(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
ABP Exclusive: বোর্ডের কমিটি থেকে সরে দাঁড়াক, তোপ প্রাক্তন কর্তার, আমল দিচ্ছেন না সৌরভ-অভিষেক
Sourav Ganguly: বুধবার রাতে সিএবি-তে সৌরভকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, এই লেখায় গুরুত্ব দেওয়ার কিছু নেই। কার্যত উপেক্ষাই করেন। অভিষেকও এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে চাননি।
সন্দীপ সরকার, কলকাতা: দরজায় কড়া নাড়ছে সিএবি (CAB) নির্বাচন। দিন ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। শুধু মনোনয়ন জমা দেওয়া বাকি। আর সেই সময়ই বিরোধী শিবিরের বাউন্সারের মুখে সিএবি-র বিদায়ী প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়া। অভিযোগ করা হল, তিনি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড থেকে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Sourav Ganguly) অপসারণের বিরোধিতা করেননি। অভিযোগ করলেন গৌতম দাশগুপ্ত। যিনি বোর্ড ও সিএবি-র প্রাক্তন কর্তা। তবে সেই অভিযোগকে আমল দিচ্ছেন না অভিষেক। সৌরভও বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ।
বুধবার সোশ্যাল মিডিয়ায় গৌতম লেখেন, 'রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেছেন, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে অবিচার করে অমিত শাহ পুত্র জয়কে সচিব পদে রেখে দেওয়া হল কেন? তাঁর প্রতিবাদে যুক্তি রয়েছে। কিন্তু আবার এও ঠিক যে, সিএবি-র বর্তমান প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়া কী করে আইপিএলের গভর্নিং কাউন্সিল বৈঠকে থেকে গেলেন? সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় তো বাংলার আবেগ, তাঁর পাশে সিএবি-র কর্তারা কোথায়? থাকলে তো অভিষেক বোর্ডের কমিটি থেকে সরে দাঁড়াতেন। তা করেছেন কী?'
এখানেই থেমে না থেকে গৌতম আরও লেখেন, 'সৌরভ সেই একা হয়ে লড়াই করছেন। তাঁর পাশে সিএবি কোথায়? একজন বঞ্চিত হচ্ছে, পাশাপাশি বাকিরা বোর্ডের আমন্ত্রনে পাত পেড়ে খেতে বসে যাচ্ছে, এটা কখনই কাঙ্খিত নয়। সৌরভ যদি আবেগের নাম হয়, তা হলে বাংলার কর্তারা তাঁর পাশে থাকলে সেটি শোভন হতো। বোর্ডের বিরুদ্ধে এককাট্টা হয়ে সবাই প্রতিবাদে মুখর হতো। কিন্তু কী দেখলাম, বোর্ডের নতুন কমিটির সঙ্গে অভিষেকও দাঁড়িয়ে গ্রুপ ছবি তুলছেন। সৌরভ সেখানে একা। তা হলে তাঁর পাশে সংস্থার সমর্থন কোথায়!'
সোশ্যাল মিডিয়ায় গৌতমের পোস্ট নিয়ে বঙ্গ ক্রিকেট মহলে রীতিমতো আলোচনা শুরু হয়ে যায়। অনেকেই বলতে থাকেন, এটা নির্বাচনী কৌশল। বলা হচ্ছে, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় সিএবি নির্বাচনে লড়াই করবেন জানানোর পর এবং অভিষেক তাঁর পাশে থাকায় বিরোধী শিবির কোণঠাসা। তাই সৌরভ-অভিষেক সম্পর্কে ফাটল তৈরি করতেই সিএবি-র প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্টের এই মন্তব্য বলে মনে করছেন কেউ কেউ। আবার কেউ কেউ প্রশ্ন তুলছেন, গৌতমের কথায় যুক্তি থাকলেও, কেন আগে তিনি এমন বক্তব্য তুলে ধরলেন না? তাহলে কি চাপে পড়ে শেষ অস্ত্র হিসাবে সৌরভ-অভিষেক দ্বন্দ্ব লাগানোর চেষ্টা?
বুধবার রাতে সিএবি-তে সৌরভকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, এই লেখায় গুরুত্ব দেওয়ার কিছু নেই। কার্যত উপেক্ষাই করেন। অভিষেকও এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে চাননি। শুধু জানান, এসবে আমল দিতে তিনি নারাজ। বরং আত্মবিশ্বাসী সুরে জানান, সিএবি নির্বাচনে বিরোধীরা কার্যত অস্তিত্বহীন।
সৌরভ ও অভিষেক, দুই কর্তার ঘনিষ্ঠরাও জানিয়েছেন, গৌতমের পোস্ট যতই দুই কর্তার সম্পর্কে চির ধরানোর চেষ্টায় করা হয়ে থাকুক না কেন, শাসক শিবিরের ঐক্য অটুট। সৌরভ-অভিষেক এক হয়েই সিএবি-র বার্ষিক সাধারণ সভায় নতুন কমিটি তৈরি করবেন বলে জানানো হয়। সিএবি সূত্রে খবর, প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট, সচিব, যুগ্মসচিব ও কোষাধ্যক্ষ, প্রধান পাঁচ পদাধিকারী হিসাবে কাদের দেখা যাবে, শাসক শিবিরের সেই প্যানেল তৈরি। বুধবার সৌরভ ও অভিষেক অন্যান্য সিএবি কর্তাদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন। পরে দুজনই জানালেন, শনিবার বিকেলে তাঁদের তরফ থেকে মনোনয়ন জমা দেওয়া হবে। প্যানেলও জানিয়ে দেওয়া হবে।
তবে বিরোধীরা এরপরেও মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন। শোনা যাচ্ছে, আজ, বৃহস্পতিবার সমঝোতার জন্য ফের একবার বৈঠক হবে। তারপরই জানা যাবে, সর্বসম্মতিক্রমে কারা থাকবেন সিএবি-র মসনদে।
আরও পড়ুন: জীবনকৃতি পাবেন কে? তিন পুরস্কারের জন্য লড়াইয়ে বাংলার চার প্রাক্তন অধিনায়ক