Imran Khan: দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান, ইমরানকে কটাক্ষ মরিয়মের
Pakistan Politics: ভারতের বিদেশনীতির প্রশংসা করে বিপাকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ভারতের প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর কথা উল্লেখ করেই ইমরানকে বিঁধেছেন মরিয়ম নওয়াজ।
ইসলামাবাদ: পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে (Pakistan National Assembly) বিরোধীদের পেশ করা অনাস্থা প্রস্তাবের (No confidence motion) মুখোমুখি হওয়ার আগে হঠাৎই ভারতের প্রশংসা শোনা গেল প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের (Imran Khan) গলায়। তিনি ভারতের বিদেশনীতির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। একেই পাকিস্তানের ঘরোয়া রাজনীতিতে কোণঠাসা, ক্ষমতা হারানোর মুখে, তার উপর ভারতের প্রশংসা! পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের মেয়ে মরিয়মের (Maryam Nawaz) তীব্র কটাক্ষের মুখে পড়েছেন ইমরান। তাঁকে কটাক্ষ করে মরিয়ম বলেছেন, ইমরানের যদি ভারত এতই পছন্দের হয়, তাহলে তাঁর পাকিস্তান ছেড়ে ভারতে চলে যাওয়া উচিত।
ইমরানকে তোপ মরিয়মের
ট্য়ুইট করে ভারতের প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর কথা উল্লেখ করে ইমরানের বিরুদ্ধে তোপ দেগে মরিয়ম বলেছেন, ‘যাঁরা ভারতের এত প্রশংসা করছেন, তাঁদের জানা উচিত, ভারতের বিভিন্ন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ২৭ বার অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে। কিন্তু তাঁরা কেউই সংবিধানের বিরুদ্ধে ভোট দেননি। তাঁরা গণতন্ত্র ও নৈতিকতার সঙ্গে খেলা করেননি। অটল বিহারী বাজপেয়ী এক ভোটে হেরে গিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি দেশ, সংবিধান ও জাতিকে আপনার মতো পণবন্দি করে রাখেননি।’
ক্ষমতা হারানোর মুখে ইমরান
এদিকে, পাকিস্তানে অনাস্থা প্রস্তাবের মোকাবিলা করার আগে গদি টলমল ইমরানের। ম্যাজিক নম্বর ১৭২ হলেও, ইমরান আটকে আছেন ১৪২-এ। বিরোধীদের সঙ্গে আছেন ১৯৯ জন সাংসদ। সংসদের অধিবেশন বসার আগে একজোটে বৈঠকও করেছেন বিরোধীরা। বৈঠকের আগে ২১০টি চেয়ারের বন্দোবস্ত করায়, জল্পনা চরমে উঠেছে। তবে কি শক্তি আরও বাড়িয়েছেন বিরোধীরা? অনাস্তা প্রস্তাবের পক্ষে-বিপক্ষে ভোটগ্রহণের আগে আজ দীর্ঘ সময় ধরে চলতে পারে ন্যশনাল অ্যাসেম্বলির অধিবেশন।
অনাস্থা প্রস্তাবের মুখোমুখি হওয়ার আগে ভারতের বিদেশনীতির প্রশংসা করেন পাক প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘রাশিয়া প্রসঙ্গে ভারতের বিদেশনীতি কী হবে, সেটা বলার মতো সাহস ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের কোনও দেশের নেই। ভারতীয়রা অত্য়ন্ত গর্বিত। কোনও দেশ ভারতকে চালিত করতে পারে না। কোনও মহাশক্তিধর দেশেরই ভারতের বিদেশনীতিতে নাক গলানো উচিত নয়।’
এই বক্তব্যের জন্যই মরিয়মের আক্রমণের মুখে পড়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী।