Andrew Symonds Death: লক্ষ্মণ থেকে শুরু করে ভন-কুম্বলে-শোয়েব, সাইমন্ডস নেই বিশ্বাসই হচ্ছে না কারও
Andrew Symonds Demise: সাইমন্ডসের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ ক্রিকেটবিশ্ব। অনেকে মেনেই নিতে পারছেন না যে, সকলের প্রিয় 'রয়' নেই।
সিডনি: শেন ওয়ার্নের (Shane Warne) পর অস্ট্রেলিয়া তথা বিশ্বক্রিকেটের আরও এক নক্ষত্রের আকস্মিক প্রয়াণ। মাত্র ৪৬ বছর বয়সে প্রয়াত অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস (Andrew Symonds)। কুইন্সল্যান্ডে গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তিনি। ওয়ার্নের মতো সাইমন্ডসও ছিলেন অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটের অন্যতম বর্ণময়, কিন্তু বিতর্কিত এক চরিত্র।
সাইমন্ডসের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ ক্রিকেটবিশ্ব। অনেকে মেনেই নিতে পারছেন না যে, সকলের প্রিয় 'রয়' নেই। অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন উইকেটকিপার অ্যাডাম গিলক্রিস্ট ট্যুইট করেছেন, 'এই খবরটা ভীষণ ধাক্কা দিল। একনিষ্ঠ, মজার কোনও বন্ধুর কথা যদি ভাবেন, যে আপনার জন্য সব কিছু করতে প্রস্তুত, সে হল রয়'।
প্রাক্তন অজি পেসার জেসন গিলেসপির ট্যুইট, 'সকালে ভয়ানক খবর পেয়ে ঘুম ভাঙল। বিধ্বস্ত লাগছে। তোমাকে মিস করব প্রিয় সতীর্থ'।
মাইকেল বিভান ট্যুইট করেছেন, 'হৃদয়বিদারক খবর। অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট ফের এক মহাতারকাকে হারাল। অসাধারণ প্রতিভা। ২০০৩ বিশ্বকাপজয়ী দলে আমার সতীর্থ। শান্তিতে থেকো সিমো'।
ড্যারেন লেম্যানের ট্যুইট, 'ওখানে নিজের খেয়াল রেখো। আমি মর্মাহত। ওর পরিবারের প্রতি সমবেদনা'।
শোয়েব আখতার লিখেছেন, 'গাড়ি দুর্ঘটনায় অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস মারা গিয়েছে বিশ্বাসই হচ্ছে না। মাঠে ও মাঠের বাইরে আমার দারুণ বন্ধু। ওর পরিবারের প্রতি সমবেদনা'।
ভি ভি এস লক্ষ্মণের ট্যুইট, 'ভারতে ভয়ানক এক খবর পেয়ে ঘুম ভাঙল। মর্মান্তিক ঘটনা। শান্তিতে থেকো বন্ধু'।
অনিল কুম্বলে লিখেছেন, 'ভীষণ খারাপ খবর। ওর পরিবার ও বন্ধুদের জন্য সমবেদনা'।
মাইকেল ভনের ট্যুইট, 'সিমো, এটা ঠিক সত্যি নয়...'
আরও পড়ুন: টিমমিটিং চলছে, সাইমন্ডস কই? গেছেন মাছ ধরতে!
সিমো (এই নামেই অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট মহলে পরিচিত ছিলেন সাইমন্ডস) কেরিয়ারে বারবার জড়িয়েছেন বিতর্কে। তবে সবচেয়ে চমকে ওঠার মতো ঘটনা ঘটেছিল ২০০৮ সালে।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজ খেলবে অস্ট্রেলিয়া। তার আগে গুরুত্বপূর্ণ টিম মিটিং। টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে ক্রিকেটারদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বৈঠকে যোগ দেওয়া বাধ্যতামূলক। রিকি পন্টিং থেকে শুরু করে মাইকেল ক্লার্ক, সব রথী মহারথীরাই হাজির সেই বৈঠকে। কিন্তু সাইমন্ডস কই? খোঁজ পড়ে গেল। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগই করা যাচ্ছিল না।
পরে জানা গেল, তিনি মাঝনদীতে। নৌকার ওপর বসে। মাছ ধরতে গিয়েছেন সিমো। যা তাঁর ভীষণ পছন্দের নেশা। যে কারণে ম্যাথু হেডেনের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব। হেডেনও মাছ ধরতে ভালবাসেন। কিন্তু এই ঘটনায় প্রবল ক্ষোভ ছড়ায় অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ডের অন্দরমহলে। সিমোর অপেশাদারিত্বে ক্ষুব্ধ হয়ে তড়িঘড়ি দেশে ফেরত পাঠানো হয়। রাখা হয়নি ভারত সফরের দলেও। দেশে ফিরেও বিতর্ক। পাবে মারামারি করার অভিযোগ ওঠে সাইমন্ডসের বিরুদ্ধে।