World’s Largest Snake: দোতলার বেশি লম্বা ! বিশ্বের বৃহত্তম সাপের খোঁজ আমাজনে, দেখুন ভিডিয়ো
Northern Green Anaconda: ওজনে মানুষের থেকে তিন গুণ ভারী। বিশ্বের বৃহত্তম সাপের খোঁজ পাওয়া গেল আমাজন অববাহিকায়।
কলকাতা: আনাকোন্ডা, পাইথন বলতেই বাঘা বাঘা সাপকে বোঝানো হয়। কারণ আড়েবহরে বিশাল এদের আকার। বিশ্বের সবচেয়ে বড় সাপের মধ্যেই গণ্য করা হয় এদের প্রজাতিকে। তবে এবার খোঁজ মিলল আরও একটি সাপের। বিশ্বের সবচেয়ে বড় সাপের অ্যাখ্যা পেল এটি। এর খোঁজ পাওয়া গেল আমাজন বৃষ্টি অরণ্যের মধ্যে। সাপটি আনাকোন্ডার এক বিশেষ প্রজাতি। গ্রিন আনাকোন্ডা প্রজাতির অন্তর্গত হলে সাপটি অন্য প্রকৃতির। তবে জিন পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, অনেকটাই আলাদা এই সাপ। সম্প্রতি সাপটির একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সমাজমাধ্যমে। ভিডিয়োতে জলের নিচে তলদেশে সাপটিকে দেখা যায়। প্রসঙ্গত, এর ওজন এক সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের প্রায়ই দেড় গুণ।
আড়েবহরে কেমন এই সাপ ?
অনুসন্ধানকারীরা জানিয়েছেন, সাপটির ওজন ৪৪০ পাউন্ড অর্থাৎ প্রায় ২০০ কেজি। অন্যদিকে সাপটি ২৬ ফুট লম্বা। এর মাথায় আয়তন একজন মানুষের মাথার আয়তনের সমান বলে জানিয়েছেন অনুসন্ধানকারীরা। প্রসঙ্গত, নর্দান গ্রিন আনাকোন্ডার বিজ্ঞানসম্মত নাম ইউনেকটেস অকায়িমা। ইকুয়েডরিয়ান আমাজনের মধ্যে খোঁজ মিলেছে এই সাপের।
গ্রিন আনাকোন্ডাকে টেক্কা
প্রসঙ্গত, এতদিন বিশ্বের বৃহত্তম সাপের অ্যাখ্যা পেয়েছিল গ্রিন অ্যানাকোন্ডা। দক্ষিণ আমেরিকার নদী অববাহিকা এই সাপের মূল বসতি এলাকা। তবে এই নিয়ে দীর্ঘ এক দশক ধরে গবেষণা চলেছে। বিজ্ঞানীদের এই গবেষণায় যৌথভাবে ছিল ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের ডিজনি সিরিজ। শেষ পর্যন্ত সেই গবেষণাতেই সাফল্য এল। দেখা গেল গ্রিন আনাকোন্ডা কোনও বিশুদ্ধ প্রজাতি নয়। বরং এর দুটো ভাগ রয়েছে।
নর্দান গ্রিন আনাকোন্ডা
নর্দান গ্রিন আনাকোন্ডা ও সাদার্ন গ্রিন আনাকোন্ডা। সম্প্রতি ২৬ ফুটের সাপটি আবিষ্কারের পর দেখা গিয়েছে এমন দুই ভাগ রয়েছে। আগে বিজ্ঞানীরা গ্রিন আনাকোন্ডাকে একটিই প্রজাতি বলে মনে করতেন। পরে দেখা যায় ইকুয়েডরিয়ান আমাজন এলাকায় থাকা গ্রিন আনাকোন্ডার দক্ষিণ আমাজন অববাহিকার গ্রিন আনাকোন্ডার জিনগত তফাত রয়েছে। সেই ভিত্তিতেই এই বিভাজন করা হয়েছে।
আমাজন বাস্তুতন্ত্রের গ্রিন আনাকোন্ডার ভূমিকা
আমাজনের বাস্তুতন্ত্র রক্ষার পিছনে গ্রিন আনাকোন্ডার ভূমিকা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই বলে আসছেন বিজ্ঞানীরা। ওই এলাকার বিশাল খাদ্য়সম্ভার ও পরিশ্রুত জলের পিছনে এই বিশালাকায় সাপের ভূমিকা রয়েছে। তবে বর্তমানে শিল্পসম্মত কৃষি, দাবানল, খরা, জলবায়ু পরিবর্তন ও ভারী ধাতুর দূষণ বেড়েছে। যার ফলে এই প্রজাতি বাঁচিয়ে রাখা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন - General Knowledge Story: বিশ্বে কে প্রথম মোবাইলে কথা বলেছিলেন, জানেন কী ?