Exoplanet K2-18 b: জীবজগতে যা পাওয়া যায়, এই গ্রহেও একই জিনিসের খোঁজ মিলল, পৃথিবীর বিকল্প হতে পারে K2-18 b
Science News: NASA জানিয়েছে, K2-18 নামের একটি বামন নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করে K2-18 b.
নয়াদিল্লি: পৃথিবীর বিকল্প গ্রহের সন্ধান চলছে মহাশূন্যে, যাতে অদূর ভবিষ্যতে অন্য কোথাও পৃথিবীবাসীকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়। সৌরজগতের মধ্যে তো বটেই, সৌরগতরে বাইরেও প্রাণধারণের উপযুক্ত গ্রহ-উপগ্রহের খোঁজ চলছে। সৌরজগতের বাইরের একটি গ্রহ বা Exoplanet-কে নিয়ে এই মুহূর্তে আশায় বুক বাঁধছেন আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা NASA-র বিজ্ঞানীরা। কারণ NASA-র জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ K2-18b নামের ওই গ্রহে কার্বণ সম্বলিত অণুর খোঁজ পেয়েছে। শুধু তাই নয়, ওই গ্রহে এমন কিছু গ্যাসের খোঁজ মিলেছে, যা পৃথিবীতে ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটন থেকেই উৎপন্ন হয়। ফলে ওই গ্রহকে ঘিরে আগ্রহ বাড়ছে। (Exoplanet K2-18 b)
NASA জানিয়েছে, K2-18 নামের একটি বামন নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করে K2-18 b. পৃথিবী থেকে ১২০ আলোকবর্ষ দূরে তার অবস্থান, লিও নক্ষত্রপুঞ্জের মধ্যে। পৃথিবীর চেয়ে আয়তনে গ্রহটি আট গুণের বেশি বড় বলে জানা গিয়েছে। K2-18 b গ্রহটিকে Hycean Planet বলেও উল্লেখ করা হচ্ছে। কারণ বিজ্ঞানীদের অনুমান, ওই গ্রহে বৃহদাকার মহাসাগর থাকতে পারে, তার বায়ুমণ্ডল হাইড্রোজেন সমৃদ্ধ হতে পারে। এই ধরনের পরিবেশে প্রাণধারণ সম্ভব বলেই মনে করেন বিজ্ঞানীরা। (Science News)
প্রথম বার NASA-র Hubble Space Telescope-ই K2-18 b-র বায়ুমণ্ডলের উপর নজরদারি চালায়। তবে K2-18 b-কে নিয়ে বিজ্ঞানীদের আগ্রহে বাড়তি মাত্রা যোগ করেছে James Webb Telescope. কারণ ২০২৩ সালে গবেষণা চালাতে গিয়ে ওই গ্রহে মিথেন এবং কার্বন ডাই অক্সাইডের প্রাচুর্য চোখে পড়ে। গ্রহটির বায়ুমণ্ডল হাইড্রোজেনে সমৃদ্ধ। সেখানে ডাইমিথাইল সালফাইড (Dumethyl Sulfide)-এর অণুও রয়েছে বলে ইঙ্গিত মেলে, যা বিজ্ঞানীদের কৌতূহল বাড়িয়েছে আরও। কারণ পৃথিবীর সামুদ্রিক পরিবেশে ডাইমিথাইল সালফাইড উৎপন্ন করে প্ল্যাঙ্কটন গোত্রের উদ্ভিদ ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটন।
আরও পড়ুন: Narendra Modi in Space: মহাকাশ অভিযানে যাবেন মোদি! আশাবাদী ISRO প্রধান, কংগ্রেস বলল...
কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির জ্যোতির্পদার্থ বিজ্ঞানের অধ্যাপক এন মধুসূদন জানান, K2-18 b গ্রহে ডাইমিথাইল সালফাইডের পরিমাণ কতটা, তার উপর অনেক কিছু নির্ভর করছে। বিজ্ঞানীদের অনেকে ওই গ্রহকে নিয়ে সন্দিহানও। তাঁদের মতে, পৃথিবীর তুলনায় গ্রহটির ব্যাস আড়াই গুণ বড়। অর্থাৎ নেপচুনের মতো তার কেন্দ্রস্থলেও পুরু বরফের আস্তরণ রয়েছে, অথচ বায়ুমণ্ডলে হাইড্রোজেনের আস্তরণ পাতলা। মহাসাগর থাকলেও, তার জলস্তরও খুব বেশি না হওয়ার সম্ভবনাই বেশি। কিন্তু তাপমাত্রার নিরিখে সেই জলের উষ্ণতা এত বেশি হতে পারে যে, জল তরল অবস্থায় নাও থাকতে পারে। James Webb Telescope যদি ওই গ্রহে ডাইমিথাইল সালফাইডের পাতলা আস্তরণের খোঁজ পেয়েও থাকে, প্রাণধারণের উপযুক্ত পরিবেশে তার চেয়ে অন্তত ২০ গুণ বেশি ডাইমিথাইল সালফাইড উৎপন্ন করে ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটন। এ নিয়ে আরও গবেষণা হওয়া প্রয়োজন বলে মত বিজ্ঞানীদের একাংশের।