(Source: Poll of Polls)
Kali Puja 2025: '১৮-২৫ অক্টোবর সর্বসাধারণের জন্য বন্ধ', নৈহাটি বড়মা'র বার্ষিক পুজো উপলক্ষে একাধিক ঘোষণা
Boro Ma: পুনরায় মন্দিরে বসে প্রসাদ গ্রহণ শুরু হবে ৩ নভেম্বর থেকে পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী।

নৈহাটি : নৈহাটি বড়মা'র বার্ষিক পুজো উপলক্ষে বিশেষ ঘোষণা করা হল। আগামী ১৮ অক্টোবর, শনিবার থেকে পরের শনিবার অর্থাৎ ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য পূর্ণ রূপে বন্ধ থাকবে বড়মা'র মন্দির। তার পরের দিন অর্থাৎ রবিবার, ২৬ অক্টোবর থেকে মন্দিরে পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী পুজো দেওয়া যাবে। সোশাল মিডিয়ায় এমনই তথ্য দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও জানানো হয়েছে, বার্ষিক পুজো উপলক্ষে ১০ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত মন্দিরে বসে প্রসাদ গ্রহণ বন্ধ থাকবে। পুনরায় মন্দিরে বসে প্রসাদ গ্রহণ শুরু হবে ৩ নভেম্বর থেকে পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী।
এক-দু'জনের নয়। অগুণিত মানুষের মনোস্কামনা পূরণ হয়েছে। কঠিন সময়ে মা-কে ডেকে পেয়েছেন ফল। মা কাউকে নিরাশ করেন না, এমনই বিশ্বাস ভক্তদের। তাই বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসেন তাঁরা। মায়ের টানে। মনোস্কামনা পূরণ হলে মায়ের কাছে এসে কার্যত আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন তাঁরা। পুজোর দিনে এত ভিড় হয় যে কাউকে সরানো যায় না। আর বড় মা-র এই মহিমার কারণেই ফি বছর দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসেন হাজার হাজার ভক্ত। নৈহাটির বড় মা (Naihati Boro Ma) কালীর গায়ে কাঁটা দেওয়া কাহিনি এর আগে শুনিয়েছিলেন পুজো কমিটির তাপস ভট্টাচার্য।
তিনি বলেছিলেন, "২০১৮ সালে কালীপুজোর (Kali Puja) সময় মায়ের সামনে দাঁড়িয়ে আছি। দেখলাম, দুই জন ভদ্র মহিলা এসে হাউহাউ করে কাঁদছেন। আমি বললাম, কী হল এত কাঁদছেন ? মা-কে দর্শন করুন। মায়ের কাছে চান। একজন বললেন, আমার একটা চাকরি আটকে আছে। মেট্রো রেলের চাকরি। আমি বললাম, মায়ের কাছে চান। পরের বছর আমি এই জায়গায় এখানে দাঁড়িয়ে থাকব। আপনি আমার সঙ্গে দেখা করবেন এবং চাকরি নিয়ে। আমি বলেছি এবং সেটা সত্যিও হয়েছে। সেই ভদ্র মহিলা পরের বছর এসে জানান, তাঁর চাকরি হয়ে গেছে।"
তিনি জানান, "এ পুজো শুরু করেছিলেন ভবেশ চক্রবর্তী। মন্দিরের পাশেই তাঁর বাড়ি। উনি এবং ওঁর বন্ধুরা নবদ্বীপ ঘুরতে গিয়েছিলেন। তিন-চার জন বন্ধু মিলে। নবদ্বীপে রাসপুজোয় অনেক বড় বড় মূর্তি হয়। সেইসব মূর্তি টেনে টেনে ভাসান দেওয়া হয়। উনি সেখানে গিয়ে এসব দেখেন। এরপর নৈহাটি ফিরলে, ওঁকে স্বপ্নে দেখা দেন মা। যে, আমাদের বাড়ির পুজোটা বড় করা যেতে পারে। সেটা বড় করা গেলে নৈহাটির বুকে একটা বড় উচ্চতার পুজো হবে। তখন ওঁর মনে হয়, এর উচ্চতা হবে ২২ ফুট এবং ১৪ হাত। তখন থেকেই এই পুজোর শুরু। ঠিক লক্ষ্মীপুজোর দিন, একটা কাঠামোর ওপরে, চাকা দেওয়া একটা ট্রলি তৈরি করেন। সেই ট্রলিতে মা-কে দাঁড় করানো হয়। সেরকম লক্ষ্মীপুজোর দিন কাঠামোর পুজো হয় এখানে। সেদিন থেকেই বাঁশ পড়ে যায় এবং মা-কে তৈরি করা হয়। ২০১২ সালে ওঁর ছেলের হাত থেকে আমাদের হাতে দায়িত্ব আসে। ২০১২ সালের পর থেকে নৈহাটির মানুষ আর বড় কালী বলেননি, বড় মা বলতে শুরু করেন।"























