National Science Day 2024: জাতীয় বিজ্ঞান দিবসের নেপথ্যে সি ভি রমন, কেন ২৮ ফেব্রুয়ারি ?
National Science Day 2024 Significance: জাতীয় বিজ্ঞান দিবস পালন করা ২৮ ফেব্রুয়ারি। নেপথ্যে রয়েছে সি ভি রমনের বিশেষ একটি আবিষ্কার।
কলকাতা: বিজ্ঞানের দানেই আধুনিক হচ্ছে জীবন। দ্রুত হারে এগিয়ে চলছে সভ্যতা। ভারতে প্রতি বছর জাতীয় বিজ্ঞান দিবস (National Science Day 2024) পালন করা হয় ২৮ ফেব্রুয়ারি। বছরের দ্বিতীয় মাসের শেষ দিনকে এই দিনটির জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। তবে তার একটি কারণও রয়েছে।
জাতীয় বিজ্ঞান দিবস (National Science Day)
১৯৮৬ সালে ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি কমিউনিকেশন (National Council for Science and Technology Communication) কেন্দ্রকে জাতীয় বিজ্ঞান দিবস পালনের অনুরোধ জানায়। তারিখ হিসেবে ২৮ ফেব্রুয়ারি দিনটি বেছে নেওয়া হয়। প্রতি বছর আলাদা আলাদা ভাবনা নিয়ে পালন করা হয় এই দিনটি। ২৮ ফেব্রুয়ারি তারিখে জাতীয় বিজ্ঞান দিবস পালনের কারণ একটি বিখ্যাত আবিষ্কার। সেই আবিষ্কার করেন ভারতীয় বিজ্ঞানী চন্দ্রশেখর ভেঙ্কট রমন (C V Raman)। তার নামেই ওই আবিষ্কার বিখ্যাত। নাম রমন এফেক্ট। ২৮ ফেব্রুয়ারি তারিখে এই বিখ্যাত আবিষ্কার হয়। তাই জাতীয় বিজ্ঞান দিবস হিসেবে এই দিনটি বেছে নেওয়া হয়। প্রসঙ্গত এই আবিষ্কারের জন্য ১৯৩০ সালে নোবেল পুরস্কার পান সি ভি রমন।
জাতীয় বিজ্ঞান দিবস ২০২৪ ভাবনা (National science day theme 2024)
২০২৪ সালে জাতীয় বিজ্ঞান দিবসের জন্য একটি বিশেষ ভাবনা নির্বাচন করা হয়েছে। আর তা হল ইনডেজেনিয়াস টকনোলজিস ফর বিকশিত ভারত’। ভারতের বিজ্ঞানক্ষেত্রকে আরও পোক্ত করতে এই উদ্যোগ। ইতিমধ্যে ইসরো একের পর এক সাফল্যের শিখর ছুঁয়েছে। চাঁদে পৌঁছে গিয়েছে ইসরোর মহাকাশযান। পৌঁছেছে আরও বিভিন্ন গন্তব্যে। ভারতের বিজ্ঞান ও গবেষণার ক্ষেত্র মজবুত বলেই তা সম্ভব হয়েছে। সেই গবেষণাকেই আরও উৎসাহ জোগাতে এই ভাবনাকে বেছে নেওয়া হয়েছে ২০২৪ সালে।
রমন এফেক্ট (Raman Effect)
১৯৩০ সালে রমন এফেক্ট আবিষ্কার করার জন্য সি ভি রমনকে নোবেল পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়। রমন এফেক্ট একটি স্বচ্ছ পদার্থের ভৌতধর্মের কথা বলে। এর মধ্যে আলো পাঠালে দেখা গিয়েছে, আলো বিভিন্ন তরঙ্গে বিভক্ত হয়ে পড়ে। এই তরঙ্গগুলির একেকটির একেকরকম তরঙ্গ দৈর্ঘ্য। সি ভি রমন দেখিয়েছিলেন এই ছড়িয়ে পড়া আলোকতরঙ্গগুলি মূল তরঙ্গের থেকে দুর্বল। পাশাপাশি গ্যাসীয়, তরল ও কঠিন পদার্থের মধ্যে দিয়ে আলোর প্রতিসরণ বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে আলাদা। রমন এফেক্টের আবিষ্কারে দেখা যায়, নতুন তৈরি হওয়া তরঙ্গগুলির দৈর্ঘ্যের মূলটির থেকে হয় কম নয় বেশি হয়। এই আবিষ্কারের ভিত্তিতেই নোবেল পুরস্কারে সম্মানিত করা হয় বিজ্ঞানী সি ভি রমনকে।
আরও পড়ুন - Health Updates: জল কম খেলে বিপদ ? ভাবাচ্ছে জিরোধার নীতিন কামাথের স্ট্রোক