হাফিজ কেন গৃহবন্দি? পাক পঞ্জাব প্রদেশকে নোটিশ লাহোর হাইকোর্টের
লাহোর: হাফিজ সঈদকে গৃহবন্দি করার প্রেক্ষিতে পাক পঞ্জাব প্রদেশের জবাব তলব করল লাহোর হাইকোর্ট।
সন্ত্রাসদমন আইনে তাদের গৃহবন্দি করে রাখাকে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে আবেদন করে জামাত-উদ-দাওয়া (জেইউডি) প্রধান হাফিজ সঈদ সহ পাঁচজন। আবেদনে হাফিজরা জানায়, পাক অভ্যন্তরীণ মন্ত্রকের নির্দেশেই পাক পঞ্জাব প্রশাসন গত ৩০ জানুয়ারি থেকে তাদের ৯০ দিন গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে।
হাফিজদের দাবি, পাক অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী চৌধুরি নিসার জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবকে মান্যতা দিয়েই গৃহবন্দি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আদালতে হাফিজদের পাল্টা যুক্তি, ইসলামাবাদ যদি তাদের আটক করে গৃহবন্দি না করে, তাহলে পাকিস্তানের ওপর বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা জারি হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
আবেদনে হাফিজরা আরও দাবি করে, তারা বহু বছর ধরে দেশে সমাজসেবা করে আসছে। এই প্রেক্ষিতে তাদের আটক করে পাকিস্তান সরকার প্রমাণ করেছে যে, তারা দুর্বল ও পরাধীন রাষ্ট্র।
২০০৮ সালের মুম্বই হামলার পর রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রস্তাব মেনে হাফিজ সঈদ সহ অন্যান্যদের গৃহবন্দি করে রাখার নির্দেশ দিয়েছিল পাক প্রশাসন। কিন্তু, ২০০৯ সালে লাহোর উচ্চ আদালতের ফুল বেঞ্চ সেই নির্দেশ খারিজ করার রায় দিয়ে হাফিজদের মুক্তি দেয়।
এবারের আবেদনে সেই রায়ের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করে হাফিজরা। আবেদনে এ-ও দাবি করা হয়, আমাদের জন্য দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে বলে পাক প্রশাসনের কাছে কোনও তথ্যপ্রমাণ নেই। ফলে তাদের এভাবে আটক করে রাখা যায় না।
হাফিজদের আবেদন শুনে লাহোর হাইকোর্টের ২ সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ আগামী ৭ তারিখের মধ্যে পাক পঞ্জাব প্রদেশের থেকে জবাব চেয়ে পাঠিয়েছে।
এখানে বলে রাখা প্রয়োজন, প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ ছাড়াও জেইউডি এবং আরেক সংগঠন ফালাহ-এ-ইনসানিয়ত (এফআইএফ)-এর ৩৭ জন সদস্যকে একজিট কন্ট্রোল লিস্টে অন্তর্ভুক্ত করে পাকিস্তান।
এছাড়া, জঙ্গি কার্যকলাপে জড়িয়ে থাকার জন্য সঈদের মাথার ওপর ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঘোষণা করেছে ওয়াশিংটন।