Aliens: আমাদের আশপাশেই ভিনগ্রহীরা! লুকিয়ে ভিড়েই! আমরা কি নজরবন্দি?
Harvard Study on Aliens: হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক ভিনগ্রহী নিয়ে এমন চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন যে তোলপাড় পড়েছে দুনিয়ায়
কলকাতা: তাঁরা আছেন। আমাদের মধ্যেই আছেন। কোটি কোটি আলোকবর্ষ দূরে নন। এখানে পৃথিবীর মাটিতেই। হয়তো ভিড়ে ঠাসা মেট্রো কিংবা ট্রেনের নিত্যযাত্রীর চেহারায়- আমাদের মাঝেই রয়েছে ভিনগ্রহীরা। হয়তো মাটির নীতে কিংবা চাঁদে। কোনও সায়েন্স ফিকশনের (Aliens in Earth) গল্প নয়। এই দাবি করা হয়েছে খোদ হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণাপত্র। হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের Human Flourishing program-দাবি করা হয়েছে, মাঝেমধ্যেই যে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে UFO-দেখতে পাওয়ার কথা বলা হয়- তারাও আসলে পৃথিবীতে থাকা তাদের স্বজাতির সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার জন্য আসে। এনডিটিভি এবং আরও নানা প্রতিবেদনে প্রকাশ এমনটাই।
ওই গবেষণা পত্রে আরও দাবি করা হয়েছে যে, UAP বা 'unidentified anomalous phenomena'- যাকে অনেকসময়েই UFO বলে অভিহিত করা হয়। যেখানে ভিনগ্রহীরা যাতায়াত করে বলে দাবি করা হয়। সেই ভিনগ্রহীরা আদতে পৃথিবীর মাটিতেই রয়েছে, কেউ কেউ হয়তো চাঁদেও রয়েছে।
ওই গবেষণাপত্রে দাবি করা হয়েছে যে যিনি সমীক্ষক তাঁর কাছে যথেষ্ট পরিমাণ তথ্য ও প্রমাণ রয়েছে এই দাবির সপক্ষে। এই গবেষণা পত্রের মাধ্যমে ভিনগ্রহী সংক্রান্ত আরও একটি হাইপোথিসিসকেও সমর্থন করা হয়েছে- সেটির নাম 'crypto terrestrial hypothesis। নিউ ইয়র্ক পোস্টে একটি প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে ওই গবেষকরা crypto terrestrial নিয়ে গবেষণা করেছে। এরাই নাকি মানুষ সেজে থাকে আমাদের ভিড়ে।
এই গবেষণার মাধ্যমে মূলত চারটি ভিনগ্রহী তত্ত্বের উপর আলোকপাত করেছে-
Human Cryptoterrestrials:
এই তত্ত্ব বলে বহু প্রাচীন কোনও উন্নত মনুষ্য সভ্যতা এখনও টিকে রয়েছে সময়ের অজস্র অভিঘাত সামলে
Hominid or Theropod Cryptoterrestrials:
এই তত্ত্বে দাবি করা হয়, অত্যন্ত আধুনিক কোনও না-মানুষ সভ্যতার বিষয়ে। সেটি নাকি আত্মগোপন করে এখনও টিকে রয়েছে। বানর-প্রকৃতির বা অতি বুদ্ধিমান ডাইনোসর প্রকৃতির কোনও প্রাণীর তৈরি এই সভ্য়তা।
Extratempestrial or Former Extraterrestrial Cryptoterrestrials
এই তত্ত্বে দাবি করা হয়, কোনও প্রাণী মহাবিশ্বের কোনও কোণা থেকে পৃথিবীতে বা চাঁদে এসে লুকিয়েছে নিজেকে।
Magical Cryptoterrestrials
এই তত্ত্বে অবশ্য কোনও ভিনগ্রহীদের নিয়ে আলোচনা হয় না। বরং এখানে একটি শব্দ রয়েছে 'earthbound angels'। পরী, এলফ বা এরকম কোনও প্রাণীর কথা বলা হয়। যা অনেকটা রূপকথাকেন্দ্রিক, বিজ্ঞানকেন্দ্রিক নয়।
গবেষকদের দাবি, বিশ্বের অধিকাংশ বিজ্ঞানী তাঁদের এই গবেষণাপত্রটিকে সন্দেহের চোখে দেখবেন। কিন্তু তাঁরা বৈজ্ঞানিক মহলকে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার আবেদন জানিয়েছেন। এই পেপার এখনও Peer Reviewed নয়।
এর আগে আমেরিকার UFO-তরজা বড় আকার নিয়েছিল। এক প্রাক্তন মার্কিন ইনটেলিজেন্স অফিসার দাবি করেছিলেন আমেরিকার সরকার জেনেবুঝে UFO তথ্য গোপন করছে। আমেরিকার বায়ুসেনার এক যুদ্ধবিমান চালকও উড়ানের সময় অচেনা উড়ন্ত বস্তুর সঙ্গে সাক্ষাতের কথা বারবার বলেছেন।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: মোদিকে Skullcap পরতে দেখতে চান নাসিরউদ্দিন! কেন? খোলসা করলেন নিজেই