NASA: বহু আলোকবর্ষ দূরের গ্রহে সমুদ্র, মিথেন আর? কী খোঁজ পেল নাসা?
Life at Exoplanet: নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের নজরে ওই গ্রহ। কেন এত কৌতূহল গ্রহটিকে ঘিরে?
নয়াদিল্লি: জলের তৈরি বিশাল সমুদ্র (Ocean)। রয়েছে কার্বনসমৃদ্ধ মলিকিউল, রয়েছে মিথেন, কার্বন ডাই অক্সাইড। নাহ পৃথিবী নয়। কিন্তু পৃথিবীর মতোই একটি গ্রহের খোঁজ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। আর সেটা রয়েছে পৃথিবী থেকে বহু বহু আলোকবর্ষ দূরে।
পৃথিবীর বাইরে কোথাও প্রাণ রয়েছে কিনা, তা খুঁজে বেরোয় নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ (NASA's James Webb Space Telescope)। প্রায়শই টেলিস্কোপের চোখে পড়ে বিভিন্ন এক্সোপ্ল্যানেট (Exoplanet)। এবার টেলিস্কোপের চোখে পড়েছে K2-18 b নামের এক্সোপ্ল্যানেট। পৃথিবীর চেয়ে অন্তত ৮.৬ গুণ বড় এই গ্রহটি। সেখানেই খোঁজ পাওয়া গিয়েছে জলের তৈরি সমুদ্র।
জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ যা তথ্য পেয়েছে তাতে মনে করা হচ্ছে এটি একটি Hycean exoplanet. বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, মনে করা হচ্ছে এই গ্রহটিতে হাইড্রোজেন সমৃদ্ধ বায়ুমণ্ডল হয়েছে। গ্রহটির ভূতলে রয়েছে সমুদ্র (Sea)।
কোথায় রয়েছে এই গ্রহটি?
একটি বামন তারা রয়েছে K2-18 নামে। পৃথিবী থেকে অন্তত ১২০ আলোকবর্ষ দূরে রয়েছে এটি। সেই নক্ষত্রের পাশেই habitable zone -এ রয়েছে K2-18 b গ্রহটি। ভিন্ন সৌরজগতে থাকা এই গ্রহটি আয়তন পৃথিবী আর নেপচুনের মাঝামাঝি। এখন এই গ্রহ নিয়েও আলোচনায় ডুবে বিজ্ঞানীরা।
নাসার তরফে যে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, মিথেন এবং কার্বন ডাই অক্সাইড থাকায় এবং অ্যামোনিয়া কম থাকায় মনে করা হচ্ছে, ওই গ্রহের হাইড্রোজেন সমৃদ্ধ বায়ুমণ্ডলের নীচে রয়েছে জলের তৈরি সমুদ্র। যা তথ্য পাওয়া গিয়েছে তার বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে dimethyl sulphide নামে একটি মলিকিউল পাওয়া যেতে পারে। পৃথিবীতে যেটি একমাত্র প্রাণের কারণেই পাওয়া যায়। পৃথিবীতে এই মলিকিউল পাওয়া যায় সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রে ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটের কারণে।
এই গবেষণা দলের অন্যতম সদস্য এবং কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক নিক্কু মধূসূদন (Nikku Madhusudhan) বলেছেন, 'প্রাণের খোঁজে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাথুরে গ্রহতে আমরা প্রাণের খোঁজ করেছি। এবার Hycean exoplanet-এও এই খোঁজ করা হচ্ছে তার বায়ুমণ্ডলের জন্য।
নাসার K2 মিশনের মাধ্যমে K2-18 b-এর খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল ২০১৫ সালে। পরে জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের মাধ্যমে আরও ভাল ভাবে এই গ্রহ সম্বন্ধে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পেরেছেন বিজ্ঞানীরা।