স্কুল পালিয়ে শারজায় সচিনের সেই খেলা দেখেছিলাম, স্মৃতিমেদুর সুরেশ
বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান বলেন, আমাদের বাড়িতে একটা টিভি ছিল। কিন্তু, তাতে শুধুমাত্র দূরদর্শন আসত। তাই...
নয়াদিল্লি: সচিন তেন্ডুলকরে স্মৃতিমেদুর সুরেশ রায়না। বাল্যকালের কথায় ফিরে যান বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান। জানান, কীভাবে যে কোনও উঠতি ক্রিকেটারের মতো তিনিও সচিনের ব্যাটিংয়ের জাদুতে মুগ্ধ ছিলেন। ১৯৯৮ সালে সচিন তেন্ডুলকর ৯টি একদিনের সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন। সেই সময় রায়না টিনেজারও হননি। স্মৃতির শরণি বেয়ে রায়না জানান, আজও তাঁর মনে পড়ে, কীভাবে তাঁকে ও তাঁর বন্ধুদের ঝামেলা পোহাতে হতো সচিনের ব্যাটিংয়ের ঝলক দেখার জন্য। শারজায় অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে যখন সচিন পরপর দুটি ম্যাচে শতরান করেছিলেন, টিভিতে সেই খেলা দেখার জন্য বন্ধুদের সঙ্গে স্কুল পালিয়েছিলেন রায়না।
বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান বলেন, আমাদের বাড়িতে একটা টিভি ছিল। কিন্তু, তাতে শুধুমাত্র দূরদর্শন আসত। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে তাই স্কুলের শেষ দুটি পিরিয়ড বাঙ্ক মেরে আরেকজনের বাড়িতে গিয়ে শারজায় সচিনের সেই ব্যাটিং দেখেছিলাম। সচিন পা'জি সেই সময় ওপেন করতেন। আমরা কেবল সচিন বা দ্রাবিড়ভাইয়ের ব্যাটিং দেখতাম। সচিন আউট হলেই আমরা বেরিয়ে যেতাম। ওই দুটি শতরানের প্রথমটি 'দ্য ডেজার্ট স্টর্ম' নামে বিখ্যাত। দুর্ধর্ষ ১৪৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন সচিন। যদিও, তা ভারতের জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না, কিন্তু ওই ইনিংসের দৌলতে ভারত ফাইনালের যোগ্যতা অর্জন করেছিল। চূড়ান্ত ম্য়াচে, আরেকটি দুরন্ত ১৩৪ রানের ইনিংস উপহার দেন সচিন। অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ফাইনাল জেতে ভারত। রায়না বলেন, আমার তখন ১২ বছর বয়স। সপ্তম শ্রেণিতে পড়তাম। সচিন তেন্ডুলকর সেই সময় বিরাট বড় একটা নাম। ফাইনালে মাইকেল ক্যাসপ্রোউইচকে পরপর ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন সচিন। তার ওপর টনি গ্রেগের সেই বিখ্যাত ধারাভাষ্য। ইংরেজিটা অত ভাল বুঝতাম না। কিন্তু তা সত্ত্বেও একটা অদ্ভুত অনুভূতি তৈরি হয়েছিল। প্রসঙ্গত, ২০১১ বিশ্বকাপ জয়ী দলে সচিন তেন্ডুলকরের সতীর্থ ছিলেন রায়না।