Prashanth Balakrishnan Nair: সংসার চালাতে কুয়েতে পড়েছিলেন বাবা, ছেলে ‘গগনযান’ অভিযানের নায়ক গ্রুপ ক্যাপ্টেন নায়ার
Gaganyaan Mission: কেরলের পলক্কড়ের নেনমারার পঝিয়া গ্রামের বাসিন্দা, গ্রুপ ক্যাপ্টেন প্রশান্ত বালাকৃষ্ণণ নায়ার 'গগনযান' অভিযানের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।
পলক্কড়: একার ক্ষমতায় মহাকাশে মানুষ পাঠাতে উদ্যত ভারত। 'গগনযান' অভিযানের ঘোষণা হয়েছে আগেই, মঙ্গলবার চার মহাকাশচারীর নাম-পরিচয়ও প্রকাশ করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর সেই নাম সামনে আসতেই কার্যত উৎসব শুরু হয়ে গিয়েছে কেরলের পলক্কড়ে। কারণ যে চার মহাকাশচারীকে 'গগনযান' অভিযানের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে, তাঁদের মধ্যে একজন সেখানকার পঝিয়া গ্রামের বাসিন্দা। (Prashanth Balakrishnan Nair)
কেরলের পলক্কড়ের নেনমারার পঝিয়া গ্রামের বাসিন্দা, গ্রুপ ক্যাপ্টেন প্রশান্ত বালাকৃষ্ণণ নায়ার 'গগনযান' অভিযানের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। মঙ্গলবার ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ISRO-র বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টার থেকে তাঁর নামের ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। আর তার পরই উল্লাসে ফেটে পড়ে পঝিয়া গ্রাম। (Gaganyaan Mission)
ঘোষণার পর পরই গ্রুপ ক্যাপ্টেন নায়ারের বাড়ির সামনে ভিড় উপচে পড়ে। বাজি ফাটিয়ে উল্লাস প্রকাশ করেন বাসিন্দারা কেউ কেউ। কেউ কেউ আবার গ্রুপ ক্যাপ্টেন নায়ারের নামে জয়ধ্বনিও দেন। এদিন গ্রুপ ক্যাপ্টেন নায়ারের ভূয়সী প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদিও। তাঁর বুকে মহাকাশচারীর ব্যাজও পরিয়ে দেন তিনি।
৪৭ বছর বয়সি গ্রুপ ক্যাপ্টেন নায়ারের পড়াশোনা কুয়েতে। কারণ কর্মসূত্রে সেখানেই থাকতেন তাঁর বাবা। ভারতে ফিরে এসে পলক্কড়ের চিন্ময় মিশন স্কুলে ভর্তি হন। এর পর ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমির ৯৩তম কোর্সে যোগদান করেন তিনি। তার পর এয়ারফোর্স অ্যাকাডেমির ১৬৩তম পাইলট কোর্সেও ভর্তি হন। সেখান থেকে 'Sword of Honor' শিরোপা পেয়ে পাশ করেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন নায়ার, ব্যাচের সেরা ক্যাডেটকে ওই শইরোপা দেওয়া হয়।
১৯৯৯ সালের ১৯ জুন কার্যক্ষেত্রে মোতায়েন হন গ্রুপ ক্যাপ্টেন নায়ার। তাঁর প্রতিবেশী, বয়স্ক এক মহিলা জানান, ছোট থেকে দেখে গ্রুপ ক্যাপ্টেন নায়ারকে দেখে আসছেন তিনি। খবর জানার পর নিজেকে স্থির রাখতে পারেননি তিনিও। ভিড়ের সঙ্গে তিনিও গ্রুপ ক্যাপ্টেন নায়ারের বাড়ির সামনে হাজির হন।
সংবাদমাধ্যমে ওই মহিলা বলেন, "চার বছর বয়স থেকে ওঁকে চিনি। অত্যন্ত বিনম্র এবং ভদ্র মানুষ। গত বছর ছুটি নিয়ে বাড়ি এসেছিলাম, তখনই শেষ বার দেখা হয়েছিল। ওঁর বাবা-মা কম প্রার্থনা করেননি। সর্বদা আশীর্বাদের হাত ছিল মাথার উপর।" কথা বলতে বলতে আনন্দাশ্রু গাল বেয়ে নামতে শুরু করে ওই বৃদ্ধারও।
নেনমারার বিধায়ক কে বাবুও এদিন গ্রুপ ক্যাপ্টেন নায়ারের বাড়িতে যান। আনন্দ উদযাপনে শামিল হন তিনিও। গোটা নেনমারার জন্য আজকের দিনটি অত্যন্ত সম্মানের বলে জানান। এবার গ্রামে এলে গ্রুপ ক্যাপ্টেন নায়ারকে সম্মানিত করার উদ্যোগও শুরু হয়ে গিয়েছে এখন থেকেই।