Sunita Williams: দিনে ১৬ বার সূর্যোদয়, ১৬ বার সূর্যাস্ত, কাল মহাকাশ থেকে Live কথোপকথন সুনীতার
International Space Station: ১০ দিনের অভিযানে গেলেও ইতিমধ্যেই মহাকাশে সুনীতা এবং ব্যারি এক মাসের বেশি সময় কাটিয়ে ফেলেছেন।
কলকাতা: নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও, এখনও মহাকাশে আটকে রয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুনীতা উইলিয়ামস। আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে আপাতত আশ্রয় নিয়েছেন তিনি এবং তাঁর সহযাত্রী ব্যারি বুচ উইলমোর। আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা NASA জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে নিরাপদেই রয়েছেন সুনীতা এবং ব্যারি। আগামী ১০ জুলাই পৃথিবীবাসীর উদ্দেশে সুনীতা সরাসরি বার্তাও পাঠাবেন বলেও জানানো হয়েছে। (Sunita Williams) রাত ৮.৩০টা নাগাদ সরাসরি বার্তা পাঠাবেন সুনীতা, তাঁর কথা শোনা যাবে।
১০ দিনের অভিযানে গেলেও ইতিমধ্যেই মহাকাশে সুনীতা এবং ব্যারি এক মাসের বেশি সময় কাটিয়ে ফেলেছেন। এই মুহূর্তে সুনীতা এবং ব্যারিকে নিয়ে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে ন'জন নভোশ্চর রয়েছেন। রোজকার গবেষণা সংক্রান্ত কাজকর্ম ছাড়াও সাফ-সাফাইয়েও হাত লাগাচ্ছেন সকলেই। ব্যারি এবং ট্রেসি ডাইসন মিলে Cygnus মহাকাশযানের কাছে আবর্জনা ভর্তি ব্যাগও ফেলে এসেছেন। এ মাসের শেষেই আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন থেকে Cygnus-কে বিচ্ছিন্ন করে প্রশান্ত মহাসাগরে এনে ফেলা হবে। (International Space Station)
কিন্তু সুনীতা এবং ব্যারি কবে পৃথিবীতে ফিরবেন, সেই প্রশ্ন ঘুরছে মুখে মুখে। NASA-র তরফে নির্দিষ্ট করে কিছু জানানো না হলেও, Boeing Starliner যদি ব্যর্থ হয়, সেক্ষেত্রে ইলন মাস্কের SpaceX সংস্থাকে সুনীতা এবং ব্যারিকে ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব দেওয়া হবে বলে জল্পনা। আপাতত আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের দিকেই তাকিয়ে সকলে। কারণ মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেটি। ২০০০ সাল থেকে নিয়মিত সেখানে বিচরণ নভোশ্চরদের। চরিত্রের দিক থেকেও আলাদা গুরুত্ব রয়েছে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের।
আরও পড়ুন: Stag Beetle: বিলাসবহুল ফ্ল্যাট, দামি গাড়ি...বহুমূল্য এই পোকা একটি পেলেই যথেষ্ট
আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে নভোশ্চররা আরামে থাকেন বলে ভেবে নেওয়া ঠিক নয়। প্রতি ৯০ মিনিটে পৃথিবীকে একবার প্রদক্ষিণ করে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন। ঘণ্টায় ২৮ হাজার কিলোমিটার বেগে ছোটে সেটি। ২৪ ঘণ্টায় ১৬ বার পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে সেটি। সেই অনুযায়ী, প্রতি ৪৫ মিনিট অন্তর একবার করে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত হয়। ফলে দৈনন্দিন কাজকর্ম তো বটেই, ঘুমানো এবং জেগে ওঠার ক্ষেত্রেও সমস্যার সম্মুখীন হন নভোশ্চররা। তাই মহাকাশে গ্রিনউইচ মান মন্দিরের সময় ধরে চলেন নভোশ্চররা। সেই নিরিখেই নিজেদের দৈনন্দিন কাজকর্ম সাজান। তাই পৃথিবী থেকে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে গিয়ে এবং সেখান থেকে পৃথিবীতে ফিরে এসে প্রথম প্রথম অসুবিধাই হয় নভোশ্চরদের। সুনীতা এবং ব্যারি এমনিতেই নির্ধারিত সময়সীমার চেয়ে অনেক বেশি সময় রয়েছেন সেখানে। তাঁদের দ্রুত ফিরিয়ে আনার পক্ষপাতী বিজ্ঞানীদের একাংশ।