সবচেয়ে বিপজ্জনক দেশে পরিণত পাকিস্তান, দাবি প্রাক্তন সিআইএ আধিকারিকের
ওয়াশিংটন: পাকিস্তানই সম্ভবত বিশ্ববাসীর কাছে বর্তমানে ‘সবচেয়ে বিপজ্জনক দেশ’। এমনটাই মনে করছেন মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার সিআইএ-র প্রাক্তন শীর্ষস্থানীয় আধিকারিক।
কেভিন হুলবার্ট নামে ওই গোয়েন্দা দীর্ঘদিন ধরে ইসলামাবাদে সিআইএ স্টেশনের প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন। ফলে, পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলি তাঁর হাতের তালুর মতোই চেনা।
সেই কেভিনের সতর্কবাণী, পাকিস্তানের ‘পতন’ সারা বিশ্বের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। তাঁর মতে, পাকিস্তান হল সেই ব্যাঙ্কের মত যাকে ‘পতন হবে না’ বা বলা ভাল, ‘পতন হতে দেওয়া চলবে না’। কারণ, তা যদি হয়, তাহলে বৃহত্তর অর্থনীতিতে বিশাল প্রভাব পড়বে।
তিনি বলেন, আফগানিস্তানে জনসংখ্যা ৩.৩ কোটি। তাতেই বড় সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি আমরা। পাকিস্তানে ১৮ কোটির বেশি। অর্থাৎ, আফগানিস্তানের পাঁচগুণ বেশি।
হুলবার্ট জানান, পাকিস্তানের অর্থনীতি ভেঙে পড়ছে, সন্ত্রাসবাদ লাগামছাড়া হয়েছে, পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার বৃদ্ধি, জনসংখ্যা বিস্ফোরণ—এসবের ফলে পাকিস্তান (সকলের কাছে) আশঙ্কা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তাঁর দাবি, বর্তমান পরিস্থিতির বিচারে পাকিস্তান হয়ত বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক দেশ নয়। কিন্তু, বিশ্ববাসীর কাছে সম্ভবত সবচেয়ে বিপজ্জনক দেশে পরিণত। তাঁর মতে, এখন যদি পাকিস্তানকে আটকানো বা বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করা হয়, তাহলে ফল হিতে বিপরীত হতে পারে।
এতদিন ধরে কেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার (আইএমএফ) পাকিস্তানকে আর্থিক জোগান দিয়ে গিয়েছে, তারও ব্যাখ্যা করেন হুলবার্ট। জানান, পাকিস্তানের ‘পতন’ মার্কিন প্রশাসনের কাছে সবচেয়ে বড় দুঃস্বপ্নের সামিল। যদিও, অর্থের জোগান দিয়েও তাদের পাল্টানো খুব একটা সম্ভব হয়নি, কিন্ত হুলবার্টের মতে, চেষ্টা চালিয়ে যেতেই হবে।