Noida Boy Discovers Asteroid: কৈশোর পেরোয়নি বয়স, গ্রহাণু আবিষ্কার করে সাড়া ফেলল ভারতীয় পড়ুয়া, বিশেষ দায়িত্ব দিল NASA
Asteroid 2023 OG40: ছোট থেকেই মহাকাশ নিয়ে আগ্রহ দক্ষের।

নয়াদিল্লি: কৈশোরেই মহাকাশ গবেষণায় সাড়া ফেলল ভারতের স্কুল পড়ুয়া। নয়ডার শিব নাডার স্কুলের ছাত্র বছর দেড়েক আগেই নয়া একটি গ্রহাণু আবিষ্কার করে। এবার তার কাঁধেই গুরুদায়িত্ব তুলে দিল আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা NASA. নয়া গ্রহাণুটির নামকরণ দক্ষই করবে বলে জানাল তারা। দক্ষের ভূয়সী প্রশংসাও করেছে NASA. (Noida Boy Discovers Asteroid)
ছোট থেকেই মহাকাশ নিয়ে আগ্রহ দক্ষের। বছর দেড়েক আগে মঙ্গল এবং বৃহস্পতির মধ্যেকার গ্রহাণু বলয়ে নতুন একটি গ্রহাণুর সন্ধান পায় সে। গত বছর সেই নিয়ে NASA-র কাছে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দেয়। ২০২৩ সালে আবিষ্কার বলে আপাতত গ্রাহণুটিকে ‘2023 OG40’ বলে অভিহিত করা হচ্ছে। তবে শীঘ্রই তার পাকাপাকি নামকরণ হবে। গ্রহাণুটির আবিষ্কারক, নবম শ্রেণির ছাত্র দক্ষকেই সেই দায়িত্ব দিয়েছে NASA. (Asteroid 2023 OG40)
গ্রহাণু অবিষ্কার নিয়ে যে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিয়েছিল দক্ষ, তা খতিয়ে দেখেছে NASA. শেষ পর্যন্ত দক্ষের দাবিতেই সিলমোহর পড়েছে। দক্ষ জানিয়েছে, ছোট্ট বয়স থেকেই মহাকাশ নিয়ে আগ্রহ তার। প্রচুর তথ্যচিত্রও দেখে ফেলেছে ইতিমধ্যেই। সেই থেকেই মহাকাশে নজরদারি চালানোর আগ্রহ বাড়ে। আর তাতেই ওই গ্রহাণুটির সন্ধান পায় সে।
জানা গিয়েছে, দক্ষ এবং তার স্কুলের দুই বন্ধু প্রায় দেড় বছর ধরে মহাকাশে নজরদারি চালাচ্ছিল। Hardine Simmons University-র প্যাট্রিক মিলারের তত্ত্বাবধানে International Asteroid Discovery Project-এ যুক্ত হয় তারা। ওই প্রকল্পে NASA-ও যুক্ত। নিজেদের সফ্টওয়্যার এবং ডেটাবেস ব্যবহার করে পড়ুয়া এবং সাধারণ নাগরিককে মহাকাশে অনাবিষ্কৃত গ্রহাণু সন্ধানের সুযোগ দেয় NASA.
২০২২ সালে স্কুলের তরফে ওই প্রকল্পের কথা ইমেলে জানানো হলে, দক্ষ এবং তার বন্ধুরা সঙ্গে সঙ্গে নাম লেখায়। হাওয়াইয়ে যে Pan-Starrs টেলিস্কোপ রয়েছে, তার তোলা উচ্চমানের ছবিও হাতে পায় তারা। আর তাতেই বাজিমাত করে দক্ষ। তার কথায়, “নক্ষত্রজগতের কাছে পৌঁছনোয় আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে এই প্রকল্প। আশাকরি অন্যরাও একই ভাবে অনুপ্রাণিত এবং উৎসাহিত হবে।”
গ্রহাণুটির কী নাম রাখা হবে, তা এখনও ঠিক করে উঠতে পারেনি দক্ষ। তবে তার পছন্দের তালিকায় একেবারে উপরের দিকে রয়েছে ‘Destroyer of the World’ এবং ‘কাউন্টডাউন’। তবে নামকরণের প্রক্রিয়া বেশ জটিল। নামকরণে সবমিলিয়ে পাঁচ বছর সময় লাগে পারে। NASA আরও পরীক্ষানিরীক্ষা চালাবে। তার পর অনুমোদন দেবে Minor Planet Center. এর পর আনুষ্ঠানিক ভাবে আবিষ্কারটি নথিভুক্ত করবে NASA. প্যারিসের International Astronomical Unionও সেটিকে বৈশ্বিক তালিকায় তুলবে। সব শেষে নামকরণ হবে গ্রহাণুটির।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
