Gaia BH3 Black Hole: আকাশগঙ্গা ছায়াপথে নয়া কৃষ্ণগহ্বরের খোঁজ মিলল, পৃথিবীর খুব কাছে থেকেও লুকিয়ে ছিল এতদিন
Science News: নয়া আবিষ্কৃত কৃষ্ণগহ্বরটির নাম রাখা হয়েছে Gaia BH3.
নয়াদিল্লি: মহাশূন্যের অনেক কিছুই যে এখনও অজানা, আবারও তার প্রমাণ মিলল। কারণ পৃথিবীর খুব কাছেই এবার একটি কৃষ্ণগহ্বরের সন্ধান মিলল। আকাশগঙ্গা ছায়াপথে আবিষ্কৃত এখনও পর্যন্ত বৃহত্তম কৃষ্ণগহ্বর এটি। আয়তনে সূর্যের চেয়ে ৩৩ গুণ বেশি বড় বলে জানা গিয়েছে। একরকম ভাবে দুর্ঘটনাগশতই নয়া কৃষ্ণগহ্বরটির আবিষ্কার হল। (Gaia BH3 Black Hole)
নয়া আবিষ্কৃত কৃষ্ণগহ্বরটির নাম রাখা হয়েছে Gaia BH3. আকাশগঙ্গা ছায়াপথে Cygnus X-1 নামের আরও একটি বৃহদাকার কৃষ্ণগহ্বর রয়েছে। কিন্তু সেটি সূর্যের চেয়ে আয়তনে ২১ গুণ বড়। অর্থাৎ Gaia BH3-ই আকাশগঙ্গা ছায়াপথের বৃহত্তম কৃষ্ণগহ্বর। পৃথিবী থেকে ২০০০ আলোকবর্ষ দূরের Aquila নক্ষত্রপুঞ্জে অবস্থিত Gaia BH3. এটি পৃথিবীর দ্বিতীয় নিকটতম কৃষ্ণগহ্বর। ১৬ এপ্রিল Astronomy And Astrophysics জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে নয়া আবিষ্কারের কথা জানানো হয়েছে। (Science News)
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, একরকম দুর্ঘটনাবশতই নয়া কৃষ্ণগহ্বরটির সন্ধান মিলেছে। ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির Gaia অভিযান থেকে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে গবেষণা চলছিল প্যারিসের ন্যাশনাল সেন্টার ফর সায়েন্টিফিক রিসার্চ (CNRS) অবজার্বেটরিতে। আকাশগঙ্গা ছায়াপথের মানচিত্র তৈরির কাজ করছিলেন এক জ্যোতির্বিজ্ঞানী, তাতেই Gaia BH3 কৃষ্ণগহ্বরটির সন্ধান মেলে।
A 5.5 years of observation time span allows this discovery of #GaiaBH3, covering about half the period of the binary system (11.6 years). Observations by UVES, HERMES & SOPHIE all align with Gaia's solution. https://t.co/4hoyklt2QX
— ESA Gaia (@ESAGaia) April 16, 2024
আরও পড়ুন: China Rail Bus: না বসাতে হয় লাইন, না লাগে চালক, ট্রামের আদলে তৈরি চিনের 'রেল বাস' দেখেছেন?
গবেষণায় যুক্ত জ্যোতির্বিজ্ঞানী Pasquale Panuzzo জানিয়েছেন, পৃথিবীর কাছাকাছি এত বড় কৃষ্ণগহ্বর রয়েছে বলে কেউ কল্পনাও করতে পারেননি। জীবনে একবারই এমন আবিষ্কারের সুযোগ আসে বলে জানিয়েছেন তিনি। Gaia টেলিস্কোপের মাধ্যমে নক্ষত্রদের সঠিক অবস্থান জানা যায়, তা থেকে প্রাপ্ত তথ্য ঘাঁটতে গিয়ে একটি নক্ষত্রকে কিছু একটা মহাজাগতিক বস্তুকে প্রদক্ষিণ করতে দেখা যায়। পরে পৃথিবী থেকে আবারও টেলিস্কোপ তাক করে সন্ধান চালান বিজ্ঞানীরা, তাতেই কৃষ্ণগহ্বরটির অস্তিত্বে সিলমোহর পড়ে।
আয়ুকাল শেষ হওয়ার পর নক্ষত্রের ধ্বংসাবশেষ, অন্য মৃত নক্ষত্র, মৃত কৃষ্ণগহ্বর, গ্যাস, ধুলোর সংমিশ্রণে কৃষ্ণগহ্বর গড়ে ওঠে। এই কৃষ্ণগহ্বরের আকারেও তারতম্য রয়েছে। নাক্ষত্রিক কৃষ্ণগহ্বরগুলি আয়তনে সূর্যের চেয়ে কয়েক গুণ বড় হয়। তবে দৈত্যাকার যে কৃষ্ণগহ্বরগুলি হয়, তাদের এক একটির ভর সূর্যের চেয়ে কয়েক লক্ষ বা কয়েক কোটি গুন বেশি হয় সাধারণত।