Blue Origin Space Tour: মহাকাশে এবার পর্যটন, রয়েছেন এক ভারতীয়ও, আর কিছু ক্ষণের মধ্যেই রওনা
New Shepard Mission: আমেরিকার ওয়েস্ট টেক্সাস থেকে মহাকাশ পর্যটকদের নিয়ে রওনা দেবে Blue Origin-এর New Shepard-25 মহাকাশযান (NS-25)।
নয়াদিল্লি: ব্যর্থতার পর মাঝে দু'বছরের ব্যবধান। আবারও মহাকাশ ভ্রমণে তোড়জোড়। অ্যামাজন কর্তা জেফ বেজোসের মহাকাশ উড়ান সংস্থা Blue Origin ফের মহাকাশের উদ্দেশে রওনা দিতে চলেছে। আমেরিকার স্থানীয় সময় অনুযায়ী, ১৯ মে সকাল ৮টা বেজে ৩০ মিনিটে মহাকাশ পর্যটকরা পৃথিবী থেকে মহাকাশের উদ্দেশে রওনা দেবেন। ওই মহাকাশ পর্যটকদের দলে রয়েছেন এক ভারতীয়ও। (Blue Origin Space Tour)
আমেরিকার ওয়েস্ট টেক্সাস থেকে মহাকাশ পর্যটকদের নিয়ে রওনা দেবে Blue Origin-এর New Shepard-25 মহাকাশযান (NS-25)। যে ছয় জন মহাকাশ পর্যটকদের নিয়ে রওনা দিচ্ছে সেটি, তার মধ্যে রয়েছেন গোপী থোটাকুরাও। পেশায় বাণিজ্যিক বিমানের পাইলট গোপী। তাঁর সঙ্গে মহাকাশে যাচ্ছেন আরও পাঁচ পর্যটক। তবে গোপীই প্রথম ভারতীয় মহাকাশ পর্যটক। (New Shepard Mission)
গোপীর পাশাপাশি, অ্যামাজন কর্তার সংস্থা মহাকাশ ভ্রমণে পাঠাচ্ছে বায়ুসেনার প্রাক্তন ক্যাপ্টেন এড ডোয়াইট। এড আমেরিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নভোশ্চরও, ১৯৬১ সালে যাঁকে নির্বাচিত করেছিলেন দেশের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি স্বয়ং। কিন্তু আজ পর্যন্ত মহাকাশে যাওয়ার সুযোগ পাননি এড। মহাকাশে যাচ্ছেন মেসন আঙ্গেল, সিলভিয়ান শিরন, কেনেথ এল হেস এবং ক্যারোল স্কেলার। New Shepard অভিযানের আওতায় এটি সপ্তম মনুষ্য নির্ভর অভিযান। আর মহাকাশে মানুষ পাঠানোর ক্ষেত্রে ২৫তম। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল এবং মহাকাশকে আলাদা করেছে যে Kármán Line (ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০০ কিলোমিটার উপরে), তা ছাড়িয়ে এখনও পর্যন্ত মহাকাশে গিয়েছেন ৩১ জন। এই Kármán Line আন্তর্জাতিক মহাকাশ সীমান্ত হিসেবে গন্য হয়।
আরও পড়ুন: Viral Meteorite Video: রাতের আকাশে আলো ছড়াল উল্কা! নীল হল স্পেন, পর্তুগাল, ভিডিও ভাইরাল
এর আগে, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসেও মানুষ সমেত মহাকাশে রকেট পাঠানোর পরিকল্পনা ছিল Blue Origin-এর। কিন্তু উৎক্ষেপণের আগে সেই অভিযান বাতিল করা হয়। কারণ তার ঠিক আগে টেক্সাস থেকে একটি রকেট উৎক্ষেপণ করতে গিয়ে ব্যর্থ হয় Blue Origin. তবে ওই রকেটে কোনও মানুষ সওয়ার ছিলেন না। মাঝ আকাশে NASA-র সরঞ্জাম ভর্তি রকেটের ক্যাপসুলটি বের করে নেওয়া হয়। সেই ব্যর্থতার পর আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা Blue Origin-কে বেশ ২১টি শর্ত ধরায়, যার মধ্যে নতুন করে ইঞ্জিনের নকশা তৈরির নির্দেশও ছিল। পাশাপাশি সাংগঠনিক রদবদলের নির্দেশও দেওয়া হয়।
NS-25 অভিযানের আওতায় শব্দের চেয়ে তিন গুণ বেশি গতিবেগে মহাকাশের উদ্দেশে রওনা দেবেন পর্যটকরা। Kármán Line ছাড়িয়ে আরও উপরে উঠে যাবেন। পৃথিবীর মাধ্যকর্ষণ শক্তির বাইরে গিয়ে কিছু সময় কাটাবেন তাঁরা, তার পর প্যারাশ্যুটে ভর করে আবার ফিরে আসবেন। এই অভিযানের আগে উৎক্ষেপণ কেন্দ্রে দু'দিন প্রশিক্ষণ নিয়েছেন মহাকাশ পর্যটকেরা। এই অভিযানের পর রকেটের ক্যাপসুল, বুস্টার এবং ইঞ্জিনটি পুনরায় ব্যবহার করা যাবে। NS-25 রকেটের ইঞ্জিনটি তরল অক্সিজেন এবং হাইড্রোজেন দ্বারা চালিত হয়। রকেট থেকে কার্বন নির্গমন হবে না। শুধুমাত্র জলীয় বাষ্পই বেরিয়ে আসবে। এই Blue Origin সংস্থার ল্যান্ডার আবার NASA-র আর্টেমিস অভিযানেরও অংশ। তাদের ল্যান্ডারে চেপেই চাঁদের বুকে প্রত্যাবর্তন ঘটতে চলেছে মানুষের।