South Pacific Tsunami: দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে তীব্র ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা
Tsunami warning: অস্ট্রেলিয়ার মূল ভূখণ্ড থেকে পূর্বদিকে ৩৪০ মাইল দূরে অবস্থিত লর্ড হো দ্বীপে সুনামি আছড়ে পড়তে পারে বলে সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া বিভাগ।
সিডনি: তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগর। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৭.৭। স্থানীয় সময় অনুযায়ী মধ্যরাতে এই ভূমিকম্প হয়। অস্ট্রেলিয়ার মূল ভূখণ্ড থেকে পূর্বদিকে ৩৪০ মাইল দূরে অবস্থিত লর্ড হো দ্বীপে সুনামি আছড়ে পড়তে পারে বলে সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া বিভাগ। নিউজিল্যান্ড, নিউ ক্যালেডোনিয়া, ভানুয়াতু সহ আশেপাশের আরও কয়েকটি দেশেও সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
নিউ সাউথওয়েলস প্যাসিফিক সুনামি ওয়ার্নিং সেন্টারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘এই ভূমিকম্পের ফলে আগামী তিন ঘণ্টার মধ্যেই সুনামি আসতে পারে। ফিজি, নিউজিল্যান্ড ও ভানুয়াতুতে ০.৩ মিটার থেকে এক মিটার উচ্চতা পর্যন্ত ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে।’
নিউজিল্যান্ডের জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলির বাসিন্দাদের সমুদ্র, নদীর মতো জলাশয়গুলি থেকে দূরে সরে যেতে বলা হয়েছে। নিউজিল্যান্ডের উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলিতে তীব্র স্রোত ও অস্বাভাবিক ঢেউ আছড়ে পারে বলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। নিউজিল্যান্ডের উত্তর দিকের দ্বীপে, অকল্যান্ডের পূর্বদিকে দ্য গ্রেট ব্যারিয়ার আইল্যান্ডে এবং নিউজিল্যান্ডের পূর্বদিকে উপকূলে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তবে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে একমাত্র নিউজিল্যান্ডের উত্তরদিকে।
অস্ট্রেলিয়া, দ্য কুক আইল্যান্ডস ও আমেরিকান সামোয়াতে কম উচ্চতার ঢেউ দেখা যেতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
তবে এখনও পর্যন্ত ভূমিকম্পের ফলে কোনও জায়গা থেকেই ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে প্রায়ই ভূমিকম্প দেখা যায়। ২০১৮ সালে ইন্দোনেশিয়ায় ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। ৪,৩০০-রও বেশি মানুষ মৃত বা নিখোঁজ হন। ২০০৪ সালে ইন্দোনেশিয়ারই সুমাত্রা দ্বীপপুঞ্জে ৯.১ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। তার ফলে সৃষ্ট হওয়া সুনামিতে ২,২০,০০০-এরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। শুধু ইন্দোনেশিয়াতেই মৃত্যু হয় ১,৭০,০০০-এরও বেশি মানুষের।