Tungnath: আজও রহস্যে ঘেরা তুঙ্গনাথ, কেন এই শিবালয় এত গুরুত্বপূর্ণ?
Shiv Mandir: কথিত আছে, মহাভারতে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে ভ্রাতৃহত্যার পাপ মোচন করতে পাণ্ডবরা শিবের পুজো করার সিদ্ধান্ত নেন।
নয়া দিল্লি: বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু মন্দির অবস্থিত তুঙ্গনাথ। পঞ্চ কেদারের তৃতীয় কেদার এটি। তুঙ্গনাথের উপরে ১৩১২৩ ফুট উচ্চতায় পাহাড়ের চূড়ায় চন্দ্রশিলা অবস্থিত।
গ্রানাইট পাথর দিয়ে তৈরি মন্দিরটির গঠন অনেকটা কেদারনাথের মতো। মন্দিরের গায়ে রয়েছে সুন্দর কারুকার্য আর চূড়াতে তামার পাতের উপর সোনার প্রলেপ দেওয়া অংশ। সামনের বাঁধানো অংশের এক পাশে আছেন পঞ্চ ঈশ্বরী মাতা, ভগবান বিষ্ণু, গৌরীশঙ্কর পিতৃদেব,ভৈরবনাথ।গর্ভমন্দিরের ভেতর রয়েছে লিঙ্গ মূর্তি এবং মূর্তির পিছনে আছে শঙ্করাচার্যের তৈলচিত্র, বাঁদিকে আছে কালভৈরব এবং ডান দিকে আছে ঋষি বেদব্যাস। মন্দিরের সামনে রয়েছে নন্দী মূর্তি।
মহাভারতে তুঙ্গনাথ
কথিত আছে, মহাভারতে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে ভ্রাতৃহত্যার পাপ মোচন করতে পাণ্ডবরা শিবের পুজো করার সিদ্ধান্ত নেন। তারপর তাঁরা পুজোর জন্য বারাণসীতে গিয়ে উপস্থিত হলেও দেবাদিদেব মহাদেবের দর্শন পান না। মহাদেব পাপীদের হাতে ধরা দেবেন না বলে মহিষরূপ ধারণ করেন এবং হিমালয় পর্বতমালার উত্তরাখণ্ডের গুপ্তকাশীতে গিয়ে লুকিয়ে পরেন। পাণ্ডবরা তাঁকে খুঁজতে খুঁজতে উত্তরাখণ্ডে এসে পৌঁছলে মহাদেব এ-পাহাড় থেকে ও-পাহাড় পালিয়ে বেড়ান। পাণ্ডবরাও তাঁর পিছু ধাওয়া করলেও তাঁকে ধরতে অসমর্থ হন। কিন্তু কোনও কোনও স্থানে তাঁরা মহিষরূপী মহাদেবের লেজ, শিং স্পর্শ করতে পেরেছিলেন। আর ঠিক এরপর থেকেই স্পর্শিত অংশের স্থানগুলি "পঞ্চকেদার" নামে পরিচিত হয়।
আরও পড়ুন, শনির দশা চলছে, নাকি আপনি আছেন বড় ঠাকুরের সুনজরেই ? চিনে নিন লক্ষণ
‘তুঙ্গনাথ' শব্দের অর্থ হল ‘শৃঙ্গ কুলের দেবতা'। ‘পঞ্চকেদারের'(কেদারনাথ, মদমহেশ্বর,তুঙ্গনাথ,কল্পেশ্বর এবং রুদ্রনাথ ) মধ্যে তৃতীয় কেদার তুঙ্গনাথ উত্তরাখণ্ড রাজ্যের রুদ্রপ্রয়াগ জেলায় অবস্থিত। এটি বিশ্বের সর্বোচ্চ শিবমন্দির হিসেবে বিখ্যাত। যার উচ্চতা প্রায় ১২০৭৩ ফুট। মন্দাকিনী এবং অলকানন্দা নদীর উপত্যকার উপর অবস্থিত তুঙ্গনাথ।
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট
তৃতীয় কেদার তুঙ্গনাথে মহাদেবের 'বাহু' পতিত হয়। পুরাণ অনুযায়ী, তৃতীয় পাণ্ডব অর্জুন এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন বলে জানা যায়। কিন্তু পরবর্তীতে শঙ্করাচার্য নতুন করে এই মন্দির আবার নির্মাণ করেন এবং তিনিই প্রথম মন্দিরে নিয়মিত পুজোর প্রচলন করেন। এই মন্দিরে মহিষরূপী শিবের মস্তকের অংশ পূজিত হয়। এছাড়াও জানা যায় শিবের বর পেতে লঙ্কাধিপতি রাবণ তুঙ্গনাথে এসে তপস্যা শুরু করেছিলেন। আবার রাবণকে বধ করে রামচন্দ্র চন্দ্রশিলা শিখরে তপস্যা করেন।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে