(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
International News: ব্যর্থ লড়াই, মারা গেলেন শূকরের হৃৎপিন্ড প্রতিস্থাপিত হওয়া বিশ্বের প্রথম ব্যক্তি
International News: হৃৎপিন্ড প্রতিস্থাপনে যুগান্তকারী পদক্ষেপ হয়েছিল। মানুষের দেহে বসেছিল জেনেটিক্যালি মডিফায়েড শূকরের হৃৎপিন্ড। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। মারা গেলেন ওই ব্যক্তি।
ওয়াশিংটন: হৃৎপিন্ড প্রতিস্থাপনে যুগান্তকারী পদক্ষেপ হয়েছিল। এক মানুষের দেহে বসেছিল জেনেটিক্যালি মডিফায়েড শূকরের হৃৎপিন্ড। কিন্তু সেই সফল অস্ত্রোপচারের পরও শেষ রক্ষা হল না। অস্ত্রোপচারের দুই মাস পরে মারা গেলেন ওই ব্যক্তি। মঙ্গলবার আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অফ মেরিল্যান্ড মেডিক্যাল সেন্টারে (university of maryland medical centre) চিকিৎসাধীন ওই ব্যক্তি ডেভিড বেনেট (david bennett) মারা যান। মারা যাওয়ার কারণ হিসেবে কিছু না বললেও ডাক্তাররা জানিয়েছেন, বেশ কিছুদিন ধরেই ওই ব্যক্তির স্বাস্থ্যের অবনতি হচ্ছিল।
আগেই হৃৎপিন্ড সংক্রান্ত গুরুতর রোগে ভুগছিলেন তিনি। লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমে (life support) বাঁচিয়ে রাখা হয়েছিল তাঁকে। মানুষের হৃৎপিন্ড প্রতিস্থাপন করাও সম্ভব ছিল না। সেই পরিস্থিতিতেই জেনেটিক্যালি মডিফায়েড শূকরের হৃৎপিন্ড প্রতিস্থাপনের কথা ভাবেন চিকিৎসকরা। সফলভাবে হয় সেই অস্ত্রোপচার। ডাক্তাররা জানিয়েছেন, অস্ত্রোপচারের পর সাড়াও দিচ্ছিলেন ওই ব্যক্তি। বেশ কিছুদিন ঠিকমতোই চলছিল। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে ফের অবস্থার অবনতি শুরু হয়। ডাক্তাররা শেষপর্যন্ত চেষ্টা করলেও মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির।
শোকস্তব্ধ পরিবারের তরফে চিকিৎসকদের তাঁদের লড়াইয়ের জন্য ধন্যবাদ জানানো হয়েছে। ওই ব্যক্তির ছেলে জানিয়েছেন, তাঁদের আশা এই ঘটনা থেকেই নতুন পদক্ষেপ শুরু হবে। এই অভিজ্ঞতা থেকেই আগামীদিনে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত খুলে যাবে বলে তাঁরা আশা করেছেন। জেনেটিক্যালি মডিফায়েড শূকরের অঙ্গ প্রতিস্থাপনের পর এতদিন বেঁচে থাকা এখনও পর্যন্ত রেকর্ড। ফলে আগামীদিনে আরও ভাল ফল মিলবে বলে আশা করছেন চিকিৎসকরা।
জেনেটিক্যালি মডিফায়েড পিগ (genetically modified pig) কী?
জিন এডিটিং (gene editing) প্রযুক্তির দ্বারা শূকরের কোষ তৈরি হয়। সেখান থেকে তৈরি হয় ভ্রূণ। এরপর নিয়ন্ত্রিত এবং বায়ো-সিলড পরিবেশে বড় করা হয় শূকর। এরপর পূর্ণবয়স্ক শূকরের দেহ থেকে অঙ্গ নিয়ে রোগীর দেহে বসানো হয়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, জিন এডিটিংয়ের এমন কিছু কাজ করা হয়, যাতে ওই অঙ্গ বসানোর সঙ্গে সঙ্গেই রোগীর দেহ প্রতিক্রিয়া না করে। এমন প্রযুক্তি সফল হলে বিশ্বজুড়ে প্রতিস্থাপনযোগ্য অঙ্গের জোগান নিয়ে আর কোনও চিন্তা থাকবে না।
আরও পড়ুন: কিডনির রোগ মানেই প্রোটিন বাদ নয়, কী কী খেলে সুস্থ থাকা যায়, জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদ