বাবা, মা, স্ত্রী, ছেলে, দাদা-বৌদিকে নিয়ে সংসার দেবকুমারের। হাসপাতালে চিকিৎসক কুণাল দত্তের অধীনে ছিলেন। দেবকুমার বলছেন, 'আমি ঈশ্বরকে দেখিনি। তবে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরাই আমার কাছে ভগবান। জীবন বিপন্ন করে ওঁদের পরিশ্রমকে কুর্নিশ জানাতেই আজকের পরিকল্পনা।' রোগমুক্তির পর করোনা আক্রান্তদের উদ্দেশে দেবকুমারের বার্তা, 'মনের জোর রাখুন। জয় সম্ভব।'
2/5
শ্রমজীবী হাসপাতালের সুপার, চিকিৎসক সুমিত তালুকদার এবিপি আনন্দকে জানালেন, করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসার পর আইসিএমআর-এর নির্দেশিকা মেনে এক সপ্তাহ বাড়িতে থাকার কথা রোগীদের। তারপরই করোনা-জয়ীরা স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারেন। দেবকুমারের উদ্যোগের প্রশংসা করে তিনি বলেন, 'এতে করোনা আক্রান্তদের মনোবল বাড়বে। পাশাপাশি যে সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মীরা দিনরাত অতিমারীর সঙ্গে যুদ্ধ করছেন, তাঁরাও উৎসাহিত হবেন।'
3/5
হাসপাতালের সমস্ত কর্মীদের হাতে মাস্ক, স্যানিটাইজার, সাবান, ফুল ও মিষ্টি তুলে দেন দেবকুমার। মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীদের সুগন্ধিও উপহার দেন। হাসপাতালের চিকিৎসকদের কলম দেন তিনি। নার্স ও মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীরা মিলে দেবকুমারকে রাখি পরিয়ে দেন। দুপুরে হাসপাতালের সকলের জন্য খাওয়াদাওয়ার আয়োজনও করেছিলেন দেবকুমার।
4/5
করোনা আক্রান্ত হয়ে ২৭ জুন শ্রীরামপুর শ্রমজীবী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন হুগলির উত্তরপাড়ার বাসিন্দা, পেশায় মিষ্টির দোকানের মালিক দেবকুমার দাস। ৬ জুলাই সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান তিনি। তবে হাসপাতালের চিকিৎসক, কর্মী ও স্বাস্থ্যকর্মীদের অবদান ভোলেননি। সোমবার শ্রমজীবী হাসপাতালে এসে রাখিবন্ধন পালন করেন তিনি। সঙ্গে এসেছিলেন দুই বন্ধুও। সবরকম সুরক্ষাবিধি মেনে দিনটি পালন করেন দেবকুমার।
5/5
সোমবার হিন্দমোটরের একটি স্বেচ্ছাসেবামূলক প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে শ্রীরামপুর শ্রমজীবী হাসপাতালের করোনা যোদ্ধাদের রাখি পরানো হয়। করোনা আক্রান্তদের খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়।