Viral News: ৮০ হাজার টাকা খোরপোশ চেয়েছে স্ত্রী, বস্তা বস্তা কয়েন নিয়ে আদালতে হাজির যুবক ! দেখুন ভিডিয়ো
Alimony Case: যে ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে যে এক ব্যক্তি মোট ২০টি ব্যাগে করে ৮০ হাজার টাকার কয়েন নিয়ে উঠছেন একটি গাড়িতে।
Alimony Case: কিছুদিন আগেই জানা গিয়েছিল একটা গাড়ি কেনার জন্য শোরুমে বস্তাভর্তি কয়েন নিয়ে হাজির হয়েছিলেন এক ব্যক্তি। এবারে অনেকটা একই রকম ঘটনা, তবে তা ঘটেছে বিবাহ বিচ্ছেদের পরে খোরপোশ দেওয়ার সময়। পারিবারিক আদালতে ব্যাগ ব্যাগ কয়েন নিয়ে হাজির হলেন যুবক। স্ত্রী খোরপোশ চেয়েছেন ৮০ হাজার টাকা, আদালতের নির্দেশ পেতেই এই কাণ্ড করলেন তিনি। ভিডিয়োয় ধরা পড়তেই তোলপাড় সমাজমাধ্যম। তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটোরে ঘটেছে এমন ঘটনা। বুধবার কোয়েম্বাটোরের অ্যাডিশনাল ফ্যামিলি কোর্টে এই ঘটনা ধরা (Viral Video) পড়েছে ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে। একটি বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা আদালতের নির্দেশে যুবককে ২ লক্ষ টাকার খোরপোশ দিতে হয়। আর এই নির্দেশে সেই যুবক ৮০ হাজার টাকার কয়েন ব্যাগে (Alimony Case) পুরে নিয়ে এলেন আদালতে। সবই ২ টাকার কয়েন, রয়েছে ব্যাগ ব্যাগ ভর্তি অবস্থায়, এভাবেই মোট ৮০ হাজার টাকা মেটালেন যুবক। আদপে কী ঘটেছিল ?
যে ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে যে এক ব্যক্তি মোট ২০টি ব্যাগে করে ৮০ হাজার টাকার কয়েন নিয়ে উঠছেন একটি গাড়িতে। এত কয়েন দেখে বিচারক তাঁকে বলেন যে খোরপোশের টাকা তাঁকে নোটেই জমা দিতে হবে। তারপরে নির্দেশ মেনেই নোটে টাকা জমা করেন সেই ব্যক্তি। বাকি ১ লাখ ২০ হাজার টাকাও খুব শীঘ্রই জমা দেওয়ার কথা জানিয়েছে আদালত।
২০টি ব্যাগে ভর্তি কয়েন মিলিয়ে ৮০ হাজার টাকা
কোয়েম্বাটোরের জনৈক ৩৭ বছর বয়সী ট্যাক্সির মালিক এবং ড্রাইভারের স্ত্রীর সঙ্গে বিগত এক বছর ধরে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছিল। আর এই মামলায় স্ত্রীকে খোরপোশ হিসেবে ২ লক্ষ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কোয়েম্বাটোরের পারিবারিক আদালত। এরপরেই সেই ব্যক্তি ২০টি ব্যাগে করে ২ টাকার কয়েনে মোট ৮০ হাজার টাকা নিয়ে পৌঁছান আদালতে। এর মধ্যে যদিও ১ টাকার কয়েনও কিছু ছিল। আদালত চত্বরে সকলেই অবাক হয়ে যান এই ঘটনায়।
পরে আদালতের নির্দেশে নোটে টাকা জমা
এত কয়েন দেখে আদালতের পক্ষ থেকে তা গ্রহণ করা হয় না এবং সেই ব্যক্তিকে খোরপোশের টাকা নোটে জমা করতে বলেন। ফলে আদালতের নির্দেশ মেনে সেই ব্যক্তি পরে ৮০ হাজার টাকা নোটেই জমা করেন। আদালত সেই ব্যক্তিকে বাকি ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দ্রুত জমা করার নির্দেশ দিয়েছে।
সমাজমাধ্যমে ঝড়
সমাজমাধ্যমে এই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তেই শোরগোল শুরু হয়েছে। একজন লেখেন যে, অতুল সুভাষ যদি এরকম কৌশল ব্যবহার করতেন, তাহলে নিকিতা সিঙ্ঘানিয়া ১০০ বার ভাবতেন টাকা নেওয়ার ব্যাপারে। আরেকজন লেখেন যে এই কাজের মাধ্যমে সেই ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে বোঝাতে চাইলেন যে তিনি তাঁর থেকে এরকম ভিক্ষা নেবেন কিনা। অনেকে এই কাজকে আদালত এবং তাঁর স্ত্রীকে হাস্যাস্পদ করার উদ্দেশ্যে করা।
আরও পড়ুন: Instagram: এক পলকে বদলে যাবে ব্যাকগ্রাউন্ড, পোশাক ! ইনস্টাগ্রামে আসছে দারুণ AI ফিচার্স