Balcony Garden: গাছের ছোঁয়ায় নতুন সাজে বারান্দা
Home Décor: ফ্ল্যাট যত ছোটই হোক। যদি একটুকরো ব্য়ালকনি বা বারান্দা থাকে। সেখানেই আপনি গড়ে তুলতে পারেন আপনার সাধের বাগান।
কলকাতা: বড় দালান, ছড়ানো উঠোন আর অনেকটা জমি নিয়ে বাগান। এমন বাড়ির স্বপ্ন অনেকেরই থাকে। কিন্তু সাধ্য থাকে কই। অর্থ নেই, জমিও নেই। শহর বা শহরতলির ছোট ফ্ল্যাটেই জীবনযাপন। অনেকেরই বাগান করার শখ থাকলেও জায়গায় অভাবে সেই শখ অপূর্ণ রয়ে যায়।
কিন্তু উপায় রয়েছে:
সব আবাসনে ছাদ বা কমন স্পেসে বাগান করা যায় না। ফলে ঘরের কোণেই বাগান করা বা গাছ লাগাতে হয়। ফ্ল্যাট যত ছোটই হোক। যদি একটুকরো ব্য়ালকনি বা বারান্দা থাকে। সেখানেই আপনি গড়ে তুলতে পারেন আপনার সাধের বাগান।
যত্ন অনেক বেশি:
যেহেতু টবে বা ওই জাতীয় পাত্রে মাটি রেখে বাগান করছেন। যত্নও অনেক বেশি লাগে। বারান্দার ধুলোবালি আসে, বিশেষ করে রাস্তার পাশে যদি বাড়ি হয়। প্রথমেই চেষ্টা করতে হবে যতটা সম্ভব ধুলোবালি ও ধোঁয়া টেকানো যায়।
জায়গা বুঝে গাছ বাছাই:
যেকোন জায়গায় যেকোনও গাছ লাগালে চলবে না। বারান্দায় কতটা রোদ আসে, কখন রোদ আসে। বছরের কোন সময় রোদ আসে তা ভেবে গাছ বাছতে হবে। যদি রোদ না আসে, তাহলেও সেইরকম গাছ বেছে লাগানো যায়। যদি বারান্দায় রোদ ও হাওয়ার প্রাচুর্য থাকে, অপরাজিতা, টগর, জুঁই বা এই ধরনের ফুলের গাছ লাগাতে পারবেন। যদি সেরকন রোদ না ঢোকে, তাহলে মানিপ্ল্যান্ট, এরিকা, পাম বা সাকুলেন্ট গোত্রের গাছ রাখতে পারেন।
নিয়মিত পরিচর্যা:
সময় করে দেখভাল করতে হবে। অনেকসময় পোকার আবির্ভাব দেখা যায়। সেক্ষেত্রে সঠিক ওষুধ প্রয়োগ করতে হবে। ঠিকমতো জল দিতে হবে। গরম ও শীতে জলের প্রয়োজন আলাদা হয়। মাটি পরখ করে জল বা সার দিতে হবে।
সাজসজ্জা:
গাছ রাখার জন্য় নানারকমের টব বা পাত্র পাওয়া যায়। বিভিন্ন রঙের টব, নুড়ি দিয়েও সাজানো যায়। বিভিন্ন দোকান তো বটেই, অনলাইনেও মেলে এই জিনিস। সেসব দিয়ে সহজেই সাজিয়ে নিতে পারবেন ঘরের কোণের বাগান। একটু দেখে নিলেই নিজেই শিখে নেওয়া যায় বাগান দেখভালের কাজ। ফ্ল্যাটের চেহারা তো বদলাবেই, সঙ্গে ভাল থাকবে মনও।