NASA Transmits Song to Venus: আলাপচারিতার আগে পৃথিবী থেকে উপহার গেল শুক্রগ্রহে, সময় লাগল মাত্র ১৪ মিনিট
First Hip Hop Song to Venus: শুক্রগ্রহে গান পাঠানো হয়েছে বলে মঙ্গলবার খোলসা করল NASA.
নয়াদিল্লি: চাঁদ, মঙ্গলকে শোনানো হয়েছে আগেই। এবার পৃথিবীতে বাঁধা গান পাঠানো হল শুক্রগ্রহে। আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা NASA এই কাজই করে দেখাল। Deep Space Network-এর (DSN) মাধ্যমে শুক্রগ্রহে গান পাঠানো হল পৃথিবী থেকে। যে সে গান নয়, শুক্রগ্রহকে উপহার হিসেবে হিপ-হপ গান পাঠানো হয়েছে পৃথিবী থেকে। (NASA Transmits Song to Venus)
শুক্রগ্রহে গান পাঠানো হয়েছে বলে মঙ্গলবার খোলসা করল NASA. তারা জানিয়েছে, শুক্রবার, ১২ জুলাই রাত ১০টা বেজে ৫ মিনিটে শুক্রগ্রহে গান পাঠানো হয়। শুক্রগ্রহকে প্রথম গান উপহার দেওয়ার ক্ষেত্রে কিংবদন্তি মিসি এলিয়টের 'দ্য রেইন' গানটি বেছে নেন NASA-র বিজ্ঞানীরা। সাদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার জেট প্রপালসন ল্যাবরেটরি থেকে গানটি পাঠানো হয় শুক্রগ্রহে। (First Hip Hop Song to Venus)
এই প্রথম কোনও হিপ-হপ গান পৃথিবীর ছাড়িয়ে মহাকাশে রওনা দিল। এর আগে, ২০১৮ সালে প্রথম বার 'দ্য বিটলস'-এর 'অ্যাক্রস দ্য ইউনিভার্স' গানটিতে মহাকাশে পাঠানো হয়। মঙ্গলবার NASA-র ডিজিটাল অ্যান্ড টেকনোলজি ডিভিশনের প্রধান ব্রিটানি ব্রাউন বলেন, "মহাকাশ অভিযান তো বটেই, মিসি এলিয়টের গানও লাগাতার সীমানা ছাড়িয়ে ডানা মেলে চলেছে।"
NASA জানিয়েছে, পৃথিবী থেকে ২৫ কোটি ৪০ লক্ষ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে শুক্রগ্রহে পৌঁছয় গানটি। শিল্পীর পছন্দের গ্রহতেই তাঁর গান পাঠানো হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। আলোর গতিতে পৃথিবী থেকে শুক্রগ্রহে গানটি পাঠানো হয়। সবমিলিয়ে সময় লেগেছে ১৪ মিনিট।
ক্যালিফোর্নিয়ায় Deep Space Communications Complex-এর Deep Space Station 13 রেডিও ডিশ অ্যান্টেনার মাধ্যমে গানটি পাঠানো হয় শুক্রগ্রহে। এতে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে মিসি বলেন, "এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না যে NASA আমাকে পৃথিবীর বাইরে নিয়ে যাচ্ছে এবং মহাকাশে পাঠানো প্রথম হিপ-হপ গান নির্বাচিত হয়েছে 'দ্য রেইন'। শুক্রগ্রহ শক্তি, সৌন্দর্য এবং ক্ষমতায়নের প্রতীক। তাই শুক্রগ্রহকেই পছন্দ হয় আমার। নিজের শিল্প এবং বার্তা ব্রহ্মাণ্ডের সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারা আমার কাছে সৌভাগ্যের।"
এই মুহূর্তে শুক্রগ্রহকে ঘিরে দু'টি অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে NASA. একটি শুক্রগ্রহকে চেনার-জানার চেষ্টা করছে। অন্যটি সেখান থেকে পৃথিবীতে তথ্য প্রেরণ করছে। ২০২৯ সালের Deep Atmosphere Venus Investigation of Noble Gases, Chemistry and Imaging (DAVINCI) অভিযান রয়েছে তাদের। এর পর, ২০৩১ সালে Venus Emissivity Radio sxience InSar Topography and Spectroscopy (Veritas) অভিযান। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের শুক্রগ্রহ অভিযানেও যুক্ত থাকছে NASA এবং DSN. সেই আলাপচারিতার আগে শুক্রগ্রহকে গান উপহার পাঠানো হল।