India Post: ৫০ পয়সা ফেরত দেয়নি পোস্ট অফিস, ১৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় করলেন ব্যক্তি
Viral News: অভিযোগ অনুসারে ২০২৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর চেন্নাইয়ের কাছাকাছি পোজীচলুর পোস্ট অফিস থেকে একটি রেজিস্টার্ড চিঠি পাঠান ব্যক্তি যার খরচ ৩০ টাকা। কিন্তু রশিদে লেখা ছিল চিঠি পাঠানোর খরচ ২৯.৫০ টাকা।
Viral News: এক গ্রাহককে ৫০ পয়সা ফেরত দেয়নি পোস্ট অফিস এবং তার বদলে রাউন্ড অফ করার প্রস্তাব দিয়েছিল সেখানকার কর্মী আর তাতেই বিপত্তি বাড়ে। ৫০ পয়সা না দেওয়ার দায়ে ১৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হয় পোস্ট অফিসকে (Post Office)। কনজিউমার ডিসপুটস রিড্রেসাল কমিটির পক্ষ থেকে পোস্ট অফিসের কাছে এই নির্দেশ আসে যে সেই ব্যক্তিকে তৎক্ষণাৎ ৫০ পয়সা ফেরত দিতে হবে এবং অতিরিক্ত ১০ হাজার টাকা দিতে হবে ক্ষতিপূরণ (Compensation) হিসেবে সেই ব্যক্তির হয়রানি, মানসিক অশান্তি এবং অনৈতিক বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ডের (Viral News) অভিযোগে। এমনকী চেন্নাইয়ের কাঞ্চীপুরমের ডিস্ট্রিক্ট কনজিউমার ডিসপুটস রিড্রেসাল কমিশন ডাকবিভাগকে মামলার খরচ হিসেবে আরও ৫ হাজার টাকা দেবার নির্দেশ দিয়েছে।
অভিযোগ অনুসারে ২০২৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর চেন্নাইয়ের কাছাকাছি পোজীচলুর পোস্ট অফিস থেকে একটি রেজিস্টার্ড চিঠি পাঠান যার খরচ পড়ে ৩০ টাকা। কিন্তু সেই চিঠির রশিদে লেখা ছিল এই চিঠি পাঠানোর খরচ পড়েছে ২৯.৫০ টাকা। যদিও সেই ব্যক্তি ইউপিআইয়ের মাধ্যমে হুবহু সেই পরিমাণ টাকাই পাঠাতে চেয়েছিলেন, কিন্তু সেই পোস্ট অফিসের কিছু কর্মীর কথায় প্রযুক্তিগত কারণে এই প্রস্তাব মানা হয়নি। ব্যক্তির নাম এ মানস।
তাঁর অভিযোগপত্রে তিনি লিখেছেন, পোস্ট অফিসে এরকম লক্ষ লক্ষ লেনদেন চলে রোজই। সেই লেনদেনের সঠিক তথ্য না রাখলে সরকারের ক্ষতি হবে আর্থিকভাবে, এমনকী এই ৫০ পয়সার হিসেব মিলিয়ে দেওয়াটা বেআইনি বলে চিহ্নিত করা হয় পোস্ট অফিসের পক্ষ থেকে আর তাতেই মানসিকভাবে সমস্যাগ্রস্ত হয়ে পড়েন সেই ব্যক্তি।
সেই পোস্ট অফিসের পক্ষ থেকে কনজিউমার ফোরামে জানানো হয়েছে যে প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে ডিজিটাল মোডে টাকা পয়সা লেনদেন করা সম্ভব হচ্ছে না আর সেই কারণেই গ্রাহকের থেকে নগদ টাকা নেওয়া হয়েছে। আর তাঁকে বলাও হয়েছিল যে পোস্ট অফিসের সফটওয়্যারে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই ৫০ পয়সা রাউন্ড অফ হয়ে গিয়েছে। আর পোস্টাল অ্যাকাউন্টেও তা জমা হয়নি। যে অতিরিক্ত টাকা জমা হয়েছে সেই ব্যক্তির নামে তা সফটওয়্যারে 'কাউন্টার অ্যাকাউন্টস সাবমিশন' ট্যাবে দেখানো হয়েছিল। ফলে ডাকবিভাগের মতে এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
দুই তরফের কথা শোনার পরে কনজিউমার প্যানেল জানিয়েছে যে পোস্ট অফিস কাউন্টারে এই সফটওয়্যারের ভুলের কারণে অতিরিক্ত ৫০ পয়সা গ্রাহকের থেকে সংগ্রহ করা কনজিউমার আইনের আওতায় প্রতারণামূলক বাণিজ্যিক অভ্যাসের সামিল। ২০২৪ সালের ১১ সেপ্টেম্বর এই নির্দেশিকা জানানোর ২ মাসের মধ্যে পোস্ট অফিসকে ৫০০০ টাকা জমা দিতে হবে মামলা দায়ের ও তার কর্মকাণ্ডের জন্য। যদিও সেই ব্যক্তির অভিযোগে মানসিক হয়রানির ক্ষতিপূরণ হিসেবে ২.৫ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়েছিল এবং মামলার খরচ হিসেবে দাবি করা হয়েছিল ১০ হাজার টাকা। কনজিউমার ফোরাম এই দাবি মেনে নেয়নি।
আরও পড়ুন: Cyber Scam: বিমানবন্দরের লাউঞ্জেই জালিয়াতি ! ৮৭ হাজার টাকা খোয়ালেন মহিলা