কেমোথেরাপি নেওয়া মহিলাদের সন্তানদেরও প্রজনন-শক্তি হ্রাস পায়, দাবি গবেষণায়
নয়াদিল্লি: যে সকল মহিলারা কেমোথেরাপি নেন, ভবিষ্যতে তাঁদের সন্তান ধারণের সমস্যা যে দেখা দেয়, তা সকলেই জানেন। এই কারণে, অনেক মহিলা চিকিৎসার আগে নিজেদের ডিম্বাণু সংরক্ষিত করে রাখেন।
তবে, আগে ধারণা ছিল, চিকিৎসার পর মহিলারা যদি ভবিষ্যতে স্বাভাবিক নিয়মে প্রসব করেন, তাহলে তাঁদের সন্তানদের ওপর কেমোথেরাপির কোনও প্রভাব পড়ে না।
কিন্তু, এবার নতুন গবেষণায় দাবি করা হচ্ছে যে, শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট মহিলাই নন, কেমোথেরাপির ফলে, তাঁদের সন্তানদেরও উর্বরতা প্রভাবিত হয়। অর্থাৎ, কেমোথেরাপির পর কোনও মহিলা স্বাভাবিক নিয়মে সন্তানের জন্ম দিলে, ভবিষ্যতে সেই ছেলে-মেয়েদের শরীরেও প্রজনন-সমস্যা দেখা দিতে পারে।
সম্প্রতি, এই নিয়ে সমীক্ষা চালিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউটা প্রদেশের সল্ট লেক সিটিতে অবস্থিত ইউটা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক-দল। গবেষণায় উঠে এসেছে যে, সাধারণ জনসংখ্যার তুলনায় কেমোথেরাপি হওয়া মহিলাদের ছেলে-মেয়েদের ৭২ শতাংশ কম সন্তান রয়েছে।
পরিসংখ্যান বলছে—মেয়েদের ৭১ শতাংশ কম সন্তান রয়েছে। অন্যদিকে, ছেলেদের ৮৭ শতাংশ কম সন্তান রয়েছে। যদিও, গবেষকরা এ-ও জানিয়েছেন, শুধুমাত্র ইউটা থেকেই নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। আরও বিস্তারিতভাবে এই প্রভাব বুঝতে হলে ১০ বছর পর ফের একবার এই সমীক্ষা করতে হবে।