Russia Ukraine Crisis: প্রত্যাঘাতে ক্ষতবিক্ষত রাশিয়া! নিহত ১৪০০০ রুশ সেনা, ধূলিসাৎ ৪৫০ ট্যাঙ্ক, ৮৬ বিমান, ১০৮ কপ্টার: ইউক্রেন
Russia Ukraine Crisis: রাশিয়ার সামরিক শক্তিও ধূলিসাৎ হওয়ার পথে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন সরকার। তাদের দাবি, এখনও পর্যন্ত রুশ বাহিনীর ৪৪৪টি ট্যাঙ্ক ধ্বংস করতে সফল হয়েছে ইউক্রেনীয় সেনা।
কিভ: পরিকল্পনা মাফিকই যুদ্ধ এগোচ্ছে বলে এখনও দাবি করছেন ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। কিন্তু হাজার হাজার সৈনিকের প্রাণ দিয়ে রাশিয়াকে (Russia Ukraine War) যুদ্ধের মূল্য চোকাতে হচ্ছে বলে দাবি ইউক্রেনের (Russia Ukraine Crisis)। তারা জানিয়েছে, গত তিন সপ্তাহব্যাপী যুদ্ধে অন্তত ১৪ হাজার রুশ সৈনিকের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টাতেই ২০০-র বেশি রুশ সৈনিক (Russian Army) মারা গিয়েছেন বলে দাবি তাদের।
বৃহস্পতিবারও অনলাইন মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা প্রক্রিয়া নিয়ে বৈঠক চলছে। সেই পরিস্থিতিতেই ইউক্রেনীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে একটি পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়। তাতে বলা হয়, ‘এখনও পর্যন্ত অন্তত ১৪ হাজার রুশ সৈনিক মারা গিয়েছেন। ২০০-র বেশি রুশ সৈনিক মারা গিয়েছেন গত ২৪ ঘণ্টাতেই।’
রাশিয়ার সামরিক শক্তিও ধূলিসাৎ হওয়ার পথে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন সরকার। তাদের দাবি, এখনও পর্যন্ত রুশ বাহিনীর ৪৪৪টি ট্যাঙ্ক ধ্বংস করতে সফল হয়েছে ইউক্রেনীয় সেনা। এ ছাড়াও রাশিয়ার ১ হাজার ৪৩৫টি সাঁজোয়া গাড়ি, ৮৬টি বিমান, ১০৮টি হেলিকপ্টার, ১১টি ড্রোন এবং ৩টি রণতরী গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি কিভের। এ নিয়ে রাশিয়ার তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে গত ২ মার্চ যুদ্ধে ৪৯৮ জন সৈনিকের মৃত্যুর খবর স্বীকার করেছিল তারা।
আরও পড়ুন: Russia-Ukraine War : 'পুতিন যুদ্ধাপরাধী' বললেন বাইডেন
তবে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেই রাশিয়া পিছু হটবে, এমন ভাবার কোনও কারণ নেই বলে মনে করছেন কূটনীতিবিদরা। তাঁদের মতে, রণকৌশল মেনেই এগোচ্ছে রাশিয়া। প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র এবং যুদ্ধ সরঞ্জাম নিয়েই ইউক্রেনে ঢোকে তারা। এখন ধীর গতিতে এগোলেও তারা দুর্বল হয়ে পড়েছে, এমন ভাবা ভুল। বরং ক্ষয়ক্ষতি যাচাই করে নতুন উদ্যমে এগনোর সময় নিচ্ছে। প্রাথমিক পর্যায়ে যে ভুলত্রুটি হয়েছিল, তা শুধরে নিতে সময় নিচ্ছে।
পুতিনের বক্তব্যেও ইতিমধ্যেই তেমনই ইঙ্গিত মেলেছে। দুই দেশের মধ্যে দফায় দফায় আলোচানা চললেও, যুদ্ধ সমাপ্তির কোনও ইঙ্গিতই দেননি তিনি। বরং জানিয়েছেন, তাঁদের পরিকল্পনা মতোই এগোচ্ছে যুদ্ধ। ইউক্রেন সরকারের পরিসংখ্যান ভরসাযোগ্য নয় বলেও দাবি করেন। তবে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার চিন্তা বাড়াতে পারে বলে মনে করছেন কূটনীতিকরা।