্যুদণ্ড, লিঙ্গচ্ছেদ
জাকার্তা: শিশুদের ওপর যৌন অত্যাচার চালানো অপরাধীদের মৃত্যুদণ্ড, রাসায়নিক পদ্ধতিতে লিঙ্গচ্ছেদের সাজা চালু হল ইন্দোনেশিয়ায়। গতকাল এই সংক্রান্ত ডিক্রিতে সম্মতি দিয়েছেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো। ডিক্রিতে সাজা খেটে জেল থেকে বেরনোর সময় অপরাধীর পায়ে মাইক্রোচিপ বা নজরদারি চালানোর যন্ত্র লাগানোর ব্যবস্থাও রয়েছে তাতে।
জানা গিয়েছে, ধর্ষণের ফলে সংশ্লিষ্ট শিশুর মৃত্যু হলে বা সে মারাত্মক মানসিক, শারীরিক আঘাত পেলে ধর্ষণকারীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে। কেউ বারবার শিশুর ওপর যৌন নির্যাতন চালালে তার লিঙ্গচ্ছেদ করা হবে। আগের আইনে ধর্ষণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১৪ বছরের কারাবাসের সাজার সংস্থান ছিল।
সম্প্রতি ১৪ বছরের এক স্কুলছাত্রীর নৃশংস ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডে উত্তাল হয়েছিল ইন্দোনেশিয়া। মেয়েটি স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল। তাকে একদল মাতাল লোক, যুবক অপহরণ করে চরম যৌন নির্যাতন চালায়। কয়েকদিন বাদে তার হাত পা বাঁধা, নগ্ন দেহ পাওয়া যায় জঙ্গলে। জাতীয় স্তরে বিতর্কের জেরে সরকারের ওপর কঠোর সাজা চালু করার জন্য প্রবল চাপ তৈরি হয়। সেই প্রেক্ষাপটেই মৃত্যুদণ্ডের সাজার পক্ষে ব্যাপক জনমত তৈরি হয়েছে।
শাসক জোটের শরিক, ইসলামপন্থী দল, দি ন্যাশনাল অ্যাওয়েকেনিং পার্টির সদস্য আবদুল মালিক হারামাইন বলেছেন, লিঙ্গচ্ছেদের সাজার ফলে আলাদা প্রতিক্রিয়া হবে, যৌন নিগ্রহের পুনরাবৃত্তি রোধ করা যাবে। লিঙ্গচ্ছেদে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হবে না বলে দাবি করে তাঁর যুক্তি, দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া পেরিয়েই এমন সাজা দেওয়া হবে। ট্যুইটারেও লিঙ্গচ্ছেদের সাজার সমর্থনে কেউ কেউ লিখেছেন, যারা লিঙ্গচ্ছেদ, মৃত্যুদণ্ডের সাজা মানতে পারছে না, তাদের কাছে প্রশ্ন, ধর্ষণ ও খুন কি মানবাধিকার লঙ্ঘন নয়?
তবে সমাজকর্মীরা এ ধরনের সাজা মেনে নিতে পারছেন না। মানবাধিকার কর্মীদের মত, সরকার দিশাহারা হয়ে উদভ্রান্তের মতো এ ধরনের সাজা চালু করল। এহেন সাজা প্রতিহিংসাপরায়ণতার নামান্তর। সরকার যৌন হিংসার মতো বিষয়ে স্বচ্ছ, স্পষ্ট ভাবনাচিন্তাই নেই।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
জেলার
জেলার
ব্যবসা-বাণিজ্যের
Advertisement