Viral News: ৭ হাজার ডলারে বিকোল ২ বছরের খুদের আঁকা ছবি, কে এই 'মিনি পিকাসো'?
Mini Picasso:বয়স মাত্র ২ বছর। আঙুলগুলো আর পাঁচজন খুদের থেকে তেমন আলাদাও নয়। অথচ, সেই আঙুলের আঁকিবুঁকিই বিস্ময় তৈরি করেছে শিল্পজগতে। অনেকে তাকে 'মিনি পিকাসো' বলেও ডাকছেন।
নয়াদিল্লি: বয়স মাত্র ২ বছর। আঙুলগুলো আর পাঁচজন খুদের থেকে তেমন আলাদাও নয়। অথচ, সেই আঙুলের আঁকিবুঁকিই বিস্ময় তৈরি করেছে শিল্পজগতে। বিস্ময়-শিশুর (Viral News_ নাম? লরেন্ট শোয়াৎর্স (Mini Picasso Of Germany)। জার্মানির বাসিন্দা, ২ বছরের এই খুদের আঁকা ছবি ৭ হাজার ডলারেও বিক্রি হয়েছে। আদর করে, লরেন্টকে, 'মিনি পিকাসো' বলেও ডাকছেন শিল্পীদের কেউ কেউ।
বিস্ময়ে তাই জাগে...
গত বছর, সপরিবার ছুটি কাটাতে গিয়েছিল লরেন্ট। সেখানেই, এক রিসর্টের 'অ্যাক্টিভিক্টি রুম'-র শৈল্পিক কীর্তি দেখে উৎসাহ তৈরি হয়।
View this post on Instagram
বাড়ি ফিরতেই মা-বাবা ছোট্ট লরেন্টের জন্য পুরোদস্তুর একটি আর্ট স্টুডিও তৈরি করে দেন। ব্যস্, আর পায় কে? ওই স্টুডিও জুড়ে মনের আনন্দে এঁকে গিয়েছে লরেন্ট। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলি জানাচ্ছে, জীবজগতের চেনা রথী-মহারথীদেরই ছবি আঁকে লরেন্ট, কিন্তু 'অ্যাবস্ট্রাক্ট ফর্ম'-এ। এতটুকু বয়সেই যে 'অ্যাবস্ট্রাক্ট আর্ট' ফর্মের সঙ্গে সদ্যচেনা জীবজগতকে অনন্য ভঙ্গিমায় সে মেলাতে পেরেছে, তাতেই মুগ্ধ পোড়খাওয়া বহু শিল্পী। খেয়াল করলে দেখা যাবে, লরেন্টের ছবিতে হাতি, ডাইনোসর এবং ঘোড়ার ছড়াছড়ি। মা লিসা জানিয়েছেন, ছবি আঁকার সময় যেন উজ্জ্বল রঙের দিকে স্বাভাবিক ভাবেই বেশি আকৃষ্ট হয় লরেন্ট। 'বোরিং কালার'-র ব্যাপারে দস্তুরমতো নিরাসক্ত খুদে। এলোমেলো স্ট্রোক নয়, কোন রংয়ের যুগলবন্দি ব্যবহার করা হবে, সে নিয়েও স্পষ্ট ধারণা হয়েছে ২ বছরের শিশুর।
পরিবার...
ছেলে যে এইটুকু বয়সে এত কিছু সৃষ্টি করতে পারে, তা বুঝতে পেরে সাহায্যের সব রকম হাত বাড়িয়ে দেন মা-বাবা। শুধু তাই নয়। ছেলের শিল্পকীর্তি যাতে দুনিয়ার মানুষ দেখতে পান, সে জন্য ইনস্টাগ্রামে একটি পেজও খোলেন লিসা। অল্প সময়ের মধ্যেই অ্যাকাউন্টটি দেশ-বিদেশের সব রথী-মহারথীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে, ২৯ হাজার 'ফলোয়ার' রয়েছে লরেন্টের ওই ছবির অ্যাকাউন্টের। এর পরই ছেলের আঁকা ছবি অনলাইনে বিক্রির ভাবনা মাথায় আসে লিসার। ম্যুনিক শহরের সবথেকে বড় শিল্পমেলায় হাতেখড়ি হয় লরেন্টের শিল্পকীর্তির। তার পর, দুনিয়াভরের একাধিক শিল্প সংগ্রহকারীর কাছে ঠাঁই পেয়েছে তার ছবি। নিউ ইয়র্ক সিটি গ্যালারিতেও প্রদর্শনীর কথাবার্তা চলছে।
এসবের মাঝে অবশ্য ছেলের সৃজনশীল স্বাধীনতার দিকটিও মাথায় রাখতে ভোলেননি মা। জানিয়েছেন, খুদের যখন-যেমন আঁকতে ইচ্ছা হয়, তখন-তেমনই ছবি আঁকে সে। মাঝেমধ্যে স্টুডিও থেকে বিরতিও নেয়। কোনও কিছুতেই জোর করেন না মা-বাবা। তাঁরা শুধু চান, ছেলে যেন এঁকে যেতে পারে, নিজের খেয়ালখুশিতে। বাকি সব পরের কথা।
আরও পড়ুন:জল থেকে উঠে রেলিংয়ে চড়তে ব্যস্ত কুমির ! হঠাৎ কেন এই কসরত ?