Michael Vaughan on Babar Azam: বাবর না বিরাট, সেরা কে? ফের জল্পনা উস্কে দিলেন ভন
ক্রিকেটবিশ্বের অন্যতম চর্চিত বিষয়। বিশ্বের সেরা ব্যাটার কে? বিরাট কোহলি (Virat Kohli), নাকি বাবর আজম (Babar Azam)? নাকি স্টিভ স্মিথ, কেন উইলিয়ামসন, জো রুটদের মধ্যে কেউ?
করাচি: ক্রিকেটবিশ্বের অন্যতম চর্চিত বিষয়। বিশ্বের সেরা ব্যাটার কে? বিরাট কোহলি (Virat Kohli), নাকি বাবর আজম (Babar Azam)? নাকি স্টিভ স্মিথ, কেন উইলিয়ামসন, জো রুটদের মধ্যে কেউ?
বেশিরভাগই কোহলিকে বিশ্বের সেরা হিসাবে মেনে নেন। তবে বাবর আজমের সমর্থকও নেহাত কম নন। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচ বাঁচানো ইনিংস খেলার পর নতুন করে সেই আলোচনা জমিয়ে দিলেন বাবর। মাইকেন ভনের (Michael Vaughan) মতো প্রাক্তন ক্রিকেটার সাফ জানিয়ে দিলেন, বাবরই এখন বিশ্বের সেরা।
করাচিতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দাঁতে দাঁত কামড়ে মাটি আঁকড়ে লড়াই করে গেলেন বাবর আজম। ৪২৫ বলে ১৯৬ রানের দুরন্ত ইনিংস খেললেন। যার জেরে হারের হাত থেকে বাঁচল পাকিস্তান। চতুর্থ ইনিংসে ১৯০-এর ঘরে রান রান করে নয়া নজিরও গড়লেন তিনি। স্পর্শ করলেন কুমার সঙ্গকারাকে।
২০০৭ সালে সেই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেই চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে সঙ্গকারা ১৯২ রান করেছিলেন। আর সেই ঘটনার ১৫ বছর পর ফের চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ১৯৬ করলেন বাবর। মাত্র চার রানের জন্য অধরা থাকল ডাবল সেঞ্চুরি। তবে চতুর্থ ইনিংসে সঙ্গাকে টপকে গেলেন বাবর।
যে ইনিংস দেখে মাইকেল ভন ট্যুইট করেছেন, 'প্রশ্নাতীতভাবে বাবর আজম এখন বিশ্বের সেরা অলরাউন্ড ব্যাটার। সব ফর্ম্যাটেই অসাধারণ।'
কোহলি না বাবর, কে সেরা, প্রাক্তন ইংরেজ অধিনায়ক ফের সেই জল্পনা উস্কে দিলেন।
অস্ট্রেলিয়ার ৯ উইকেটে ৫৫৬ রানের জবাবে পাকিস্তান প্রথম ইনিংসে অল আউট হয়ে যায় মাত্র ১৪৮ রানে। ৪০৮ রানের বিশাল লিড নিয়েও পাকিস্তানকে ফলো অন করতে বাধ্য করেনি অস্ট্রেলিয়া। পরিবর্তে নিজেরাই দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে। তৃতীয় দিনের শেষে অস্ট্রেলিয়া তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ১ উইকেটের বিনিময়ে ৮১ রান তুলেছিল। চতুর্থ দিনে তার পর থেকে খেলতে নেমে অযথা সময় নষ্ট করতে রাজি হননি প্যাট কামিন্সরা। ২ উইকেটে ৯৭ রানের মাথায় অজিরা তাদের দ্বিতীয় ইনিংস ডিক্লেয়ার করেন। জয়ের জন্য পাকিস্তানের সামনে লক্ষ্যমাত্র দাঁড়ায় ৫০৬ রানের।
বড় রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় পাকিস্তান। দলের ২ রানের মাথায় আউট হন ইমাম উল হক। তিনি মাত্র ১ রান করেছিলেন। আজহার আলি দলের ২১ রানের মাথায় আউট হন। তিনি করেন ৬। এর পর বাবর বাবর ও আবদুল্লাহ শফিক ইনিংসের হাল ধরেন। শফিক ৯৬ করে আউট হওয়ার পরেই ফাওয়াত আলমও মাত্র ৯ রান করে আউট হয়ে যান। তার পর মহম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গে জুটি বাঁধেন বাবর। শেষ পর্যন্ত ১৯৬ রান করে আউট হন বাবর। রিজওয়ান করেন অপরাজিত ১০৪ রান। ৭ উইকেট হারিয়ে ৪৪৩ করে পাকিস্তান। ম্যাচ ড্র হয়।