![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/Premium-ad-Icon.png)
Annapurna Puja 2024 : মা অন্নপূর্ণার কাছে কেন হাত পেতেছিলেন শিবঠাকুর ? কীভাবে দেবীর পুজো শুরু?
Annapurna Puja 2024 : ভারতচন্দ্র রায়গুনাকর তার অন্নদামঙ্গল কাব্যে লিখেছেন, 'আমি দেবী অন্নপূর্ণা প্রকাশ কাশীতে। চৈত্রমাসে মোর পূজা শুক্ল অষ্টমীতে'
![Annapurna Puja 2024 : মা অন্নপূর্ণার কাছে কেন হাত পেতেছিলেন শিবঠাকুর ? কীভাবে দেবীর পুজো শুরু? Annapurna Puja 2024 On 16 April Tuesday Know its religious significance Annapurna Puja 2024 : মা অন্নপূর্ণার কাছে কেন হাত পেতেছিলেন শিবঠাকুর ? কীভাবে দেবীর পুজো শুরু?](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2024/04/12/5f99caaae3a1875c356443a275644ad4171290274746353_original.png?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
কলকাতা : চৈত্রমাসে শুক্লা অষ্টমী তিথিতে পূজিত হন দেবী অন্নপূর্ণা। ভারতচন্দ্র রায়গুনাকর তার অন্নদামঙ্গল কাব্যে ঈশ্বরী পাটনির মুখ দিয়ে বলিয়েছিলেন 'আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে'। এতে করে বোঝা যায়, দেবী অন্নপূর্ণা হলেন পুষ্টিদাত্রী, ক্ষুধা নিবারণের দেবী। সংসারে সমৃদ্ধি রক্ষার দেবী। তাঁর কাছে হাত পাতেন স্বয়ং মহাদেবও। তাই বাংলার ঘরে ঘরে অন্নপূর্ণা দেবীর পুজো হয়, পরিবারের সমৃদ্ধি, সন্তানের মঙ্গলকামনায়। যদিও বাংলায় অন্নপূর্ণা দেবীর মাহাত্ম্য প্রচারিত হয়েছে কাশী থেকে। মনে করা হয়, কাশী বিশ্বনাথের দর্শন করতে গেলে অবশ্যই পুজো দিতে হয় মা অন্নপূর্ণাকে। বলা হয়, বাবা বিশ্বনাথ কাশীধামের নির্মাণকর্তা। মা অন্নপূর্ণা সমগ্র কাশীধামের অধিষ্ঠাত্রী দেবী। তবে কাশীর দেবী অন্নপূর্ণা কখন যে বাংলার ঘরের মেয়ে হয়ে গিয়েছেন...! ভারতচন্দ্র রায়গুনাকর তার অন্নদামঙ্গল কাব্যে লিখেছেন, 'আমি দেবী অন্নপূর্ণা প্রকাশ কাশীতে। চৈত্রমাসে মোর পূজা শুক্ল অষ্টমীতে'
কবে অন্নপূর্ণা পুজো
এ বছর অন্নপূর্ণা পুজো এই বছরের শ্রী শ্রী অন্নপূর্ণা পূজা ১৬ এপ্রিল ২০২৪ মঙ্গলবার। তারপর দিনই রামনবমী। বাংলার ঘরে ঘরে বাসন্তী পুজোর অষ্টমী তিথিতেই পূজিত হন মা অন্নদা।
কেন শিব হাত পেতেছিলেন অন্নপূর্ণার কাছে ?
অন্নপূর্ণার মূর্তি দেখলে দেখা যায়, তাঁর কাছে ঝুলি পেতে অন্নগ্রহণ করছেন দেবাদিদেব মহাদেবও। এর পিছনেও রয়েছে এক প্রচলিত গল্প। শিব -গৌরির ঘর-সংসার কৈলাশ পর্বতে। কিন্তু শিব আদলে ভিক্ষু। আর গৌরি তো হিমালয় কন্যা। এই নিয়ে শিব-দুর্গার কলহ লেগে থাকত। এক সময় রাগ করে ক্ষোভে দুঃখে গৌরি গেলেন বাপের বাড়ি। এবার সখী জয়া-বিজয়ার পরামর্শে তিনি ভাবলেন মহাদেবকে একটু শিক্ষা দেবেন। করলেন কী, দেবী জগতের সমস্ত অন্ন হরণ করলেন। ভি ক্ষু শিব আর কোথাও অন্ন পান না। চারিদিকে শুধু অন্নের জন্য হাহাকার । শিব ঠাকুরকে ভিক্ষে দেবে কে ! সব শেষে তিনি এলেন অন্নপূর্ণার কাছে। অন্নপুর্ণার তাঁকে অন্ন দিলেন। তারপরই মহাদেবের ইচ্ছেয় কাশীতে প্রতিষ্ঠিত হয় দেবী অন্নপূর্ণার মন্দির।
আস্তে আস্তে কাশীর দেবী অন্নপূর্ণার পুজো শুরু হল সারা বাংলায়। অন্নপূর্ণাকে অন্নদাও বলা হয়। দেবীর মাহাত্ম্যকথা নিয়ে রায়গুণাকর ভারতচন্দ্র লিখেছিলেন ‘অন্নদামঙ্গলকাব্য’। সেখান থেকে জানা যায়, নদিয়ার রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় অন্নপূর্ণার পুজো প্রসারে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন:চালকলের চিমনির সামনে দাঁড়িয়ে রিল, হুগলিতে ফের ধোঁওয়া দেখালেন রচনা
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)