Health Tips: ঘোরার সময় পেট ঠিক রাখতে মেনে চলুন এই সহজ নিয়মগুলি
Food Poisoning during travel: ঘুরতে গেলেই ভোগায় পেট? সহজেই কীভাবে সতর্ক থাকবেন?
কলকাতা: দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা, ছুটি জোগাড় করার ধাপ পেরিয়ে তারপর ঘুরতে যাওয়ার আনন্দ পাওয়া যায়। কিন্তু সেখানে শরীর খারাপ হলে ঘোরাটাই মাটি। কারণ ঘুরতে গেলে সামান্য অনিয়ম হয়, খাওয়া-দাওয়া নিয়ম মেনে হয় না। আবহাওয়া বদলও হয়ে থাকে। অনেকের ক্ষেত্রেই যার প্রভাব পড়ে পেটে। পেটই হল স্বাস্থ্য ভালো রাখার অন্যতম চাবিকাঠি। তাই পেট ঠিক রাখতেই হবে।
তাহলে উপায়? ঘোরার সময় যাতে পেট ঠিক থাকে তার জন্য় গোড়া থেকেই নজর রাখতে হবে। কী কী প্রয়োজন?
ডেয়ারি (Dairy) বা দুধজাত (Milk Product) খাবার এড়িয়ে চলুন। অনেকের পক্ষেই এগুলি হজম করা একটু কঠিন। তাই ঘুরতে গিয়ে সহজপাচ্য খাবার রাখুন আপনার খাদ্য় তালিকায়।ট্রেনে-বাসে যেখানেই যান। রাস্তায় খেতেই হবে। তার আগে ভাল করে হাত ধোবেন। নয়তো সহজেই কাবু করবে ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস। এর পাশাপাশি সঙ্গে অ্যালকোহল বেসড স্যানিটাইজার রাখুন। তরল সাবান রাখতে পারেন। তবে রাস্তায় ব্যবহারের জন্য সোপ পেপার আদর্শ। দুধজাত খাবার এড়িয়ে চললেও দই, বাটারমিল্ক খেতে পারেন। এতে প্রোবায়োটিক থাকে। যা খাবার হজম করাতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন...
Health News : ডায়াবেটিস-সহ একাধিক কঠিন রোগ প্রতিরোধ করতে পারে, রোজ পাতে রাখুন ১টি কাঁচা পেঁয়াজ
প্রসঙ্গত, ঘোরার মধ্যে আরামের দিকটিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কম সময়ে সব ঘুরে নেওয়ার চক্করে বিশ্রাম এড়াবেন না। তাহলে শরীরে চাপ পড়বে।পেট ঠিক রাখতে গেলে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেতেই হবে। জলশোধনের রাসায়নিক রাখতে পারেন অথবা ভাল জায়গা থেকে বোতলজাত পানীয় জল ব্যবহার করুন।
যেখানে ঘুরতে যাচ্ছেন, সেখারকার খাবার সম্পর্কিত তথ্যটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সব জায়গার খাবার এক নয়। পরিবেশ, কালচার, ধর্মীয় আচরণ ইত্যাদির উপর নির্ভর করে পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গার মানুষের খাবার, রুচি আলাদা। তাই ঘুরতে যাওয়ার আগে এই তথ্যগুলি অবশ্য়ই আপনাকে জেনে নিতে হবে।
এক্ষেত্রে উল্লেখ্য়, যেখানে যাচ্ছেন সেখানকার ইতিহাস বা দর্শনীয় স্থানের বিষয়ে জানাটাও ভীষণ প্রয়োজন। এই বিষয়ে ধারণা থাকা দরকার। সব জায়গার সমান গুরুত্ব হয় না। এতে সময় ব্যয় না করে ঐতিহাসিক স্থাপনা গুলোর সৌন্দর্য উপভোগে বেশি সময় দেওয়া ভালো।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েটের জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন।