পেশায় চিকিৎসক, নেশায় 'বাইকার'। করোনা হাসপাতালে আইসিইউ চিকিৎসক। বরাবরই চ্যালেঞ্জ নিতে ভয় পান না।
2/10
আর সেই 'নেশা'-র টানে বাইকে করে সিকিমের গুরুদংমার লেকে পৌঁছে গেলেন। বাইকে করে প্রায় ১৮ হাজার ফুট ওপরে উঠলেন কলকাতার এক মহিলা চিকিৎসক।
3/10
মনিকা সাহা। কর্মস্থল, এম আর বাঙ্গুর করোনা আই সি ইউ। সাল ২০২০। করোনা আবহে ভয় না পেয়ে নতুন দায়িত্ব শেখা শুরু করা। দু'চাকার হাতেখড়ি বাবার হাত ধরে।
4/10
পেশাগত জীবনের হাতেখড়ি করোনা হাসপাতালে করোনা চিকিৎসক হিসেবে। বাবাও প্রবীণ সার্জন মাখনলাল সাহা। গুরুতর চোট পেয়ে দুচাকার বাহন চালানো সাময়িক বন্ধ ছিল। কিন্তু ফের শুরু হয় নেশার সফর।
5/10
এরইমধ্যে নতুন বাইক কেনার আগ্রহ তৈরি হয়। লক্ষ্য সিকিমের গুরুদাংমার লেকে পৌঁছাতে হবে। ১৭৮০০ ফুট উচ্চতা। যাত্রা শুরু ৭ নভেম্বর। কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি। সেখান থেকে গ্যাংটক। গ্যাংটক থেকে লাচেন। সেখান থেকে গুরুদংমার লেক।
6/10
মনিকার কথাতেই -" বাইক চালালে একটা আলাদা অনুভুতি হয়। সেটা কথায় বোঝানো যাবে না। একটা আলাদা মাদকতা। আর সেটাই আমাকে বাইকের সঙ্গে একাত্ব করে তোলে।"
7/10
এরপরে কলকাতার বিভিন্ন বাইক ক্লাব আর গোষ্ঠীর সদস্য হওয়া। প্রথমে দল মিলে বিভিন্ন দুর্গম জায়গায় বাইক নিয়ে অভিযান দিয়ে শুরু। সফভাবে সেগুলো সম্পন্ন হওয়ার পর সিকিম অভিযান।
8/10
পাহাড়ি রাস্তা, দুর্গম পথ। দলের মধ্যে দুজনের মনোবল অটুট ছিল। মনিকা সাহা আর সুপ্রতিম পোদ্দার। পথে যেতে যেতে দুজনের সাংঘাতিক অভিজ্ঞতা। ঠাণ্ডায় গাড়ি থেমে যাচ্ছিল। একে অপরের গাড়ি ঠেলাঠেলি।
9/10
অবশেষে লক্ষ্যে উপস্থিত হন দুজনেই। তরুণী চিকিৎসক জানান, “সে এক অন্য রকমের অনুভুতি। জীবনের প্রথম এরকম উচ্চতায় যাব স্থির করে সেটা সফলভাবে উত্তীর্ণ হতে পেরে সত্যি প্রচন্ড ভাল লাগছিল।’’
10/10
মনিকার কথায়, “অনেকটা, কোনও সঙ্কটজনক রোগীকে বাঁচাতে পারার আনন্দ।’’ তথ্য ও ছবি- ঝিলম করঞ্জাই